চট্টগ্রাম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেরই প্রিয় শিক্ষক ছিলেন
প্রয়াত প্রফেসর আ.ফ.ম সিরাজ উদ দৌলা চৌধুরী। সিরাজ স্যার
বড় রাগী ও রসিক মানুষ ছিলেন। তিনি সুযোগ পেলেই এ কবিতাটা
ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ দেবার জন্য পাঠ করে শোনাতেন।
মধুমিতা সেন
আমাদের কলেজের স্নাতক শ্রেণীতে পড়া মধুমিতা সেন
জিনিয়াস ছেলেদের মাথা খেয়েছেন।
এই নিয়ে করিডোরে, পথে ঘাটে রেস্তরাঁয়
সমালোচনার ঝড় উঠেছে প্রচুর;
মধুমিতা সেন নাকি তবু সুমধুর।
পাপড়ি কোমল ঠোঁটে হাসি মেখে যবে তিনি
পথে পা বাড়ান
চোখের বিদ্যুতে তাঁর অনেকেরই হৃদয় যে
হয় খান খান।
আর সেই মধুমিতা যদি না আসেন ক্লাসে
কোন একদিন
তাহলে সময় বড় একঘেঁয়ে মনে হবে
মনে হবে সবই প্রাণহীন।
আমাদের মধুমিতা সেন নাকি অভিনয় করেছেন
নাটকে দু’বার.....
প্রেমের ব্যাপারে তিনি করেছেন অভিনয় আরো বহুবার।
আর তাই তাঁকে নিয়ে লেখা হলো
কত কি যে নাটক নভেল,
বুঝতে পারেনি তবু কেউ তাঁর হৃদয়ের লুকোচুরি খেল।
সেদিন আমার সঙ্গে কোনো ফাংশনে হলো পরিচয়;
সাহিত্য সিনেমা আর রাজনীতি, টুকিটাকি বহু কিছু
নিয়ে বেশ কেটেছে সময়।
তারপর দ্বিধা আর জড়তার দেয়াল ডিঙিয়ে এসে
একদিন শুধালাম তাঁকে,
পরিচিত জনদের মাঝে তাঁর খুব বেশী ভালো লাগে কাকে?
’''কোনো একজন নয়, অনেকেরে.........।''’ কিছুটা মুচকি হেসে
বললেন মধুমিতা সেন....
’''থাকবার স্থান নেই---- এ কথা ভেবেতো রাজা রাজ্য জয়ে
বেরোন না’'' --- আরো বললেন।
তাইতো সকলে বলে, আমাদের কলেজের স্মার্ট মেয়ে
মধুমিতা সেন
অনেকের মাথা খেয়ে প্রেমের রাজত্ব এক গড়ে তুলেছেন।
প্রফেসর আ.ফ.ম সিরাজ উদ দৌলা চৌধুরী
এর ’'বিপন্নতা প্রতিদিন'’ কাব্যগ্রন্থ হতে।