সামনে রাখা কফির মগ থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। শরতের শাদা মেঘের মত। অনেক আস্তে উপরে উঠে যাচ্ছে; ধীরে আরও ধীরে। কোনো তাড়া নেই, বাঁধা দেয়ারও নেই কেউ। ওপারেরও সব দেখা যাচ্ছে, একটু ঝাপসা। শীতের সকালের মত ধোঁয়ার ওপারের সব কিছুই ঘোলাটে। যেন রাশি-রাশি কুয়াশা ঢেকে ফেলেছে বাস্তবকে।
হঠাৎ ছোট্ট মগ থেকে বিশাল থেকে এক হাত বেরি আসে। বিশাল-শক্ত-মজবুত-শক্তিশালী আর, আর ...। বাতাসের সাথে ঘূর্ণিপাক খেতে খেতে হাতটা বিশাল থেকে বিশালত্বর হয়; তারপর আরোও বিশাল, তারপর আরোও... এভাবেই বাড়তে থাকে পৌনঃপুনিক হারে। হাতটা শেষে রূপ নেয় একটি অতিকায় মুষ্টিতে। শক্তিতে ভরা একটি মুষ্টি। মনে হয়, সূর্যের সব শক্তি-বিক্রম-শ্রেষ্ঠত্ব অপহৃত হয়েছে এই ধোয়াঁরাশির দ্বারা।
এভাবেই সূর্যশক্তি নিয়ে একটি মুষ্টি এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে। মুষ্টির গতি দ্রুত হচ্ছে, পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তি নিয়ে আরোও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে আসছে আমাদের-বাঙলাদেশি-বাঙালির গলা বরাবর। এখনই গলা চেপে ধরবে। তারপর হুংকার দিয়ে বলবে –
________ সব ব্যানার-প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন-ব্যানার কোথায় ? ________আমাদের যারা খুন করল তাদের বিচার হবে না ?
তোমাদের দেশমাতৃকাকে যারা ধর্ষণ করলো তাদের বিচার হবেনা?________________________হবে?
______________________কবে হবে ?
___________________রাজপথ ফাঁকা কেন ?
_________ওরা যেন নির্বিঘ্নে গাড়িতে লাল-সবুজ লাগিয়ে আমাদের অপমান করতে পারে সে জন্য ?
মশাল-মোমবাতি-মনের মধ্যে জ্বলতে থাকা তোমাদের অগ্নিগিরি ________________সব এক ঝটকায় কিভাবে নিভে গেল?
____তোমরা আমাদের উত্তরসূরি? ভাবতে ঘৃণা হয়।
_________________ তোমাদের ‘উজ্জ্বল তারুণ্য’ কোথায় গেল ?
_______________________কোথায় তোমাদের ‘অগ্নিকন্যা’রা ?
হে প্রজন্ম বালক, হে প্রজন্ম বালিকা,
_________________ তোমাদের চেতনা, দ্রোহের গান, বিদ্রোহের কবিতা
_______________সবাই কি আজ শীত নিদ্রায়? কেন?
________________ হায় চেতনা, হায় তারুণ্য ।
ছবিঃ ইন্টারনেট