বৃষ্টি নামলেই সব খুলে দেই;
চুলের বাঁধন, চোখের কাজল,
ঠোঁটের লালিমা, শাড়ির আঁচল।
জলের সাথে কোন আড়াল রাখি নাতো!!
জলের ভ্রমণ কোমরের বাঁকে বাঁকে,
অসূর্যস্পর্শ্যা শঙ্খশাদা উরুর ফাঁকে,
সুডৌল গোড়ালিতে, মসৃণ পিঠের ঝলকে।
কানের লতিতে, চোখের পল্লবে
জলের ঝুমকো দোলে।
বৃষ্টি জেনে যায় বুকের খাঁজের গোপন সুগন্ধ,
নিতম্বের লালচে বাদামী তিলের স্থানাঙ্ক।
বৃষ্টি নামলেই
বাদামীরঙা ঝাঁ চকচকে যৌবন দ্রবীভূত,
খানাখন্দ, রাস্তা, শহর পেরিয়ে বয়ে
চলে নদীতে, সমুদ্রে...
মেঘ হয়ে সে ঝরে পড়ে কোন একদিন
তোমার শহরে।
পার্কের বেঞ্চিতে চুপচাপ বসে তুমি,
অথবা আনমনে ফুটপাতে,
হঠাত বরষা ভেজায় তোমায়।
নিঃশব্দে জল ঝরে ঝাঁকড়া চুল বেয়ে,
চোখের ঘন পল্লবে।
ওই তপ্ত সিসা ঠোঁটে
নিকোটিনের গন্ধ মেখে জল
বাষ্প হয়ে ওড়ে।
সুরঞ্জন!! তুমি জানবেও না কখনো,
জলাবর্তে ছুঁয়ে যাই তোমায় বারংবার,
খুব সংগোপনে!!
© শিখা রহমান
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৭