somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ মহান বিজয় দিবস

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজয় দিবস বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে সর্বত্র পালন করা হয়। ১৯৭২ সনের ২২শে জানুয়ারি তে এক প্রজ্ঞাপনে এ দিনটি কে বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত গড়ে ওঠা আমাদের বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে পাক বাহিনীর জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি তার প্রায় ৯১,৬৩৪ সেনা সদস্য সহ বাংলাদেশ ও ভারত সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর কাছে রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে পৃথিবীর মানচিত্র একটি লাল সবুজের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ গঠন হয়। বাঙালির কাছে হারমানা আত্মসমর্পণ দলিলের ভাষ্যরূপ ছিল-
.
The Pakistan eastern command agree to surrender all Pakistan armed forces in Bangladesh to Lieutenant General Jagjit Singh Aurora General, officer-commanding in chief of the Indian and Bangladesh forces in the eastern theatre, This surrender includes all Pakistan land, air and naval forces and civil armed forces. They are currently located to the nearest regular troops under the command of Lieutenant General Jagjit singh.

The Pakistan eastern command shall come under orders of Lieutenant-General Jagjit Singh Aurora as soon as this instrument has been signed, Disobedience of orders will be regarded as breach of the surrender terms and will be dealt with in accordance with the accepted laws and usages of war. The decision of Lieutenant General Jagjit Singh Aurora will be final, should any doubt arise as to the meaning or interpretation of surrender terms.

Lieutenant General Jagjit Singh Aurora gives a solemn assurance that personnels who surrender shall be treated with dignity and respect that soldiers are entitled to in accordance with provisions of the Geneva Convention and guarantees the safety and well-being of all Pakistan military and para-military forces who surrenders, protection will be provided to foreign nationals, ethnic minorities and personnels of West Pakistan origin by the forces under the command of Lieutenant General Jagjit singh Aurora.

যেই কুলাঙ্গার গুলো এখনও বাংলাদেশকে নিয়ে নাক গলায় সেই সব কু্লাঙ্গারদের ধিক্কার জানাই। যারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে, তাদের উচিৎ বাংলাদেশের কাছে মাফ চাওয়া। তাদের কে এর জন্য ক্ষমা করা হবে না। আমি চিন্তা করে পারি না, যারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল তাদের কি আমাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে ও নাক গলাতে লজ্জা করে না?

আশা করি তারা অতিদ্রুত বাংলাদেশের কাছে মাফ চাহিবে।
.
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের অবদান অপরিশীম। শরণার্থীদের আশ্রয় দান, প্রবাসী সরকারে গঠনে সহায়তা এবং সর্বোপরি মুক্তিবাহিনীর সংগঠন, প্রশিক্ষণ ও সমরাস্ত্র সরবরাহে ভারতের ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ। ১৯৭১-এর শেষভাগে সোভিয়েত রাশিয়ার সমর্থন নিশ্চিত হওয়ার পর ভারত সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে যার ফলে এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয় নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার হিসেবে উল্লেখ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের কিছুই করার নেই বলে অভিমত প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পুরোনো বন্ধু চীন কৌশলগত কারণে যুদ্ধবিরতির জন্যে চাপ প্রয়োগ করেছিল। অন্যদিকে দীর্ঘ আলোচনার পর ৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতানুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে আহবান জানায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। তবে বিশ্বজনমত ছিল পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ মানুষের পক্ষে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকটের বিষয়ে জাতিসংঘের অবহেলা ও নিস্পৃহতা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। ইহার জন্য আমরা তাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি।

আমি সেই ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের গড়া স্বাধীন দেশের সন্তান হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করি। প্রথমে আল্লাহর কাছে প্রশংসা করি। তারপর কিছু বীর বাঙালির কথা মনে করতেই হয় তারা হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও জিয়াউর রহমান। তাদের অাত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আর যারা এই দেশের জন্য স্বার্থহীন হয়ে কাজ করে শহীদ হয়েছে, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তারা সকলে যেন বেহেশতবাসী হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×