টিক্কা খান রাও ফরমান আলীর পা চাটা দালাল
শুভ্র দাঁড়ি আর সফেদ পাঞ্জাবীতে ঢেকে রেখে
রোঁয়া ওঠা দুর্গন্ধময় শরীর,
আজো এদেশে সদর্পে ঘুরে বেড়ায়,
লাথি দিলেও ফিরে ফিরে আসা
যেমন স্বভাব সারমেয়’র ।
একাত্তরে এই পশুরা সশস্ত্র হাতে দাঁড়ি নাচিয়ে পাগড়ি উঁচিয়ে,
নিধন করেছিলো লক্ষ লক্ষ নিরীহ জনতা,
ধর্মের লেবাস পরে গনিমতের মাল বলে
এই সব শকুনেরা
বাংলার বধু মাতা কন্যাদের তুলে দিয়েছিল,
তাদের ঈশ্বর তাদের প্রভু
হিংস্র লোলুপ পাকিস্তানী হায়েনাদের হাতে।
আজো তারা বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় মানবতাকে,
শ্রমিক ছাত্র উকিল বিচারক
সংস্কৃতির উদীচী আর প্রগতির হুমায়ুন আজাদ
কারোরই নিস্তার নেই।
মিথ্যার বেসাতি নিয়ে আবারো সদম্ভে
মাথা তুলেছে ঘাতক দালালেরা।
এদের হাত থেকে নিস্তার নেই সভ্যতার
সভ্যতাকে বুড়ো আঙুল প্রদর্শন করে
এরা জারি করে অধর্মের ফতোয়া।
একাত্তরের হাতিয়ারকে শানিয়ে প্রস্তুত আজ,
কাস্তে হাতুড়ি ছেড়ে স্টেনগান ধরা
অগণিত কৃষক শ্রমিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
আর প্রস্তুত একাত্তরের অতৃপ্ত কিশোরেরা,
বোনের মায়ের সম্ব্রমহানিকারী
বাবা ভায়ের প্রান সংহারকারী
একাত্তরের হিংস্র সারমেয় ঘাতক দালালদের
পুঁতে ফেলে ময়লার ভাগাড়ে,
তারা চায় জুড়াতে
মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নেয়ার জ্বালা।
মেঘনা পদ্মা যমুনার প্রবহমান স্রোতধারার কাছে
ফসলের মাঠের দুর্বিনীত বাতাসের কাছে
আমার মিনতি ;
দৃপ্তকন্ঠে জানিয়ে দাও
ঘাতক সংহারে জেগেছে নব প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা,
এ বাংলায় আর থাকবেনা আল বদর আল সামস রাজাকার,
গগনবিদারী আওয়াজে করো ঘোষণা
খবরদার রাজাকার !
১ মার্চ ২০০৮