কবিতার যে পংক্তিরা পলাতক,
থাকুক ফেরারী তারা।
কোন একটা নিরালা দুপুর যখন
রোদের গন্ধ মেখে উড়ে যাবে বিকেলের দিকে,
চিলেকোঠার নির্জনে একজোড়া বোবা ঠোঁটে
জিভের নরমে আমি বুনে নেবো
রোমাঞ্চকর কাব্যকথা।
যে শব্দরা ছড়িয়ে গেছে পথে ঘাটে বন্দরে প্রান্তরে,
থাকুক ভ্যাগাবন্ড তারা।
কোন এক দমকা হাওয়ার দিনে,
কারো উস্কুখুস্কু ঝাঁকড়া চুলের অরন্যে,
আঙুলে চিরুনিতে আমি খুঁজে নেবো তাদের।
যে শব্দরা বেওয়ারিশ,
অদৃশ্য ঝরুক তারা টুপটাপ বৃষ্টির মতো।
হুডতোলা শহরে কোন এক ঘোর বরষাদিনে,
রংগিন প্লাস্টিকে মোড়া ভালোবাসার উষ্ণতায়
পড়ে নেবো বৃষ্টির অবারিত পতনের কথা।
যে গল্পরা ধরা দেয়নি,
থাকুক তারা অসমাপ্ত ।
ফুলতোলা চাদরে,
ছোঁয়াছুঁয়ির কাঁধ বেয়ে যখন নামবে
বন্য আদিম ভালোবাসাবাসির নুন,
থৈ থৈ অন্ধকারের পরতে পরতে
খুলে শরীরের জোৎস্না, অবিন্যস্ত আঁচলে
লিখে নেবো সেই গল্পদের সমাপ্তি।
তোমার রুক্ষ গালের চোরকাঁটায়,
নীলচে আভার বিষন্নতায়;
বরফিকাটা চিবুকে, মুখের প্রিয় জ্যামিতিতে;
থাকুক আমার হারিয়ে যাওয়া পঙক্তিমালা,
অধরা সব গল্পগুলো।
লোমশ বুকের নেশা গন্ধে,
আর চোখের মাতাল চাউনিতে,
খুঁজে নেবো তোমার আমার গল্পগুলো।
বারংবারই তাদের লিখবো আমি কথা দিচ্ছি।
© শিখা রহমান
(ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯