আসল সোনা ছড়িয়া যে নেয় নকল সোনা সে জন সোনা চেনে না।
ছোটবেলায় শোনা একটা বাংলা গান সম্ভবত বাংলা ছায়াছবির কোন গান হবে হয়তো বা। অনেক কথা বলার থাকলেও সময় সংকীর্নতা , শারীরিক অসুস্হতা ও নানান সংকটের কারনে বিস্তারিত কখনই লেখা হয়ে ওঠে না।
দেশের বর্তমান পরিস্হিতির জন্যেও কাওকে দায়ী করেও পোস্ট লেখার আগ্রহ তেমন নেই। তারপরও এক কথায় বলি আমরা নিজেরাই দায়ী আর কেও নয়।
গনআন্দোলন নিয়ে আগেও বলেছিলাম এই জাগরনের ফলাফল কে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক দল, সুশীল সমাজ , নাস্তিক , ধর্মব্যবসায়ী , লেখক, গায়ক, ব্লগার , নায়ক সবাই কাজে লাগানোর চেষ্টা পরিকল্পনা করে যেতেই থাকবে এবং তা আন্দোলন কারীদের সাথে থেকেই তাদের বন্ধু হয়েই।
বলেছিলাম , রাজাকার ১৯৭১ রেও ছিল ২০১৩ তেও আছে এই নতুন রাজাকার রা লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝেই, মুখোশধারীদের মাঝে । তখনও খুন হয়েছে , ধর্ষন হয়েছে আজও হচ্ছে হবে। পার্থক্য খুব একটা বেশী নয়। ৭১ এ ৭ কোটি মানুষের সাথে বেইমানকারীদের সাথে ২০১৩ এর ১৭ কোটি মানুষের বেইমানীকারীদের মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই। কাগজে কলমে ৭১ এ স্বাধীন দেশের মানচিত্র পেলেও দেশের মানুষ কখনই স্বাধীন ছিলনা। এখনও নয়।
গনপ্রজাতন্ত্রী দেশের নেতা নয় জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। নেতা , দল বা কোন নির্দিষ্ট মতবাদ নিয়ে এবং নিজ, দল ও মতবাদের স্বার্থের উর্দ্ধে কখনই দেশ কে ও দেশের মানুষকে ভালবাসা সম্ভব নয়। কোন নির্দিষ্ট দলের বা নেতার সামর্থকরা যারা ভিন্নমতকে সন্মান করতেও জানেনা তারা কোনদিন দেশের কোন কাজে আসতেই পারে না। উপোরোন্তু এদের মাঝে যারা স্বার্থপর, দূর্ণীতিপরায়ন ও জনসাধারণের সাথে প্রতারনাকারী তারাই নব্যরাজাকার যাদের বিচার চাইতে হয়তো আরও অর্ধশতক লেগে যেতে পারে।
একটি ব্লগের মন্তব্যে বলেছিলাম
'' সমস্যাটা মূলতঃ এখানেই যে গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে মানুষ নেতা খুজে বেড়ায়।
দলবাজী, নেতাগীরি, নেতাদের পেছনে ঘোরা আর নেতা খোজা যতদিন বন্ধ না হবে ততদিন দেশ এমনই থাকবে বদলাবেনা কিছুই শুধু মুখ বদলাবে। যেমন রাজাকারের মুখ বদলে হয়েছে আওয়ামি, বিএনপি ,জাতীয় পার্টি । রাজাকাররা বেঈমানী করেছে ৭ কোটি মানুষের সাথে এরা করছে ১৭ কোটি মানুষের সাথে। রাজাকার, দালাল, দূর্নিতীবাজ এদের সবার চরিত্রই এক শুধু নাম আলাদা। এরাই দালাল, এরাই ধর্ষক, এরাই খুনী , এরাই জনগনের সাথে প্রতারনাকারী। আজ যদি নেতা না হয়ে কেও জনপ্রতিনিধি হত তাহলে তার জনগনের সাথে প্রতারণা করতে হতনা , দূর্নীতি করতে হতনা। কেও কোন দল বা মতবাদ মেনে দেশের দশের জন্যে কিছুই করতে পারে না। এটা একটা ভন্ডামী ছাড়া কিছুই নয়। জাতীয় স্বার্থ দেখতে হলে সেখানে সমগ্র জাতির পার্টিসিপেশন থাকতে হবে। হাতেগোনা ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের অমানুষরা কোনদিন দেশের ও জাতির স্বার্থ দেখবে না। ''
অনেকে বলবেন হিন্দু, বৌদ্ধদের উপর হামলা হলে তার বিচার হয় না,
রামুর ঘটনার বিচার হয়নি, বিশ্বজিত এর উপর হালমার বিচার হয়নি,
কারন তারা সরকার সামর্থিত লোকজন যাখুশি করতে পারে সংখ্যালঘুদের উপর কেও বিচার চায় না সবাই ভুলে যায়।
আপনি ভুল ভাবছেন। বাংলাদেশের সাধারন মানুষদের অধিকাংশই মুসলমান । আছে বিভিন্ন পেশার ও মতবাদের মানুষ। এদের মাঝে সেনাবাহীনিও একটি শক্তিশালীদল যেখানেও অনেক মুসলমান আছে।
সেখানেও নির্বিচারে খুন হয়েছে অনেক সেনা কর্মকর্তা ও বিডিআর সদস্য।
প্রতিদিন যারা মার খাচ্ছে ধর্ষতি হচ্ছে তারাও মুসলমান। বুঝে দেখুন ধর্মীয় কারনে নয় জাতিগত ভাবেই বাংগালীরা এমন। সংখ্যলঘুদের থেকে সংখ্যাগরিষ্টদের কষ্ট কম নয় যারা পরাধিনতার নয় স্বাধীনতার শেঁকলে অবরুদ্ধ ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারীর সেনা হত্যাকান্ড, এর পরবর্তী ৪ বছরের প্রতি ফেব্রুয়ারী এলেই ঘটে নানান ঘটনা ও অঘটন আড়ালে থেকে ধামাচাপা পরে যায় সেনা, বিডিআর দের কান্না। জয়ের আওয়ামীলীগএর সদস্যলাভ, ডেসটিনির কনসা্র্ট , ক্রিকেটলীগ, বইমেলাতে আগুন সবই একসুতোয় গাথা।
ভারতে পত্রিকার সাধারন হেডলাইনকে তুচ্ছ মনে হলেও তার সারমর্ম অনেক গভীর। যেমন মুক্তমনা তরুন মানে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেসী আন্দোলনে ভারতের সংহতি। পাকিস্তান পন্হি রাজনৈতিক দলগুলোর বিপক্ষে ভারতের অবশ্হান। এতে সাধারন বাংলাদেশীদের কোন স্বার্থ নেই।
কিন্তু বাংলাদেশীদের কে ব্যবহারিত করা হচ্ছে কারও না কারও স্বার্থে এটাই সত্য। এই সত্যটা উপলব্ধি করতেই বারবার শত বছর লেগে যায়।
হিন্দু, বৌদ্ধ নয় বরং তারা বাংলাদেশী বলেই তাদের উপর হামলা হয় অন্যকারও স্বার্থে। তাদের প্রয়োজন পড়লে মুসলমানদের উপরেও হামলা হবে এটা ভুলে যাবেন না।
মন্দিরে হামলা নিজেদের ব্যাপারনা না ভেবে যারা বসেছিলেন এই ভেবে যাক বাবা মসজিদে তো হামলা হয়নাই। শেষ পর্ষন্ত মসজিদে হামলা কি তারা রক্ষা করতে পেরেছিলেন ? ধর্ম মানুষের জন্যে , মনুষ্যত্ব মেরে কোনদিন ধরèম রক্ষা হয় না। নিজ দেশের সম্পদ মনে করে ও সাধারনের নিরাপত্তার কথা ভেবেই রক্ষা করুন মন্দির মসজিদ গুলো। অসহায় এর পাশে দাড়ালে জাত যায় না বরং মনুষ্যত্বের দ্বারাই সকল ধর্ম রক্ষা হয়।
কিছু সাধারন মানুষ আছেন যারা হয়তোবা মসজিদ থেকে নামাজ পড়েও ছুটে যাবেন মন্দির রক্ষা করতে আবার কেও ফেইসবুল ব্লগ লিখে ফাটিয়ে ফেলবেন। সমগ্র ব্লগারের সংস্যা লাখ দু'লাখ এর কিছু বেশী হতে পারে ফেইসবুল ব্যবহারকারী মিলিয়ে দশলাখের বেশী হবে বলে মনেহয় না। এই আপনারা ১৭ কোটি মানুষের মতামত নন তবে বার্তাবাহক হতে পারেন। সমস্যা হল আপনারাই স্বীদ্ধান্তপ্রদানকারীতে পরিণত হয়ে গেছেন।
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হয় চাপিয়ে দিতে নয়। আপনারা ব্লগাররাও যদি জনহোয়ারকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন তাহলে অন্যদের আর আপনাদের মাঝে পার্থক্য কোথায় ? সাধারন ধর্মপ্রান মানুষদের কে দুরে ঠেলে কাদের স্বার্থে কোন দেশের মানুষের জন্যে আন্দোলন ? '' জামাত মানে ইসলাম নয়'' এ কথাটাকি কান ধরে উঠবস করে বলে বোঝাতে হবে ?
যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রাখে তারা আস্তিক যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রাখে না তারা নাস্তিক, কিন্তু যারা ধর্মকে স্টুপিডিটি মনে করে তাদের স্টুপিড বললেও কম বলা হবে । নাস্তিক নিয়ে মাথাব্যাথা নেই কিন্তু যারা বিলিওন মানুষের বিশ্বাসকে নিয়ে খেলতে চায় যাদের অন্যের মতামতে শ্রদ্ধানেই তারা অমানুষের চেয়ও অধম।
আপনি দেশ প্রমী, ধর্মপ্রান যাই করুন না কেন রাজনৈতিক দল, নাস্তিকরা আর নব্যরাজাকার ও দালালরা বারবার মিডিয়া এ্যাটেনশন নিয়ে যেতে চাইবে বিদেশী চক্রের চোখে, কেও ভারতের, কেও পাকিস্তানের, কেও পশ্চীমাদের কেও আরব মিডিয়ার। সাথে আছে নতন ফ্রিম্যাসনিক সদস্যদের সরকারে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ এমনকি মোসাদের দালাল চক্র। শুনতে আজগুবি রুপকথা মনে হলেও মিলিয়ে দেখুন আমাদের সময় পত্রিকার ইতিহাস, মোসাদের বাংলাদেশ সফর, সেনা হত্যাকান্ডে মেইড ইন ইসরাইল, ভারতের মিডিয়ার সেনা হত্যাকান্ডের আগাম সংবাদ, রাজাকার মূসা বিন সমসের এর অস্ত্র ব্যাবসা যে কিনা একজন ফ্রিম্যসন ও শেখ পরিবারের আত্মীয়।
সব বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয় ব্যাখ্যা করাও সম্ভব নয়, নিরপেক্ষ হয়ে দেখুন সব দেখতে পাবেন নাহলে সারাজীবনই ''চোখ থাকিতে অন্ধ, হায়রে কপাল মন্দ''। আবার বলি জাতীয় স্বার্থে সবাই এক হবার চেষ্টা করুন। অসুষ্হ রাজনিতী থেকে সরে আসুন। রাজাকারদের ফাঁসীর দাবী কে, দেশের সাথে প্রতারনাকারী দেশের মানুষের সাথে প্রতারনাকারী সকল নব্য রাজাকারের ফাঁসীর দাবিতে পরিনত করেও লাভ হবে না। নিজেদেরই রুখতে হবে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের, সময় লাগবে কিন্তু থেমে থেকেই বা কি লাভ ? চেষ্টা করে যেতে হবে।
এক মন্তব্যে বলেছিলাম '' আমাদের ভুলের কারণেই আজ আমাদের এই হাল কারন দেশটা যদি ঘর হয় সেখানে যদি একমাস আগের আবর্জনার সাথে আরও নতুন আবর্জনা যুক্ত হয় আপনি কি করবেন পুরো ঘরটা পরিষ্কার করতে চাইলে ? শুধু পুরোনো আবর্জনা পরিষ্কার করলে আর নতুন আবর্জনা পরিষ্কার না করলে কি ঘর পরিষ্কার হবে ? যাদের কে ঘর পরিষ্কারের দায়িত্ব দিয়ে ঘুমিয়েছিলেন তাদের মাঝে কেও চুরি করে ভেগেছে বাকীরা কোন কাজ করেনি। কি করবেন এমন অবস্হায় ? নিজের ঘরটা নিজেরি পরিষ্কার করে নেয়াই উত্তম।
সকল রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের ফলাফলকে কাজে লাগানোর চেষ্টা পরিকল্পনা করেই যেতে থাকবে এমনকি সুশীলরাও। দলবাজ, পাক-ভারত ও বিদেশীদের দালালরাও সুযোগ নিয়ে মিশে যাবে জনতার বন্ধু হয়ে। ৪২ বছরে অভিজ্গতা কি একটু কাজে লাগানো যায় না ?''
লাকী আক্তারের উপর হামলায় সময় বলেছিলাম , ''এই আন্দলোনের চিৎকারে যদি ঘুম না ভাংগে সবার তাহলে শুধুই হতাশা।
নিজ দেশে নিজের মায়ের ধর্ষকদের বিচার চাইতে আরেক হায়েনাদের সাথে নিয়ে আন্দলোন করতে হয় আমাদের এটাও একটা হতাশা।
যদি এখনও আন্দোলনকে সঠিক দিকে ধাবিত না করা যায় তাহলে শুধু লাকী আক্তার কেন সমগ্রজাতিকেই ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে হবে অদূর ভবিষ্যতেই।
কি করবেন ? আসুন আগে চোখবুজে ঘুমিয়ে ছিলাম এখন চোখ খুলে ঘুমিয়ে থাকি সবাই। লাকী আক্তারে উপর হামলার বিচার চাইতে কার কাছে যাবেন কি করবেন ভেবে দেখুন।
আমার ঘৃণা রইল জামাত, বিএনপি, আওয়ামি লীগ সহ সকল রাজনৈতিক দল ও তাদের সামর্থকদের প্রতি। কারন শুধু নাম আর চেহারা বদল হয়েছে রাজাকারের কিন্তু রাজাকারগিরী বন্ধ হয়নি।''
যাদের ইসলাম চুলকানী আছে তারা দেশেরস্ভার্থে আপনার পাশে দাড়িয়ে নেই। তারা শুধুই জামাত বিরোধী কারন তাদের কাছে ইসলাম ও জামাতের কোন পার্থক্য নেই। তারা কেও চটি লেখে কেও মদ খায় যারা কলম দিয়ে কীবোর্ড দিয়ে ধর্ষন করে প্রতিদিন মানবতাকে। তারাও আপনার পাশে দাড়িয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
দেশবিরোধী চুক্তি করে যারা পুরো দেশটাকেই পতিতা বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে তারা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষবলেই আন্দোলনকে টিকতে দিচ্ছে। দেশের খনিজ সম্পদ নিয়ে কথা বলে দেখুন আপনাকে বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়ে দেবে। ঠিক যেমন বিএনপি জামাতকে জোট করে ইলেকশন করেছিল এর আগে আওয়ামিলীগ ও জামাতকে জোট করে ইলেকশন করেছিল ঠিক তেমনি আওয়ামি বিড়নপিকে সাথে নিয়ে জামাতের বিচার চাওয়াটাও হাস্যকর। তাছাড়া ৭১ এর গনহত্যা ও ধর্ষন নিজ স্বার্থ মনে করলে আবার বিচারের জন্যে বসে থাকালাগে নিজেরাই এর বিচার করা যায়।
তো ছায়াছবির গানটার কথাতো বলাই হল না। সোনার আশায় যারা সোনা খুজে না বেড়িয়ে বাংলার মাটিকে আকড়ে ধরুন যা সোনার চেয়েও খাঁটি ।
''সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা
সোনা নয় তত খাঁটি
তার চেয়েও খাঁটি বাংলার মাটি, বাংলাদেশের মাটি
আমার বাংলাদেশের মাটি
আমার জন্মভুমির মাটি।''
গনজাগরনের নামে যারা দেশপ্রেম কে ধর্মকে নির্দিষ্ট মতবাদে আটকে রাখতে চায় তারা মনুষ্যত্ব্যের শত্রু। মানবতার বিরুদ্ধে বিচার শুধু জামাতের কেন ? সকল মানবতা বিরোধীদের বিচার করা উচিৎ। অমানুষগুলো আপনার সাথেই কাধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে এদের সনাক্ত করুন আন্দোলন আপনা আপনি সফল হয়ে যাবে। নতুবা বরাংবরের মত ইতিসাহের পুনরাবৃত্তি।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের তালিকা : Click This Link
ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা Click This Link
১. ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪ ০