দুনিয়া বদলে দেয়ার মত একটা আইডিয়া!
বাংলাদেশের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটা হলো চিকিৎসা। যা অন্য মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম। মহান মুক্তিযুদ্ধে সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহন ছিল, বিশেষ করে মৌলিক অধিকারের দাবীর প্রেক্ষিতে। কারন পাকিস্থান সরকার এসব বিষয়ে আমাদের প্রতি জুলুম করতো। বিশেষকরে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল খুবই নগন্য। মফস্বল অঞ্চলে আধুনিক চিকিৎসা ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু দূঃখের বিষয় হলো- দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হতে চলছে, তবুও নেই কোন আশানুরুপ অগ্রগতি! এটা বড়ই পরিতাপের বিষয়।
বিভিন্ন সময় আমরা পত্র পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যে ভয়ানক চিত্র উঠে আসে, তা দেখে চরম মর্মাহত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা। তবে আশার বাণী হলো এই, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রচেস্টায়, বিভিন্ন জেলায় রক্তদান ফাউন্ডেশন, এবং বিনামুল্যে ঔষধ বিতরন ও চিকিৎসার ক্যাম্প করা হচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় খুব স্বল্পপরিসরে হচ্ছে।
অথচ আমরা চাইলে, এই প্রচেস্টায় গ্রাম বা শহরের নিন্ম আয়ের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাড়াতে পারি, একটা সঠিক কৌশলে।
এর জন্য উচ্চবিত্তদের একটু পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হতে পারে। সাথে সামাজিক ডাক্তারগন আমাদেরকে সহযোগীতা করতে হবে। এভাবে কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারলে, বিভিন্ন ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টানও স্পন্সর করতে পারে।
কৌশলটা কিঃ
প্রত্যেক জেলায় একটি ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এখানে ঐ জেলার মেডিক্যালে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহন থাকলে ভাল হয়। অথবা বিত্তবান ছেলেমেয়েরা যৌথভাবে টিম গঠন করতে পারে। তারপর যা করতে হবে, কয়েকজন অর্থাৎ দশজনের একটা উপদেষ্টামন্ডলীর প্যানেল করা যেতে পারে। এই প্যানেলে ঐ জেলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন থাকবেন। তারা তাদের ভিজিটের ফিজিশিয়ান সেম্পলগুলো দিয়ে, ফ্রি ঔষদের চাহিদা পুরন করবেন। একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হবে, যেখানে কয়েকজন দানবীর বিত্তশালী ব্যাক্তিগনকে রাখা যেতে পারে। উনারা ক্যাম্পেইনের খরচ বহন করবেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সবই হলো, ডাক্তার পাবো কোথায়?
তাও হবে ইনশাল্লাহ! যেমনটা এখনও প্রায় এলাকাতে ক্যাম্পেইন যেভাবে হয়, এখনও সেভাবেই হতে পারে।
অথবা, সংগঠনের মাধ্যমে ঐজেলার সরকারী ডাক্তারগনকে বিশেষ অনুরুধের মাধ্যমে, প্রতিমাসে ১ দিনের জন্য স্থায়ীভাবে দাওয়াত করা যেতে পারে। এমন মহান উদ্যোগে উনারা অবশ্যই খুশি হয়ে দাওয়াত গ্রহন করবেন। এছাড়াও ডিএমএফ ডাক্তারগনকেও এই ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহনের জন্য দাওয়াত করতে পারেন।
অপারেশনের রোগীরা কি করবেঃ
ঔষধের প্রয়োজন হলে হয়ত ঔষধ দিতে পারবেন। কারন, আপনাদের নিকট ডাক্তারের কাছ থেকে পাওয়া ফিজিশিয়ান সেম্পল আছে। গর্ভবতী মায়ের জন্য হয়ত ব্লাড ডোনার আছে। কিন্তু অপারেশনের রোগীর জন্য কি করবেন?
ভাবছেন, আসলেই তো ! তাদের জন্য কি কিছু করতে পারবনা?
কেন নয়! স্বদিচ্ছায় সবই সম্ভব!! আপনাদের প্রতিস্টিত যে সংগঠনটি থাকবে, এই সংগঠনই সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে দাড়াবে। কারন, সংগঠনে কেউ একা নয়। এখানে কেউ দেখবাল করার দায়ীত্ব নেবেন। কয়েকজন মিলে ফান্ড সংগ্রহ করবেন। কেউ কেউ উপদেস্টাগনের সহায়তায়, হাসপাতাল কতৃক যে সুবিধা আদায় করা যায়, তার পুরোটা নেয়ার চেস্টায় থাকবেন। যা ঐ গরীব রোগীর দারা আদায় করা সম্ভব হতোনা।
এভাবেই চিকিৎসায় দুনিয়া বদলে দেয়ার মত তাক লাগানো কাজ করে, পাল্টে দিতে পারবো আমাদের জন্মভূমিকে।
শুধু রাতপোহানোর জন্য একটি ছেলেকে জেগে উঠতে হবে। রোগবালাই ডটকম সবসময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে, সাথে থাকবে ইনশাল্লাহ। এই খবরটি সবার নিকট পৌছে দিতে পারলে, আশা করি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায়, একটি করে ফ্রি চিকৎসা ক্যাম্প কমিটি হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৭