দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কেউ স্বাধীনতা পেয়েছে, সেই স্বাধীনতাকে সদ্ব্যবহার করেছে। কেউ স্বাধীনতা পেয়ে, সেই স্বাধীনতাকে সস্তা ভেবে অসদ্ব্যবহার করতেছে। আজ তারই প্রমাণ পেলাম।
প্রথমে আসি এক মডেল এর কথায়, তিনি একজন দেহ দেখানোর জাদুঘর। সে প্রত্যহ রাতে ঘুমানোর আগে, সকালের উঠার আগে তার কিছু সরকারি পদার্থ বের করে তার পরিচয় প্রদান করে। এদেরকেই আমরা মডেল বলি। কিন্তু সে তার দেহ দেখানোর স্বাধীনতা পেয়ে পতাকাকে অসম্মান করবে, এটা মেনে নিতে পারছি না। সরকারি পদার্থ বের করে, তার উপর পতাকা দিবে। এটা কোন ধরনের স্বাধীনতা। আপনারাই বিচার করবেন? ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা প্রিয় মাতৃভূমি। এই মাতৃভূমি তে বসে, ভারতীয় অপকর্ম করবে, আর সেটা কি তাকিয়ে দেখব! না! সেটা হতে দিব না।
প্রথমটা বললাম ইন্টারনেট জগতে দেখা এক কুলাঙ্গার মডেলের কথা। দ্বিতীয় কথা বলব, নিজের চোখে দেখা প্রমাণ্যচিত্র। সেটা পরেই পরে ভিডিও সহ প্রকাশ করব হয়তো। আজ খুলনাতে 'আগুয়ান-৭১' এর এক বিজয় পতাকাযাত্রা ছিল। তখনের একটি ছোট ঘটনা। আমরা যখন খুলনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের পতাকা নিয়ে শহীদ হাদিস পার্কের ভিতর ঢুকতেছিলাম। তখন চোখে পড়ল এক আত্মঘাতী জিনিস। সেইটা হল, এক মেয়ে এবং সাথে তার ভাই বা বয়ফ্রেন্ড হবে তার সাথে হেটে যাচ্ছিল, তখন দেখলাম মেয়েটার শরীরে বাংলার সবুজ প্রকৃতির রং এর একটা জামা পড়া। তারপর ভালভাবে খেয়াল করলাম, দেখি মেয়েটার ভাবে দেশপ্রেমিক হলেও, কিন্তু তার কোন ওড়না নেই। আমার মনে হয়, তার ওড়নাটা ১৯৭১ সনের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীরা কেড়ে নিয়েছে। তার জন্যই হয়তো ওড়না পড়ে নাই। তার কিছুক্ষণ পর আমার যখন পতাকা নিয়ে ঘুরে আসি, আমাদের পতাকাযাত্রা শেষ পর্যায়ে দেখি, এক ফটোগ্রাফার ভাই ছবি তুলছে, আমি ভাবলাম তিনি হয়তো আমাদের পতাকার ছবি তুলছে। কিন্তু তা নয়। তিনি আমাদের পতাকার ছবি তুলছে না। তিনি তুলছে দেহ দেখানোর জাদুঘর মানবের ছবি। ছবি তুলছিল কোন সমস্যা ছিল। কিন্তু সরকারি রাস্তায় আমাদের বিজয় পতাকাযাত্রার সামনে দাড়িয়ে আমাদের ঝারি দেয়। এটা মানতে পারি না। আমি এতে ফটোগ্রাফার দোষ দিব না। দোষ সব ঐ কুলাঙ্গারদের।
আমার তখন ওদেরকে একটা কথা বলতে ইচ্ছে হয়েছিল। তা হল, ভাই স্বাধীনতা ফ্রি পাওয়া নয়। এটা অনেক দামি। আপনি এটার অসম্মান করবেন না। কোন জায়গায় তো মনে হয়, একটাও ফুল দেন নাই। তারপর আবার বিজয় দিবসকে, ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে ব্যবহার করবেন। এটা ঠিক নয়। আপনারা যারা এরকম ফটো সেশনে বের হয়, তাদেরকে একটা কথা বলব, আপনার ফটো সেশন করবেন ঠিক আছে। কিন্তু বিজয় দিবসের কার্যক্রমে ব্যাঘাত করবে না। আর অপসংস্কৃতি/ভারতীয় কুকর্ম করবেন না, বিজয় দিবসের দিন।
'ধন্যবাদ'
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪