এইতো সেদিন তোমায় দেখলুম। খুব আনমনে বসে ছিলে,
দিঘির ঘাটের যেদিকটাতে দুটো পদ্ম ফুটেছিল,
ঠিক তার উল্টো দিকে।
জারুল গাছের ঝোপের আড়াল থেকে
স্বচ্ছ জলে আমি তোমার হেলতে দুলতে থাকা
ধ্যানমগ্ন প্রতিবিম্বের দিকে খানিক্ষন
অপলক তাকিয়ে থাকার পর মনে মনে বলেছিলুম
'কিগো, আমারো যে আজ ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করছে না'।
ভাবলুম তোমায় বলি, তোমায় বলি চলো
মুঠো মুঠো প্রেম ছিটাই, গায়ে লাগুক শিহরোন,
ভিজে যাক আত্মার শিরা উপশিরাও।
একটু দুরে ভাসতে থাকা এক ঝাক অপরিচিত মাছের মত
আমি তোমার দিকে তাকিয়ে।
পুব দিকের কোনায় একটা ছোট্ট ডিঙি নৌকো বাঁধা,
পশ্চিমের আকাশ রাঙানো সন্ধায়
পুবের ডিঙিটাও প্রেমে লালচে আভা পেয়েছে।
এক ঝাক বিহঙ্গম মারুত ছড়িয়ে উড়ে গেল উত্তরে,
আচ্ছা দিঘির শান্ত জলে, ডিঙি নৌকোয় চড়ে,
তোমাকে সন্ধ্যে দেখার নেমন্তন্য করলে কেমন হয়।
খোলা কুন্তল উদ্ভ্রান্তের মত
তোমার মুখ, লোচন, অধর স্পর্শ করছে,
সোনলি ত্বকে গোধুলির লাল মিশে আরেকটা পৃথিবী যেন
তোমার দুচোখ।
ততক্ষনে ঘুম ভেঙেছে আমার।
মাথার উপরে ঘুরতে থাকা বৈদ্যুতিক পাখার শো শো আওয়াজ,
জানালায় আছাড়ে পড়তে থাকা ভারি পর্দা,
বাহিরে দুটো কলার পাতার বাতাসে এক অন্যকে স্পর্শ করা,
আর সকালের আলোর পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার প্রস্তুতি।
আমি তখন নেমন্তন্য পত্রখানা দূরাশার খামে ভরে
অপেক্ষার কালিতে তোমার ঠিকানা লিখছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯