যৌন হয়রানী মূলত নগন্য পুরুষের বিকৃৃত যৌন কামনার বহিঃপ্রকাশ। সাধারনত যে আচরনগুলোকে যৌন হয়রানী বলে গন্য করা যায়ঃ যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বা রসিকতা, গায়ে হাত দেয়া বা দেয়ার চেষ্টা করা, ই-মেইল, এস এম এস, টেলিফোন বিড়ম্বনা, পর্নোগ্রাফি বা যে কান ধরনের চিত্র, অশ্লীল ছবি, দেয়াল লিখনের মাধ্যমে হয়রানি, অশালীন উক্তিসহ আপত্তিকর কোন ধরনের কিছু করা , কাউকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে সুন্দরী বলা, কোন নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যে কোন চাপ প্রয়োগ কার, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করা, যৌন সম্পর্ক দাবী বা অনুরোধ এবং অন্য যে কোন শারীরিক বা ভাষাগত আচরন যার মধ্যে যৌন ইঙ্গিতপ্রচ্ছন্ন। যৌন হয়রানী ঘরে বাইরে, অফিসে, মার্কেটে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়ে থাকে............এটি এমন একটি নির্যাতন যা সাধারনত হয়রানীর শিকার কিংবা হয়রানীকারীর শ্রেণী, বয়স, পেশা, সামাজিক মর্যাদা বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে না। বাংলাদেশে রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত বা হয়রানী করা বা ইভটিজিং হচ্ছে যৌন হয়রানীর সবচেয়ে প্রকাশ্যে , বেপরোয়া এবং মারাত্মক রূপ। শুধু এ পর্যায়ই এখন আর সীমাবদ্ধ নাই....ফ্লেক্সি দোকান থেকে নম্বর বাহিরে প্রকাশ এবং সময়ে অসময়ে সেখান থেকে ফোন আসা এবং বিভিন্ন সময়ে বিরক্তকরাও এখন বর্তমানে একটি মারাত্ম রূপ ধারন করেছে। নিরাপত্তাহীনতার কারনে বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের অনেকের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, এমনকি অল্প বয়সে এখনো অহরহ বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অনেকে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহনন পর্যন্ত করে থাকে। শুধু আইন থাকলেই হয় না। আইনের ভয়ে ভীত না হয়ে সবার মধ্যে যদি মানবিকতা এবং সচেতনতা কাজ করে এবং নিজের ইজ্জতের মূল্য থাকে তবে এর প্রতিকার করা সম্ভব। তবে এর পাশে এটিও সত্য যে সমাজে এখনো অনেক ভাল মানুষের দেখা মেলে যারা পথেঘাটে নারীদের অনেক সহায়তা করেন একজন ভাইয়ের মতো, বাবার মতো বা বন্ধুর মতো অথচ তার আচরনে কোথাও প্রকাশ পায় না জেন্ডার বৈষম্য।
পরিশেষে, নারী নয় পুরুষ নয়....প্রতিটি মানুষের কাছে আহবান ...অন্যায় কারীর বিরুদ্ধে আসুন সবাই রুখে দাড়াই সে যে পরিবেশেই হোক না কেন বা হোক না আমার পরিচিতজন বা আত্মীয়।
[মনে রাখতে হবে যে ব্যক্তির নিজের ইজ্জতের খেয়াল থাকে, সেই কেবল অন্যের ইজ্জতের পরোয়া করে বা দিতে জানে]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬