তোমরা এই শরীরকে পবিত্র রাখ তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে পবিত্র করে দেবেন। কারণ, যে বান্দা পবিত্র হয়ে রাত কাটায় তার সাথে এক ফেরেশতা রাত কাটায় এবং রাতের একটি ঘন্টা না পাল্টাতেই ঐ ফেরেশতা বলে, হে আল্লাহ! তোমার এই বান্দাকে ক্ষমা কর। কারণ সে পাক অবস্থায় রাত কাটিয়েছে (তাবারানী, কানয্ ৯ম খণ্ড, ১৬৯ পৃ: )।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন কোন মুসলিম বা মুমিন বান্দা অজু করে তখন তার চোখ, হাত ও পা দিযে যত গোনাহ হয়েছিল সেগুলো অজুর পানির সাথে ধুয়ে মুছে যায় (মুসলিম)। শেষে ঐ বান্দা গোনাহ থেকে একেবারে পাক ও সাফ হয়ে যায়। তিনি বলেন, যে মুসলমান ভাল করে অজু করার পর মন ও প্রাণ দিয়ে দু’ রাকআত নামায পড়ে তার জন্য বেহেশত অপরিহার্য হয়ে যায় (মুসলিম)। তিনি বলেন, আমার উম্মতকে কেয়ামতের দিন তাদের অজুর কারণে “গোররাম মোহাজ্জালীন” বা অজুুর অঙ্গগুলো চমকানো অবস্থায় ডাকা হবে।
অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার চমক বাড়াতে চায় সে যেন তাই করে। অর্থাৎ ভাল করে অজু করে [মুসলিম]। তিনি বলেন, অজুর পানি মুমিনের অঙ্গে যতটা পৌঁছবে তার অঙ্গের ততটা অংশ চমকাতে থাকবে। [মুসলিম]। তিনি বলেন, একমাত্র মুমিন ব্যক্তিই সর্বদা অজুু অবস্থায় থাকে [আহমাদ, ইবনে মাজাহ]। আর যে ব্যক্তি অজু থাকা সত্ত্বেও আবার অজু করে তার জন্য ১০টি নেকী লেখা হয় [তিরমিযী, মেশকাত,পৃ: ৩৮,৩৯]। আল্লাহর রাসূল (সা: ) একদা ফজরের নামাযের সময় বেলাল (রা: ) কে জিজ্ঞাস করেন যে, (মেরাজের রাতে) আমি বেহেশতে প্রবেশের আগে তোমার জুতোর খটখট আওয়াজ শুনলাম। এর কারণ কি? বেলাল (রা: ) বললেন, যখনই আমার অজু নষ্ট হতো তখনই আমি অজু করতাম এবং সেই সঙ্গে দু’রাকাআত নামায পড়তাম। আর যখনই আমি আযান দিয়েছি তখনই দু’রাকাআত নামায পড়েছি। রাসূলুল্লাহ (স: ) বললেন, এই হল ঐ ফযীলতের কারণ (তিরমিযী, মেশকাত, পৃ: ১১৭)।
রাসূলুল্লাহ (স: ) বলেন: অজুহীন ব্যক্তি যতক্ষণ না অজু করে ততক্ষণ পর্যন্ত তার নামায কবুল হয় না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত, পৃ: ৪০)। রাসূল (স: ) বলেন, যে ব্যক্তি শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে না তার অজু হয় না। [আহমদ, আবু দাউদ, বুলুগুল মারাম, পৃ: ৫]
আবদুল্লাহ আল বাকী
ইত্তেফাক অবলম্বনে । Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৩