মেঘ বালিকা।
মেখ-বালিকা! কত সুন্দর তুমি!
একই অঙ্গে অনেক রূপ তোমার,
কখনো ধবধবে সাদা, কখনো রূপালী,
কখনো আবার ঘন কালো।
মাঝে মাঝে মনে হয়! ছুঁয়ে দেখি তোমায়,
কিন্তু পারিনা, শুধু দূরে সরে থাকো তুমি,
তবু অনুভব করি তোমায়,
কেমন তুলতুলে তুলার মত নরম তুমি,
মিহি সাদা ধুলার মত।
শীতল ভেজা শরীর তোমার।
তোমার চারপাশে এত রঙের মেলা,
সাত রঙের আবরনে তোমাকে বেশ লাগে।
রংধনুর ফিতায় বাধা চুলের খোঁপায়,
হলুদ, লাল, নীল, বেগুনী ফুল।
অপরূপ, লাবণ্যময়ী, রূপসী তুমি।
অপলক দৃষ্টিতে আমি তোমায় দেখি।
তুমি থাক ঐ দূর নীলিমায়,
মাঝে মাঝে নেমে আস এই মাটির ধরায়।
তোমার স্পর্শে চির সবুজ এই প্রকৃতি,
চির সবুজ সাজে আমি।
যখন নূপুরের ঝংকারের মত হাসতে হাসতে-
নেমে আস আমার কাছে-
পরশ বুলিয়ে দিয়ে যাও- আমার সারা শরীরে,
আমি তন্ময় হয়ে জড়িয়ে রাখি তোমায়।
তোমার ভালোবাসা তোমার স্পর্শ হয়ে,
আমাকে জড়িয়ে রাখে সারাক্ষণ।
মাঝে মাঝে আমাবস্যার আঁধারের মত,
মুখ কালো করে থাক তুমি-
আমার খুব মন খারাপ হয় তখন।
তুমি তোমার কষ্ট গুলিকে বৃষ্টি করে
ঝড়িয়ে দাও এ ধরার বুকে।
আমি তা জড়িয়ে নেই আমার সর্বাঙ্গে।
মিশিয়ে দেই আমার মন ও মননে।
প্রায়ই অদৃশ্য হয়ে যাও তুমি!
ভেসে যাও দূর থেকে দূরের পানে,
আমি অপেক্ষায় থাকি তোমার ফিরে আসার-
শ্রাবন ধারার পরশে তোমাকে পাবার।