বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চিকিৎসকরা শাহবাগের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে দেখে এতো লজ্জা লাগলো। গার্মেন্টস শ্রমিকরা অশিক্ষিত তারা রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায় করে। চিকিৎসকরা তো উচ্চ শিক্ষিত তারাও যদি এমন আচরণ করে তাহলে আমরা কোথায় যাবো ? আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যে ধ্বংস হয়ে গেছে সেটা এই চিকিৎসকদের কর্মকান্ড দেখলে বুঝা যায়। কি অদ্ভুত তারা যে একটা অন্যায় অনৈতিক কাজ করছে সেটাও তারা বুঝতে পারছে না। যারা এভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নিজেদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন করে তাদের কাছ থেকে আর যাই হোক সেবা পাওয়া সম্ভব না। এখন বুঝতেছি এই জন্যই বাংলাদেশের মানুষ এতো অপমানিত হওয়ার পরও ভারতে চিকিৎসা নিতে যায় কেন।
আরেকটা অস্ত্র আছে এদের ,কিছু হইলেই কর্মবিরতি রোগী দেখবে না আউট ডোর সেবা বন্ধ। এদের কে বুঝাবে কর্মবিরতি এক জন চিকিৎসকের জন্য সর্ব শেষ অস্ত্র ,তারা মানুষেকে জরুরি সেবা দেয়।নিজের দাবি আদায়ের জন্য আপনি এক জন অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দিতে পারেন না।এতো চাহিদা থাকলে এই মহান পেশায় আসছেন কেন ? ধরেন এক জন চিকিৎসকের বাসায় আগুন লাগলো এখন যদি ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন বলে আমরা কর্মবিরতিতে আছি আগুন নিভাইতে পারবো না তখন তাদের কেমন লাগবে।ভালো ডাক্তার তো পরে আগে ভালো মানুষ হইতে হবে এমন অমানুষের মতো কাজ করলে সাধারণ মানুষ আর চিকিৎসকদের সম্মান করবে না উলটা গালি দিবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেইনি চিকিৎসকরা পঁচিশ হাজার টাকা ভাতা পান তারা এখন ভাতা বাড়িয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা করার জন্য আন্দোলন শুরু করেছে । দাবি আদায়ের জন্য একশো একটা পথ খোলা আছে সড়ক অবরোধ কিংবা কর্মবিরতি এক জন চিকিৎসকদের জন্য সঠিক পথ নয় এটা ব্ল্যাকমেইল।এদের দেখলে মনে হয় স্বৈরাচারী হাসিনাই ঠিক ছিলো ওই আমলে চিকিৎসকরা যদি এভাবে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করতো তে হলে এতক্ষনে ছাত্রলীগ এসে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাত্ব করতো সেটাই মনে হয় ঠিক ছিলো।এই জন্যই বলে যেমন কুকুর তেমন মুকুট আমাদের মতো অসভ্য বর্বর জাতির জন্য স্বৈরাচার পারফেক্ট।
সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করার জন্য আজকে সারা ঢাকায় দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম এর সৃষ্টি হয়েছে। শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বারডেমে হাসপাতালে রোগীদের এম্বুলেন্স গুলোকে কে আরো এক ঘন্টার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়েছে । হার্ট এট্যাক কিংবা স্ট্রোকের পেশেন্ট দের জন্য প্রতিটা মুহূর্ত গুরুত্ব পূর্ণ হাসপাতালে নিতে এক ঘন্টা দেরি হওয়ার কারণে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।চিকিৎসকরা সেটা খুব ভালো করেই জানে তারপরও তারা নিজের বেতন বৃদ্ধির জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে। উন্নত দেশ হইলে এতোক্ষনে তাদের চিকিৎসক লাইসেন্স বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে এটেম্পট টু মার্ডার মামলা হয়ে যেতো।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬