সকালে ঘুম থেকে উঠেই নেট ঘাটছিলাম, কাজ নেই । হঠাত করে চোখ গেল একটা খবর এর দিকে । চীনের নতুন মিসাইল টেস্ট, তাও আবার আন্ত-মহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন ডিএফ-৪১ ।
মাত্র দুইদিন আগেই দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নৌবাহিনী সম্পন্ন করেছিল তাদের "এন্টি-সাবমেরিন" মহড়া । চীনের দাবীমতে এটিই ছিল চীনের ইতিহাসে করা অন্যতম "বাস্তব" মহড়া । এতে দুইটি সাবমেরিন ধ্বংসকারী জাহাজ অংশ নেয় এবং সাথে অন্যান্য কিছু জাহাজ । মহড়ায় সাবমেরিন ধ্বংস করার মত সকল সক্ষমতার পরিচয় দেয় চীন এর নৌবাহিনীর দক্ষিণ ফ্লিট ।
এরপর? বুধবার করল এই লং রেঞ্জ মিসাইল এর পরীক্ষা । যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এখন চলছে অত্যন্ত গরম পরিবেশ, এই উত্তাপের সময় চীন একের পর এক সামরিক মুভমেন্ট করে যাচ্ছে । বেইজিং এর সোর্স বলেছে তাদের এই মিসাইল টেস্ট এর উদেশ্য শুধুই প্রযুক্তিগত কারনে, কোন জাতি বা এলাকাকে লক্ষ্য করে নয়। সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয় এর এক শিক্ষক এর দাবী এটি সত্যই উস্কানীমূলক ।
তাই তো মনে হয় । ডিএফ-৪১ কোন ছেলে খেলা নয় । ১৫ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জ এটির, থারমোনিউক্লিয়ার বোমা ছাড়াও এটি এর ভেতরে আরো প্রায় ১০ টি ( ১৫০ কিলোটন ম্যাক্স প্রতিটিতে ) পারমানিক বোমা বহন করতে পারে । সুতরাং হিসাবটি এরকম দাঁড়ায় ( ১০*১৫০ কিলোটন = ১৫০০ কিলোটন ) বা ১.৫ মেগাটন ক্ষমতা সম্পন্ন পারমানবিক বোমা আকাশের মাঝপথে ডিএফ-৪১ এর মেইন বডি থেকে আলাদা হয়ে আলাদা আলাদা ১০ টি টার্গেট এ আঘাত আনতে পারবে । এবং প্রতিটির ক্ষমতা হিরোশিমার "লিটল বয়" এর থেকে ১০ গুন বেশী ( লিটল বয় এর ১৫ কিলোটন ছিল ) ।
আন্তাজ করতে পারছেন কি করতে পারে এটি? তার উপর এই রাজনৈতিক উত্তাপ সময়ে এই বোমার মহড়া করার মানে কি?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৬