প্রাচীন কালে গুনি জনেরা বলে গেছেন, পাপ কে ঘৃণা কর পাপিকে নয়। হয়ত তখনকার আমলে পাপির বা অপরাধীর ভয়ংকার সাজা দেওয়া হত।
সেই সাজার ভয়ে লোকেরা অপরাধ করা থেকে বিরত থাকত।
আজ সময় বদলে গেছে, মানুষ বদলে গেছে, সাথে সাথে মানুষের চিন্তা চেতনাও বদলে গেছে......
আগে অপরাধীর কোন দল ত দূরে থাক, নিকট আত্মিয়রাও কেউ পরিচয় দিও না। দূর দূর করে তারিয়ে দিত।
আজ সময়ের বিবর্তনে সব পাল্টে গেছে, এখন একটা অপরাধ হওয়ার পর অর্থাৎ অপরাধীর ফেভারে তিনটে রাজনৈতিক দল খাড়া হয়ে যায়।
১ম দলটি ক্ষমতাসীন, অর্থাৎ স্বয় সরকার, ২য় দলটি সরকার বিরোধী, অর্থাৎ বিরোধী দল, ৩য় দলটি হইল নাম না জানা জঙ্গি দল। মানে ১নং, এবং ২নং দল ব্যাতিত বাংলাদেশে বাকি যে সমস্ত দল সমুহ আছে তাহারা ৩নং দল গোষ্ঠী হইলেও হইতে পারে।
যদিও ৩নং দল গোষ্ঠী কোন দিন দলীয় প্রচারণাও করে না আবার নির্বাচনেও অংশ গ্রহন করে না। ইহারা সব সময় ১নং ও ২ নং দলে লেজ ধরিয়াই ঝুলিয়া থাকে, তাহলে দেখা যায় যে বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে দুইটা রাজনৈতিক দল একটা ক্ষমতাসীন অন্যটা বিরোধী দল।
দেশের কোন ইস্যুতে বা জনগণের জান-মাল রক্ষার বা, অর্থনীতিক বা দেশের সার্বিক উন্নয়নের এই দুই রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কোন বিরোধিতা নাই। এদের যত বিরোধিতা শুধুমাত্র ক্ষমতার চেয়ারটা ঘিরে। কারন উহা একজনের বাপের আর অন্য জনের স্বামীর।
ত যা বলছিলাম, একটা ইস্যু, শান্ত দীঘির একটা ঢিল ছোঁরা চাই, জল নরে উঠবে ছোট্ট ছোট্ট ঢেউ খেলবে দীঘির পারে আছড়ে পরবে ভারি সুন্দর দেখাবে। এই কাজটা অতি দক্ষতার সাথে পালন করে আমাদের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। অপরাধ সংগঠিত হইবার পর, অপরাধীর ঠিকুজী কুষ্ঠী পড়িয়া অপরাধি কোন দলের ইহাই তাহাদের একমাত্র গবেষণার বিসয়। তাহার পরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটু গুতাগুতি বাধাইয়া দিয়ে দূরে দাঁড়াইয়া বগল বাজাইতে থাকে।
দেখেন ভাই! বাংলাদেশ সরকার রাজনৈতিক দল হিসাবে জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিয়াছে। কিন্তু জামাত-শিবির কার লেজ ধরিয়া আছে সবাই একবাক্যে এই কথা স্বীকার করিবেন বিএনপি এর লেজ ধরিয়া আছে, কি ঠিক কিনা? কাজেই আমরা বলিতে পারি যে বিএনপি ও একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল।