আমি স্বীকার করছি জামায়ত-শিবিরের থেকে আমরা দূর্বল। শিবির আমাদের থেকে শক্তিশালী কারণ কোনো চেতনা বা আদর্শ কিংবা কাল্পনিক কোনো চরিত্রের করুনাও নয়; তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী অর্থের জন্য। তাদের কাছে যে পরিমান অর্থ আছে সেটা আমাদের কাছে নেই। আমাদের আসলে কোনো অর্থ-সম্পদই নেই। আমরা চলি অনুদানে। শিবির-জামায়তের ব্যাংক আছে, বীমা আছে, শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করার জন্য তারা কোচিং খুলেছে (রেটিনা/ফোকাস/... ...), শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার পরে যেন উঠেও দাড়াতে না পারে তাই তাদের রয়েছে গাইড বইয়ের পাবলিকেসন(পাঞ্জেরী ), আছে মুখস্থ নির্ভর গাধা তৈরির জন্য কারেন্ট নিউজ/ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এ সব থেকে তারা যে আয় করে আক্ষরিক অর্থেই আমাদের পাওয়া অনুদান এর হাজার কোটি ভাগে এক ভাগের মত।
তবে, আমাদের এগোতে হবে; আমি এক বাঙালি-বাঙলাদেশির কথা স্মরণ করতে পারি, যে বলিছিল, ''তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো''। আমদের লড়তে হবে আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে। আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেন, আপনার সামর্থমত এগিয়ে আসুন। যুদ্ধ করতে টাকার খুব বেশি প্রয়োজন নেই, যেকোনো কাজের জন্য শুধু মাত্র ইচ্ছাই যথেষ্ট।
আপনার বাড়িতে সমস্যা থাকলে আপনার মিছিলে আসার প্রয়োজন নেই; আপনি আপনার পাশের দুটি বাড়ির সমবয়সীদের সচেতন করুন। আপনি রাস্তায় আছেন, আপনার রিক্সাচালকের সাথে মতবিনিময় করুন। আপনার পরিবারের কেউই আপনার সাথে একমত না, কারণ তারা জামায়াতের সাথে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত - আপনি আপনার খাতার একটা পৃষ্ঠায় 'স তে সাইদী, তুই রাজাকার তুই রাজাকার' লিখুন, সাধারণ কলম দিয়েই লিখুন। যখন বাড়ি থেকে বের হবেন মাঝ রাস্তায় এসে কাগজটি ফেলে দিন, হ্যাঁ শুধু ফেলে দিন, দেয়ালে লাগাতে হবে না। আপনার ওই কাগজটি একজন পড়লেও লাভ।
সত্যি বলতে, ফেসবুক-ব্লগে প্রোপিক আর কাভার পিক চেঞ্জ করে বিপ্লব হয় না। বাঙলাদেশের কতজন ফেসবুক কিংবা ব্লগ ব্যবহার করে আমার জানা নেই, তবে সংখ্যাটি যে বেশ ছোট তা অনুমান করতে পারি। এখানে সর্বোচ্চ আমরা আমাদের সমমনাদের সাথে আলোচনা করতে পারব, আইডিয়া শেয়ার করতে পারব এর বেশি কিছু না।
আপনার সামর্থের মধ্যে যা আছে ততটুকুই করুন।
আপনারা যারা ঢাকায় আছেন এবং অন্যান্য যে সকল জেলায় গণজাগরন মঞ্চ সক্রিয় রয়েছে আপনাদের দ্বারা যদি সম্ভব হয় তাহলে আজ সমাবেশে যোগ দিবেন। আমি যাব দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি। বিকাল পাঁচটায়।
তবে, এবার জাগরন হোক, গণ মানুষের।