কিছু দিন আগে নাট্যকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ কে লক্ষ করে পচা ডিম ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্রপাত ২ নভেম্বর শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে দেশ নাটকের ‘নিত্যপূরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে।
২ নভেম্বর সন্ধ্যায় ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের পূর্বনির্ধারিত প্রদর্শনী ছিল। বিকাল থেকে টিকেট বিক্রিও শুরু হয়। সন্ধ্যার দিকে একদল লোক শিল্পকলার গেইটের সামনে ‘দেশ নাটকে’র সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে একাডেমির মহাপরিচালক জামিল আহমেদ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করলে নাটকের প্রদর্শনী আবার শুরু হয়। কিন্তু পরে বিক্ষোভকারীরা ফের সংগঠিত হয়ে নাট্যশালার গেইটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিল্পকলার মহাপরিচালক দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। জনতা শিল্পকলা মহাপরিচালক কে বলেছে, সব নাটক আপনারা করেন। শুধু ‘দেশ’ নাট্যদলের কাউকে নাটক করতে দিবেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর নাট্যদল দেশ নাটকের এহসানুল আজিজ বাবু তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেন, আসুন আমরা সবাই এই দেশকে বাঁচাই। জয় বাংলা বলে এই বাংলাদেশ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও শেয়ার করেন তিনি, ওখানে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের ছবি এডিট করে জিন্নাহ টুপি পরানো হয়েছে। তাদেরকে রাজাকার আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পরিষ্কার বুঝাই যাচ্ছে এহসানুল আজিজ বাবু স্বঘোষিত স্বৈরাচারের দোসর । সেটা জেনেও মামুনুর রশীদ প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে গেলেন কেন ? তার সমসাময়িক অন্য সিনিওর অভিনেতা অভিনেত্রী যারা আছেন তারা তো কেউ সেখানে যাননি। উনি কোটা আন্দোলনের সময় ছাত্রদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অথচ এখন আবার স্বৈরাচারের দোসর দের সাথে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন ।আমি আসলে উনার কৌশল বুঝি না ।
গত বছর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় উনি হিরো আলম কে নিয়ে টিটকারী মারেন ।বলেছিলেন দর্শকদের রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে সে জন্য হিরো আলমের ইউ টিউব চ্যানেলে এতো ভিউ। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এক বছরের মাথায় পরিস্থিতি উলটে গেছে এখন জনতা উনার দিকে লক্ষ্য করে পচা ডিম ছুড়ে মারে আর হিরো আলম রাস্তা দিয়া বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় ।উনি সিনিয়র অভিনেতা ,মঞ্চে উনার অনেক অবদান ,শত শত শিল্পী উনার হাতে তৈরী হিরো আলমকে নিয়ে মন্তব্য করাটা উনার ঠিক হয় নাই। হিরো আলম অশিক্ষিত হলেও যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন উনি মামুনুর রশীদের কথার উত্তর দেন নাই। মামুনুর রশীদের জন্য এর চে অপমান জনক আর কিছু হতে পারে না। ভাগ্য ভালো হিরো আলম মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করে নাই। না হলে উনাকে সবার সামনে হিরো আলমের কাছে ক্ষমা চাওয়া লাগতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৮