ভাঙ্গাচোরা সিড়িঘরের ছাদের এককোনে বন্য আগাছা; চিরল চিরল ঘন সবুজ পাতার মাঝে সাদা সাদা বিন্দুর মতো ফুল। বর্ষা কোন বাছ বিচার করে না; সবাইকেই ছুঁয়ে যায়। আরেককোনায় একটা ফুটবল; দুমড়ে গেছে; সাদাকালো ছিলো একসময়; রোদে পুড়ে কালো ষড়ভুজগুলো এখন সব সাদাটে। তার পাশেই একটা দাঁড়কাক খুব চিন্তিত হয়ে বসে আছে। ঢাকা শহরের কাকগুলো খুব জেল্লাদার; এই কাকটার কাজল কালো শরীর পুরোই মেঘলা দুপুরের ঘুম ঘুম রোদে ঝিলিক দিচ্ছে। সাদাকালো আর সবুজে মিলে কি সুন্দর একটা দৃশ্য!!
ছয়তলার মায়াবী সবুজ ছোট্ট বারান্দায় দাঁড়িয়ে বহ্নি; মানিপ্ল্যান্টেদের পাতার বেষ্টনীর ফাঁকে ও চোখ ঘোরাল তিনতলা সমান সিড়িঘরের ছাদ থেকে পাশের দুতলা ছাদে। ‘L’ আকৃতির ছাদের ডানকোনায় সতেজ সবুজ ঘাসের গালিচা; কোথাও কোথাও সে গালিচার বুনন একটু ঘন, একটু অন্যরকম; থানকুনি পাতার মতো আগাছাদের রাজত্ব সেখানে। পাশের কাঁঠাল গাছ মুখ বাড়িয়েছে এই গালিচার ওপরে। পুরোনো নোনাধরা ছাদের রেলিঙয়ের ফাঁকে গাছ; একটু ছড়ানো পাতা; প্রত্যেক ডালের মাথায় তিনটে করে পাতা। বহ্নির মতো এই গাছটারও মনে হয় তিন পছন্দের সংখ্যা। রেলিঙ্গের পাশে চারটে নারিকেল গাছ অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে; ঘাসের গালিচায় চড়ুই পাখিদের বালখিল্যতা দেখে মহা বিরক্ত।
আষাঢ় মাস; মেঘমেদুর শান্ত ঝিমধরা দুপুরে নিভু নিভু আলোয় পুরোনো বাড়িটাকে দেখাচ্ছে শ্যাওলামাখা একটা রাজপ্রাসাদের মতো। রাজবাড়ির সামনে একটু ঘাসেঢাকা জায়গা। একটা ছোট্ট মেয়ে উবু হয়ে বসে আছে; হালকা গোলাপী হাতকাটা ফ্রক; খুব কোঁকড়ানো চুল মুঠো করে দুপাশে ঝুটি করা; ঝুটির সামনে সাদা প্লাস্টিকের ক্লিপ; পায়ে এই গরমেও সাদা জুতামোজা পরানো। সবুজের পটভূমিতে ঠিক যেন তুলোতুলো নরম মিষ্টি একটা হাওয়া-মিঠাই!!
চার আর পাঁচের মাঝামাঝি বয়সের এই মেয়েটার সমস্ত মনযোগ নিবদ্ধ সামনের গোলাপ গাছের দিকে। গাছের গোড়ায় পানি দেয়া হচ্ছে; ইট দিয়ে ঘেরা গাছের চারপাশের মাটিতে বুদবুদ; কালচে বাদামী মাটিতে সাদা সাদা ফেনার বৃত্ত। মেয়েটার সামনে মাথায় গামছা বাঁধা লুঙ্গি কোঁচা করে পড়া মালী কাকু দাঁড়িয়ে। “কাকু আমাকে একটু গাছে পানি দিতে দাও না!!!” “খবরদার!!! পানির পাইপে হাত দিবা না...সেদিন কি করছ মনে নাই?” সেদিন কাকু একটু ওদিকে যেতেই ও ভাবেছিলো কাকুকে সাহায্য করি। ওমা!! হাতে নিতেই পাইপটা সাপের মতো নিজের ইচ্ছায় এদিকে ওদিকে পানি ছেটানো শুরু করলো; চারপাশ আর বহ্নি ভিজে সারা। অনেক কষ্টে পাইপটা ও একটা ফুলগাছের গোড়ায় নামিয়ে রাখলো; কিন্তু পানির তোড়ে সে গাছ নাকি হেলে গেছে!! বহ্নিতো ইচ্ছে করে এমনটা করেনি। ও ভিজে গেছে বলে নানা বিরক্ত হয়েছিলেন; তারপরে থেকে বহ্নি বাগানে আসলে কাকু চোখে চোখে রাখে। ও খুব চেষ্টা করছে কাকুর মন ভালো করার; সেদিন বাসার পেছনের মাটি থেকে কেঁচো ধরে এনে বাগানের গাছগুলোতে দিয়েছে। একটা বইয়ে পড়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো...বাবাও বলেছে যে কেঁচো গাছেদের বন্ধু।
বিকেলের আলো একটু পড়ে আসতেই ‘আয়ামা’ প্যারাম্বুলেটর নিয়ে হাজির “বহ্নি চলো...রাস্তায় হেঁটে আসি...”
“আমি প্যারামে চড়বো না...আমি বড় হয়ে গেছি...নাআআ...”
“আচ্ছা...কিন্তু হাত ধরে থাকতে হবে কিন্তু আর এদিকে ওদিকে দৌড় দেবে না...রাস্তায় যখন তখন গাড়ী রিক্সা চলে আসে...”
শক্ত করে ডলপুতুলের হাত ধরে আয়ামা গেটের দিকে আগালো; যাবার পথে দারুচিনির সুগন্ধ। বহ্নি জানে একটু আগালে তেজপাতার গাছ; নানার খুব গাছের শখ। মস্ত বড় গেট দিয়ে ঢুকলে ড্রাইভওয়েতে দুপাশে সারি দিয়ে হরেকরকম গাছগাছালী। জামরুল গাছ দুটো বহ্নির সবচেয়ে পছন্দের। আলো আলো আভার সাদা জামরুলে ছেয়ে গেলে গাছ দুটোকে খুব সুন্দর দেখায়। তবে বহ্নির ভালো লাগে যে গাছ থেকে টাটকা জামরুল পাড়লে সেগুলোতে বড় বড় কালো পিপড়া থাকে। এই পিপড়াগুলো খুব ভালো; ধরলেও লালগুলোর মতো সহজে কামড়ায় না।
গাছের সারি পেরুতেই দারোয়ান মামা ছোট গেটটা খুলে দিল “শোন মামনি...সেদিনের মতো দৌড় দেবা না কিন্তুক...যা ভয় পাইসিলাম...” বহ্নির আবারো একটু মন খারাপ হলো...ভয় পাবার কি আছে? মা থাইল্যান্ড থেকে বেড়াতে এসেছিলো...এইতো গতসপ্তাহেই চলে গেলো। সবাই একটু ব্যস্ত থাকাতে খেয়াল করেনি যে এক ফাঁকে বহ্নি বাসার বাইরে চলে গেছে। খোঁজ পড়তেই দেখা গেলো সাত মসজিদ রোডের একদম মধ্যরেখা বরাবর আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বহ্নি। সত্তরের দশকে রাস্তা ফাকা ফাঁকা; যখনই কোন গাড়ি বা রিক্সা যাচ্ছে ও হাত নাড়িয়ে টা টা দিচ্ছে। আয়ামা মাকে ডেকে আনতেই মা রাস্তা পেরিয়ে ওকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে এলেন। মা এতো ভালো; সবাই রাগ হলেও মা রাগেনি “মা সন্টু তুমি এরপরে গাড়ি দেখতে গেলে একা যাবে না...ঠিক আছে? কাউকে সাথে নিয়ে যাবে...সবাই মিলে গাড়ি দেখতে মজা না?” মায়ের কথা মনে পড়তেই বহ্নির বুকের মধ্যে কেমন করে উঠলো; মা যাবার সময়ে এয়ারপোর্টে এত্তো কাঁদে; বহ্নির একটুও ভালো লাগে না। “এইতো আর একবছরও না...পড়া শেষ হয়ে যাবে...দুষ্টামি করো না...বাবার কথা শুনবে...নানা নানীকে জ্বালাবে না...মা সন্টু!!!” মা পড়তে গেছে বলেইতো বছরখানেক বাবা, বহ্নি আর আয়ামা নানা নানীর সাথে থাকতে এলো।
গেট পেরিয়ে রাস্তায় পা দিতেই বহ্নির মন আবার ভালো হয়ে গেলো; রাস্তার ওপাশে চায়ের দোকান; ওখানে নাবিস্কোর লজেন্স পাওয়া যায়...কি যে মজা!!! মেজোমামা আর ছোটমামা বাসায় ফিরেই হাক দেন “বহ্নি কই গেলি...আজকের গাল টেপা পাওনা আছে...” মামারা নিয়ম করে গাল টেপেন...না হলে নাকি গালগুলো শক্ত হয়ে যাবে; গালটেপা শেষ হলেই কমলারঙ্গা লজেন্স। আজকের গালটেপা এখনো বাকি!!! বহ্নি আজ লক্ষী ছিলো; দৌড়াদৌড়ি করেনি; পুরোসময় আয়ামার বামহাতের আঙ্গুল ধরে ছিলো। বাসায় ফেরার সময় আবারো বাসার গেটটা নিয়ে একটু চিন্তিত হলো ও। মস্ত বড় লোহার চতুর্ভুজ গেটটা কোনাকুনি দুটো কালোরঙ্গের লোহার পাত দিয়ে চার ভাগ করা; দুটো ভাগ লাল, সবুজ, আর দুটো ভাগ হলুদ। একটা ভাগ হলুদ না দিয়ে নীল হলে ভালো দেখাতো...নানাকে বলতে মনেই থাকে না।
নানা বহ্নিকে খুব আদর করেন; ও বুঝতে পারে। খুব কম কথা বলেন; বহ্নি কখনো ওনাকে উঁচু স্বরেও কথা বলতে শোনেনি। তবুও কেন যেন সবাই নানাকে খুব ভয় পায়। বহ্নিই একমাত্র নানার সাথে বারান্দায় বসে বসে অনেক গল্প করে, যখন কাজ থেকে ফিরে বেতের ইজিচেয়ারে আধশোয়া হয়ে পাইপ খান অথবা ছুটির দিনে সকালের চা। রবিবারে বাজার করতে গেলে নানা মাঝে মাঝে বহ্নিকে নিয়ে যান। মস্ত কালো Morris Oxford গাড়ির লালচে চামড়ার গদিতে বসলে ওর মনে হয় একটা বিশাল জাহাজে চড়েছে। পেছনের সিটে বসে সিগারেটের ছাই ফেলার বাক্সটা বার বার খুলতে আর বন্ধ করতে বেশ মজা। “মা…বক্সটা বার বার খুলেন না…নষ্ট হয়ে যাবে…” ড্রাইভার মামা কি যে ভালো!! একমাত্র উনিই বহ্নিকে আপনি করে বলেন।
গেট খোলা না থাকলে বাজার সেরে ফিরলে ড্রাইভার মামা গেটের সামনে হর্ন বাজায়; অনেক জোরে অনেক লম্বা একটা হর্ন। দারোয়ান মামা দৌড়ে এসে গেট খুলে দেয়। নানীর খুশী ঝলমলে মুখ “দেখি দেখি কি কি বাজার করলে?” নানা গর্বিত মুখে এক বিশাল মাছ ওজন করার হুকে ঝোলান; ওজন না করে এই বাসায় কোন বড়মাছ খাওয়া হয় না। খোলামেলা বিশাল খাওয়ার ঘরে নানী কোটাকুটি করতে বসেন। কাঠের টুকরো পেতে বিরাট এক ঝকঝকে বটির ফলা লাগানো হয়; বুয়ারা কোটাবাছায় সাহায্য করে। আজ ছুটির দিন; সব টাটকা টাটকা রান্না হবে। নানা খাবারের ব্যাপারে খুব শৌখিন; উনি নিজেও খুব ভালো রান্না করেন।
বাজার কাটাবাছার সময়ে বুয়াদের আর আয়ামায়ের কাজ হচ্ছে বহ্নিকে আগলে রাখা। নানীর খুব ভয়; ও যা চঞ্চল; কখন দৌড়ে এসে এই বিশাল বটির ওপরে পড়ে। নানী খুব সুন্দর করে সবজি কাটেন; কি ভাবে যে পেয়াজ আর আলু এত্তো মিহিন করে কুচি করেন? বহ্নি মুগ্ধ হয়ে দেখে; ও বড় হলে ঠিক ঠিক শিখে নেবে। বড় হলে বহ্নি আরো দুটো কাজ করবে; দোকানের সব লজেন্স কিনে ফেলবে আর বাসার সামনের নারিকেল গাছগুলোতে চড়ে ডাব পেড়ে দেবে।
নানী বহ্নিকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান; এতো চঞ্চল আর দস্যি একটা মেয়ে। বকতেও মায়া লাগে; কে জানে মা কাছে নেই বলেই এতো দস্যিপনা করে কিনা!! প্রায় প্রতিদিনই পাশের ইউনিসেফের অফিস থেকে লোক এসে হাঁস মুরগী ফেরত দিয়ে যায়। “বহ্নিইইই... হাঁস মুরগীদের কেন এমন করিস?” “নানী আমিতো ওদের কোলে নিতে চাই...কেন যেন ওরা ধরতে গেলেই দৌড়ে দেয়াল টপকায়...” বড় বড় সরল চোখের টোবা টোবা গালের ছোট্ট মেয়েটাকে এরপরে নানী আর বকতে পারেন কই!!
সন্ধ্যা নামলে বাবার কাছে পড়তে বসা। বহ্নির পড়ার বই একদম ভালো লাগে না, বিশেষ করে বাবা যখন পড়া ধরেন। ও এর মধ্যেই পড়তে শিখে গেছে; গল্প আর ছড়ার বই পড়তেই মজা। সামনের বছর থেকে স্কুলে যাবে। রাত একটু বাড়লেই আয়ামা খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। মাঝেরাতে ঘুম ভাঙ্গলে হাতড়ে হাতড়ে বাবার বুকে “ভয় লাগছে বুড়ি?” নানী প্রথম দিকে কয়েকবার ওনার সাথে রাতে ঘুম পাড়িয়েছিলেন। বহ্নি মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে বাবার ঘরে চলে এসেছে। রাত্রিবেলা খাট থেকে নামতে বহ্নির খুব ভয় করে; খাটের নীচে ভুত থাকে; যদি পা টেনে ধরে!!! খাট থেকে নামতে হলে দূরে লাফ দিয়ে নামে। শুধু বাবা কাছে থাকলে ওর এই সব ভূত প্রেতদের ভয় লাগে না। ও বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। বাস্তবের ভূত প্রেতরা কল্পনার চেয়ে অনেক ভয়ঙ্কর; বড় হতে হতে ও বার বারই বাবার আঙ্গুল ধরেছে। “এই গৃহ এই সন্ন্যাস/ তার বুকে আছে/ তার বুকে আছে স্বর্ণচাঁপার গাছ, আকাশের মতো বড়ো নীল পোষ্টাপিস...অরণ্যের চিত্রকলা, গোপন স্টুডিও;/তার বুকে আছে দেরি করে ঘরে ফিরে ডাক দিলে যে দেয়/দুয়ার খুলে/ সেই ভালোবাসা,/ যে এসে ভীষণ জ্বরে মাথায় কোমল হাত রাখে সেই দুঃখবোধ…...তার বুকে আছে গোপনীয় খাম হাতে সোনালি পিয়ন।”
কাকটা উড়াল দিতেই স্মৃতির মায়াজাল ছিন্ন হলো। একটু আগেই ভাঙ্গা রাজপ্রাসাদে বহ্নির ছেলেবেলা যে আলো গান কোলাহল নিয়ে ঝলমল করছিলো হঠাৎই সে দেউটি নিভলো। সামনের বছর এই নোনাধরা বাড়িটা থাকবে না; নতুন ঝকমকে ভবন উঠবে। অনেক বছর আগে এই বাড়িটাতে কোন এক ভোরবেলায় খুব উত্তেজনা। রাতে চোর এসে একতলার বারান্দার নেট কেটেছে; ছিটকিনি খুলে নানার ঘড়ি চুরি করে নিয়ে গেছে। বহ্নির সাড়ে চার বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এমন দারুন ঘটনা আর ঘটেনি। ও সবার পিছু পিছু ঘুরে চোরের গল্প শুনছে। নানী তাড়াতাড়ি বহ্নির চেয়েও উঁচু খাটের তলা থেকে লোহার ভারী সিন্দুক টেনে বের করলেন। সংসার চালানোর টাকা পয়সা সব ওখানে থাকে। ডালা খুলে সব দেখে শুনে নিশ্চিন্ত হলেন; নাহ্ কিছু চুরি হয়নি!!
বহ্নির কেন অমন একটা সিন্দুক নেই? আজ অনেক অনেক দিন পরে সেই দুঃখে বহ্নির চোখে জল টলোমলো; সব হারিয়ে যাওয়া মানুষদের প্রানভোমরা ওই লোহার সিন্দুকে ভরে রাখতো। মানুষগুলো সব হারিয়ে গেছে। নানা নেই, নানীও গত হয়েছেন; বাবাও চলে গেছেন। সময় সব চুরি করে নিয়ে গেছে; বহ্নি বুঝতেও পারেনি কখন সময় সিঁদ কেটেছে। বড় হবার নেশায় সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো ও হারিয়ে ফেলেছে। বড় হওয়ার যে কি কষ্ট তা কেন যে শুধু বড় হয়ে যাবার পরেই বোঝা যায়?
বৃষ্টি পাগল দিনে মৌ মাখানো স্মৃতির গন্ধে অভিমানী একটা মুখ; ভ্যাপসা গরম; মেঘেরা আজ জল ঝরাবে বলে মনে হয় না। অক্ষম আকাশ চেয়ে চেয়ে দেখলো সবুজের ঘেরাজালে সময়ের হাতে জিম্মি একটা মেয়ে; যা নেই তা হারিয়ে যাবার দুঃখে ওই বোকা মেয়েটা একা একা আকুল হয়ে জল ঝরাচ্ছে।
© শিখা রহমান
বিঃ দ্রঃ গল্পে ব্যবহৃত কবিতাটি মহাদেব সাহার লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮