পাঁজরের নিচে,
বুকের বাম পাশে,
বেদনায় নীল নীল
একটা ক্ষত আছে।
এমন গভীর,
এমন গোপন,
এমন কষ্টের,
এমন পবিত্র,
বড় যত্নে লুকিয়ে রাখা
আর খুব আপন!!
ক্ষতটা দিনরাত কুরেকুরে খায়।
পুরোনো আসবাবে ঘুনপোকার মতো
ঝাঝঁরা করে দেয়।
কখনো কখনো বা
লঙ্কা নুন মাখিয়ে,
কাঁচা আম ভর্তার মত
তারিয়ে তারিয়ে খায়।
নির্দয় ভাবে,
খুব নির্মমভাবে,
বিন্দুমাত্র অনুতাপ ছাড়া
ক্ষতটা অহর্নিশি আমাকে খায়।
একলা দুপুরে,
রাত্রি গভীরে,
ব্যস্ততার মাঝে,
ওই ক্ষতটাকে নেড়েচেড়ে দেখি।
আহত বাঘিনীর মত
বারংবার চেটেপুটে তাজা করে নেই তাকে।
তীব্র ব্যথায় দমবন্ধ,
নিঃশ্বাসে কষ্ট..তবু
গোয়াঁরের মতো ক্ষতটাকে জিইয়ে রাখি।
ভালোবাসার কষ্ট নাকি
কষ্টকেই ভালোবাসা?
শুধু জানি ক্ষতটা তোমার দেয়া বলেই
এতো প্রিয়, এমন আপন,
এতোখানি ভালোবাসি।
তুমি নেই,
তোমার দেয়া ক্ষতটা রয়ে গেছে।
ক্ষতটা জানে
তুমি ছিলে, আমরা ছিলাম,
ভালোবাসা ছিলো,
ভালোবাসা আজও আছে।
ক্ষতটাকে তাই বেপরোয়া ভালোবাসি।
শিশুর হাসির মতো পবিত্র,
জোৎস্নার মতো রাজকীয়,
প্লাবনের মতো সর্বগ্রাসী,
ঘূর্ণিঝড়ের মতো দামাল,
এই ক্ষতটাকে
আমি ঠিক তোমার মতোই ভালোবাসি।
© শিখা রহমান
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭