ইন্টারনেটে খোঁজ মেলে না এমন বিষয় খুব কম আছে। অতীত ইতিহাস, বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ, এমনকি ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে, ক্ষেত্রবিশেষে তারও জবাব মেলে আধুনিক যুগের তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার এই ইন্টারনেটে। তবু এমন ‘সবজান্তা’ ইন্টারনেটও অসহায় বোধ করে মানুষের কোনো কোনো প্রশ্নের জবাবে। সম্প্রতি সার্চ ইঞ্জিন আস্ক জিভস গত দশকের সেরা ‘অনুত্তরযোগ্য’ ১০টি প্রশ্নের তালিকা তৈরি করেছে। খবর বিবিসি অনলাইন।
সার্চ ইঞ্জিন আস্ক জিভস ২০০০ সাল থেকে প্রায় একশ’ কোটি প্রশ্নের তালিকা থেকে বাছাই করেছে এই সেরা ‘আনআনসারেবল’ বা অনুত্তরযোগ্য ১০টি প্রশ্ন। সাইটটি অবশ্য এর আগে আনআনসারেবল নামের একটি পেজও চালু করেছিল, যাতে এ ধরনের সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলো আলোচনায় আসতে পারে। আস্ক জিভসের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এর ব্যবহারকারীরা সার্চ করা ছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব খুঁজে নিতে পারেন।
এখন দেখা যাক, ইন্টারনেটের কাছেও অনুত্তরযোগ্য এই ১০টি প্রশ্ন কী? প্রথম প্রশ্নটি হলো, জীবনের অর্থ কী? এটার উত্তর অবশ্য জ্ঞানের উন্মেষলগ্ন থেকেই মানুষ খুঁজে ফিরছে হন্যে হয়ে। কবি-দার্শনিক-ধর্মবেত্তা কেউই আজতক জবাব দিতে পারেননি এই প্রশ্নের। কিংবা জবাব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু জবাবদাতারা নিজেরাই ফের আটকে গেছেন সম্পূরক প্রশ্নের জালে। তাই এই প্রশ্নের জবাব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরায়ত। ইন্টারনেটে এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ‘সবজান্তা’ ইন্টারনেট নিজেই লাজবাব হয়ে বসে আছে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটাও প্রায় সেই একই ধাঁচের। ঈশ্বর কি আছেন? আপিন নিশ্চয় জানেন, স্রষ্টার অস্তিত্ব অনস্তিত্বের প্রশ্নে দার্শনিকদের মাথার চুল ছেঁড়াছেঁড়ির খবর। স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রশ্নে একমাত্র ধর্মই চোখ বুজে বলে দেয়—ঈশ্বর আছেন। তবে সেজন্য কোনো প্রমাণ উপস্থাপিত করতেও সে সমর্থ নয়। সোজা কথা হলো, ঈশ্বর প্রমাণসাপেক্ষ নয়, বিশ্বাসসাপেক্ষ। ইন্টারনেট এই বিষয়েও চুপচাপ। বাকি প্রশ্নগুলো নিম্নরূপ :
ব্লন্ডরা (লালচুলোদের ব্লন্ড বলে) কি বেশি মজা করে? সেরা ডায়েট কোনটি? বাইরে কি কেউ আছে? পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তি কে? ভালোবাসা কী? সুখের গোপন সূত্র কী? যুক্তরাষ্ট্রের টিভি নাটক দ্য সোপরানোর বিখ্যাত চরিত্র টনি সোপরানো কি মরেছিল? এবং আমি কতদিন বাঁচব?
Click This Link