১। বোটানিকাল গার্ডেনের বেঞ্চে বসে ঐকান্তিক ভালোলাগায় আলো-ছায়ার নিরন্তর নৈসর্গিক খেলা দেখি। কোলাহল কি আরোপিত নীরবতার বাইরে অবস্থান করে।
২। “সুন্দর সকাল। আমার কি এক কাপ কফি খাওয়া উচিত নাকি নিজেকে মেরে ফেলবো?” – ক্যামুর উক্তি। আজকাল হাসিমুখেই সেই নিষ্পৃহতাকে অনায়াস দক্ষতায় সকলে আত্মস্থ করতে শিখে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে এমনটা কেউ বলে থাকলেও তার সাথে তর্কের অবকাশ সামান্যই।
৩। রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুলের পাশ দিয়ে যেতে যেতে রাতেরবেলাকে রহস্যমন্ডিত দেখায়। এই রহস্যের উৎস কোথায়? তখন তো সেই জায়গায় ছিনতাইকারীদেরই দৌরাত্ম্য।
৪। সামাজিক হবার অথর্ব প্রবণতায় দিনে দিনে ক্রমশই অসামাজিক হয়ে উঠছি। সিনিকালও। আয়নায় চোখ পড়ে গেলে নামিয়ে নেই। আর কেউ কি এমন করে ভাবে নিজের সম্পর্কে? ভেবে থাকলে একদিন তার সাথে চা খেতে খেতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতাম।
৫। গুলিস্তানের দুপুরগুলো বড্ড বেশী জীবন্ত। তার অন্তর্গত সমগ্র উষ্ণতা নিয়ে।
৬। তেজগাঁয় আরো একজনকে কুপিয়ে হত্যা। পত্রপত্রিকাগুলো শিরোনামগুলো দিয়েছে যে ‘আরো একজন ব্লগার খুন।’ কি বীভৎস!!!! একটি হত্যাকে জায়েজ করবার কি এক কদর্য প্রচেষ্টা।
৭। সংবেদনশীল মানুষ মাত্রই কি মরবিড হয়ে থাকে? পাকেচক্রে সময়ের ফেরে এই বাস্তবতায় এসে আমরা উপনীত হয়েছি এই সম্ভাব্যতাকে কোনভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায়না। যে যেমনভাবে দেখে থাকে আর কি।
৮। পত্রপত্রিকার পাতায় চোখ বুলাই না অনেকদিন হয়ে গেলো। কম করে হলেও পাঁচ বছর তো হবেই। এই ভেবে স্বস্তিবোধ করি যে বাংলাদেশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়নি। হয়তো আমরা তলানীতেও মধ্যমসারিরই থেকে যাবো।
৯। সার্কাস সার্কাস। সর্বত্রই পূর্ণাঙ্গ সার্কাস। শোবার ঘর থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দান সবই ভাঁড়ামীর কাছে বিক্রিত। প্রথমটি বিবমিষাকর। দ্বিতীয়টি কৌতুকের জন্ম দিয়ে থাকে। এই জন্মে সৃষ্টির আনন্দমুখর বেদনা অনুপস্থিত।
১০। সাদা ফুলস্কেপ কাগজে অবিরাম কুৎসিত, কদর্য, ছাপার অযোগ্য সব কথা লিখে লিখে পূর্ণ করে দিতে ইচ্ছা করে। ইচ্ছাটা মাঝেমাঝে তীব্র হয়ে উঠে। যখন উপলব্ধি করি ক্রীড়নক হয়ে অক্ষম রাগে ফুঁসতে থাকে ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই যাতে স্বস্তি পেতে পারি।
১১। সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে সবসময়ই কেন ব্যস্ততার এই হাস্যকর ভনিতা? কুৎসিত, চরমতম কুৎসিত। আমার অত্যন্ত অপ্রিয় একটি দৃশ্য।
১২। সমগ্র সমাজটিই আপাদমস্তক একটি দুরারোগ্য ব্যাধি হয়ে উঠেছে।
১৩। আমি কেন এসব লিখছি?
১৪। শেষের প্রশ্নটির উত্তর জানিনা।
১৫। আমি আরো অনেক কিছু জানিনা।
১৬। এই কথাটি জানতেও অনেক সময় লাগলো।
১৭। যতোটুকু সময় নষ্ট হলো আসলে জীবনের কাছ থেকে প্রাপ্তিও ততোটুকুই।
১৮। আমি এটা জানি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৪