ওয়াকিং টু মার্থাস ভিনিয়ার্ড
ফ্রাঞ্জ রাইট
বাংলা বিনির্মাণ: ঋতো আহমেদ
প্রকাশকাল: অক্টোবর, ২০২০
প্রকাশক: মো: জাহিদুল হক চৌধুরী রাজীব, চৈতন্য
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
অনলাইন পরিবেশনা: http://www.rokomari.com
মুখবন্ধ
বছর দুয়েক আগে আমেরিকান এক কবি-বন্ধুর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে হঠাৎ চোখ পড়ল— ”I was still standing/ on a northern corner./ Moonlit winter clouds the color of the desperation of wolves..”। মুহূর্তেই বিদ্যুৎ খেলে গেল আমার মধ্যে। কে এই কবি? কে লিখেছেন এই অসম্ভব soulful পংক্তিগুলো! কৌতূহল বশত খুঁজতে লাগলাম তাঁর নাম। ইন্টারনেটের কল্যাণে আজকাল আর অসম্ভব কিছু নেই। পেয়ে গেলাম কবির নাম—ফ্রাঞ্জ রাইট। কবিতাটির নাম 'year one',.. Walking to Martha's Vineyard কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা। যে করেই হোক বইটি আমার হাতে পাওয়া চাই। তখন এমদাদ রহমানের অনুবাদে আমেরিকান আদিবাসী কবি জয় হার্জোর (বর্তমানে তিনি আমেরিকার পোয়েট লরিয়েটের দায়িত্ব পালন করছেন) একটি সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম খুব। মনে হলো দেখি ইন্টারনেটে ফ্রাঞ্জের কোনো সাক্ষাৎকার পাওয়া যায় কিনা। কবিকে আরো গভীর ভাবে জানার জন্য তড় সইছিল না আমার। পেয়ে গেলাম আইলিয়া কামিনস্কি আর ক্যাথরিন তাওলারের নেয়া একটি সাক্ষাৎকার। পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়ার পর সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হয়েছিলো। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ে যাচ্ছিলাম আমি। অসাধারণ সব কথাবার্তা। মনে হচ্ছিল এ যেন আমারই কথা। অনুবাদ করতে বসে গেলাম। এই বইয়ের শেষ দিকে সাক্ষাৎকারটির বাংলা অনুবাদ সংযুক্ত করা হলো। আশা করছি পাঠক নিরাশ হবেন না।
সাক্ষাৎকারে কবি পত্নী এলিজাবেথের কথা আছে অনেকবার। শেষ জীবনে এই বেথ-ই ছিলেন কবির আশ্রয়। আমাজনে অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম, তাই, সপ্তাহ দু-একের মধ্যে সুদূর আমেরিকা থেকে উড়ে এলো সেই আশ্চর্য বই Walking to Martha's Vineyard. আর বেথকে মেসেঞ্জারে অনুরোধ করেছিলাম যেন ফ্রাঞ্জ ও তাঁর লিখা নিয়ে কিছু একটা লিখে পাঠান আমাকে। তিনি অনুরোধ রেখেছেন। এখানে তার সেই কথাগুলো সরাসরি ইংরেজিতেই সংযুক্ত করেছি।
—ঋতো আহমেদ
৪ঠা অক্টোবর, ২০১৯; উত্তরা, ঢাকা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৮