স্বাধীনতা, এই শব্দটি কখনো আমাদের হয়নি।
যে সুষম বন্টনের প্রত্যাশায় আমরা আমাদেরই ন্যায রাষ্ট্রে অসহযোগে গিয়েছিলাম, সে বন্টন লুট হয়ে গেছে পশ্চিমা দেশে।
অর্থনৈতিক মুক্তি বলতে আমরা শিখেছি চাকরির স্বাধীনতা!
কি হাস্যকর!
চাকরি, এই শব্দটিই যখন পরাধীনতার দ্যোতক, তখন চাকরির স্বাধীনতা আবার কী জিনিস?
এ যেন কারাগারে সর্বত্র ঘুরে বেড়ানোর লাইসেন্স!
সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা বলতে আমরা শিখেছি ধর্ম ও সংস্কৃতিকে গুলিয়ে ফেলার অধিকার।
এক পোশাকই যখন সংস্কৃতি আর ধর্মে সঙ্কট এনে দেয়-
তখন নগ্নতাকে আমরা মুক্তি বলে ভাবতে শিখেছি।
স্বাধীনতা, এই শব্দটি তাই কখনো আমাদের হয়নি।
আমরা গণতন্ত্রের প্রত্যাশা করেছি,
আমরা সমাজতন্ত্রকে ভেবেছি সামাজিক জীবনের সূত্র,
আমরা অসাম্প্রদায়িকতা বলতে বুঝেছি সংখ্যালঘুর অধিকার,
আমরা সামাজিক সুশাসনকে ভেবেছি বিচার ব্যবস্থা-
আমাদের এতসব ভুলের ভেতর,
আমরা স্বাধীনতাকে গুলিয়ে ফেলেছি।
আমরা অর্থ চিনেছি,
অর্থকে খোদার আসনে বসিয়ে আরাধনায় মত্ত হয়েছি।
আমরা স্বাধীনতার মানে বুঝিনি,
আমরা স্বাধীনতাকে আয়ত্ত্ব করিনি,
স্বাধীনতা, এই শব্দটি তাই কখনো আমাদের হয়নি।