সমুদ্র নই ছেলে,
নই অতলান্ত জল।
সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া সামান্য শঙ্খ আমি।
জলের গর্জন নেই,
নেই রক্তে ঝড় তোলা যুদ্ধদামামা,
অথবা ভায়োলিনের বিষন্ন সোনালী সুর,
তীক্ষ্ণ অথচ বিষন্ন,
লেপটে থাকে সন্ধ্যার গায়ে বিকেলের মতো।
শঙ্খ আমি,
কেবলই বাজি তোমার ছোঁয়ায়।
আয়না ভেঙ্গে গেছে, অবয়বহীন
শুধু ভাঙ্গার আওয়াজ মনে আছে।
মুখ ভুলে গেছি,
বাতাসে তবু রয়ে গেছে রূপসীর বুকের সুগন্ধ।
কাচভাঙ্গা মিহিন শব্দের মতো,
বাতাসে ভাসা ধুপকাঠির চন্দন গন্ধের মতো,
আমি দূরাগত অস্পৃশ্য শঙ্খধ্বনি।
স্বরলিপি মেনে সুর তোলা অসংখ্য প্রেমিকা তোমার।
ভালোবাসা দৃশ্যমান গীটারের ছয়তারে,
নূপুরের ঝংকারে, পিয়ানোর
সাদাকালো রীডের মূর্ছনায়।
পরিব্রাজক তুমি, তাদের জলসায় মুগ্ধ শ্রোতা তুমি।
তুমি সমুদ্র, তুমি অতলান্ত জল।
নগণ্য শঙ্খ আমি।
তবু একবার ছুঁয়ে দেখো ছেলে,
কান পেতে শুনে দেখো।
শুনতে কি পাও
সমুদ্রগন্ধী নোনা হাওয়াদের ফিসফাস?
ঢেউয়ের প্রমত্ত গর্জন?
তুমি সমুদ্র। তবু শঙ্খের কাছে
জেনে নিও সমুদ্রের উন্মত্ততা,
অতল জলের আহ্বান।
জেনে রেখো ছেলে…
নগণ্য শঙ্খের বুকেই বন্দী
পরাক্রমশালী সমুদ্র।
© শিখা রহমান (২৩শে মে, ২০১৮)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৫০