(১)
সকাল এগারটা বাঁজে। ঘুম থেকে উঠেই মাথায় প্রথম যে চিন্তা আসলো সেটা হচ্ছে আজকের দিনটা অনেক স্পেশাল। কি জন্য স্পেশাল বুঝতে পারছি না। তবে স্পেশাল এটা বুঝতে পারছি। এক কাপ গরম গরম চা খাওয়া দরকার।সাথে একটা সিগারেট। সিগারেটের দাম বেড়ে গেছে।আগে দশ টাকার একটা নোট দিলে একটা বেনসন আর সাথে একটা চকলেট পাওয়া যেত আর এখন দশ টাকার সাথে এক টাকা দিতে হয়। দোকানির মত চকলেট ধরায় দিলে হয় না।মাইন্ড করে। বাংলাদেশে সব চেয়ে অভিমানি মানুষগুলো দোকানি হয়।
“এক কাপ চা আর একটা সিগারেট দাও। সিগারেট আমার ড্রয়ারে আছে। ম্যাচ সহ দিবা।”
মোবাইলে মেসেজ আসলো-“দুধ চা না র চা?”
চিল্লায় বললাম-“জানই তো র চা ছাড়া খাই না তারপরেও প্রতিদিন এই ন্যাকামটা না করলেই কি নয়?”
মোবাইলে মেসেজ আসলো-“রাগ হও কেন?”
-রাগ হওয়ার মত কথা বললে রাগ হব না?
মোবাইলে মেসেজ আসলো-“না।রাগ হবা না। রাগ হওয়া নিষেধ”
(২)
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে বাসায় থাকার মানে হয় না। এই বৃষ্টিতে বাইরে যেতে হয়,ভিঁজতে হয়,যে মানুষগুলো বৃষ্টি দেখে পালায় তাদের মন থেকে অভিশাপ দিতে হয়-“মর তোরা মর।এত সুন্দর জিনিসকে অবঞ্জা করার অপরাধে তোদের মৃত্যুদন্ড হোক।চৌরাস্তার মোড়ে তোদের লাশগুলো ঝুলে থাক”। আমি ঠিক করেছি বৃষ্টি দেখে পালানো কোন মেয়েকে আমি বিয়ে করবো না। যে মেয়েটা বৃষ্টি দেখলে ছাঁদে গিয়ে নাঁচে আমি তাকে বিয়ে করবো। বিয়ের পর এক সাথে নাঁচবো, আমি পিছলে পরে গিয়ে ব্যাথা পাবো। সে পরম যত্নে আমার ব্যাথায় এন্টিসেপ্টিক চুমু দিবে।
রাস্তায় বের হলাম। বৃষ্টি যতটা তা বেশি মনে করেছিলাম তার চেয়ে বেশি। মন টা আনন্দে ভোরে গেল। হাঁটা শুরু করলাম। কোথায় যাব জানি না। আপাতত জানতে চাচ্ছি ও না। সব জেনে গেলে সমস্যা। কিছু জিনিস অজানা থাক না। ক্ষতি কি?
অরন্যদের বাসায় যাওয়া যাক। অরন্য আমার বন্ধু। খুব কাছের না আবার দূরের না।মিডিয়াম টাইপ বন্ধু ওদের বাসার চা টা ভাল। চা বৃষ্টি ভেঁজা গায়ে চা খেতে ভাল লাগে।
দরজা খুলে দিল তিতলী। তিতলী অরন্যের ছোট বোন।সে অতি সুন্দরী। অতি সুন্দরীদের সাথে আমার সম্পর্ক খুব খারাপ থাকে।তার সাথেও আমার সম্পর্ক খারাপ। গত একমাস ধরে সে আমার সাথে কথা বলে না।কারন আমি তার ফোন এক মাস ধরে ধরি না এবং তার সাথে আমার এক মাস পরেই দেখা হচ্ছে। আশা করি সে ভূত দেখার মত চমকে উঠিবে তারপর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিবে, বাসার লোক জিঞ্জাসা করলে বলবে-“ফকির আসছিল”।
বাস্তবে তা হল না। তিতলী খুব স্বাভাবিক ভাবে দরজা খুলে দিল যে সে জানতো আমি আসবো।
-এত দেরী করে আসলেন যে?
-আমার কি আসার কথা ছিল?
- হ্যাঁ ছিল। আমি আপনাকে আসতে বলছিলাম। মেসেজ পড়েন নি?
-না।
-না পরেই এসেছেন?
-মেসেজ না পরে আসা নিষেধ আছে?তাইলে চলে যাই?
-না চলে যাবেন না। সোফার উপরে বসুন।আপনার সোফায় পা তুলে বসা অভ্যাস।পা তুলে বসবেন না।
-আচ্ছা।
পৃথিবীতে সুন্দরী মেয়েদের প্রতিযোগিতা হয়। মায়াবী মেয়েদের প্রতিযোগিতা হয় না। মায়াবী মেয়েদের প্রতিযোগিতা হলে তিতলী নামের এই মেয়েটা প্রথম হত। ঠিক করেছি আমিই ওকে একটা পুরস্কার দিয়ে দিব। মায়াবী হওয়ার পুরস্কার। একশ একটা কদম ফুল। একশ একটা কদম ফুল হাতে নিয়ে সে দিশেহারা চোখে আমার দিকে তাকাবে।
তিতলীর বাবা পেপার পড়তে পড়তে রুমে ঢুকলো। বন্ধুর বাবারা কেন জানি দেখতে খাটাস খাটাস হয়। এই লোক তার চেয়ে দ্বিগুণ খাটাস। তিনি আমাকে দুচোখে দেখতে পারে না এটা আমি জানি। তার ধারনা আমি মানসিক উন্মাদ।
-কে? রাশেদ না?
-জী চাচা। ভাল আছেন?
-হুম।
তিনি আর কিছু না বলে চলে গেলেন। তার দামি সোফায় বৃষ্টি ভেজা অবস্থায় পা তুলে বসেছি দেখে বোধহয় তিনি মাইন্ড করেছেন।
তিতলী রুমে চা নিয়ে ঢুকলো।
-র চা তো তাই না?
-হুম। ধন্যবাদ তিতলী। সৃষ্টিকর্তা তোমার মঙ্গল করুক।
-আপনার অশেষ কৃপা। একটা কথা জিঞ্জাসা করলে উত্তর দিবেন রাশেদ ভাই?
-চা ভাল হয়েছে।উত্তর দিব। চা ভাল না হলে উত্তর দিতাম না।
-আপনি আমার ফোন ধরেন না কেন?মেসেজের উত্তর দেন না কেন?সত্যি করে বলুন।
-একজন অতি সুন্দরী মেয়ে আমাকে বারবার স্মরণ করে ব্যাপারটা আমার কাছে ভাল লাগে। তোমার নাম্বার মোবাইল স্ক্রিনে দেখতে আমার ভাল লাগে তাই ধরি না। সত্য বললাম। খুশি হয়েছো? একটা সিগারেট ধরাতে পারি?
-না ধরাতে পারেন না। আপনি চা শেষ করে চলে যান। বাইরে গিয়ে সিগারেট খান। আর একটা অনুরোধ করলে রাখবেন?
-বলতে পারছি না রাখতে পারি।বলো।
-আপনি প্লিজ আমার সাথে আর কোনদিন কথা বলবেন না।
-তোমার জন্মদিনে উইশ ও করতে পারবো না?
-না পারবেন না।
এই বলে তিতলী উঠে চলে গেল। তিতলী এখন রুমের দরজা লাগিয়ে অনেক্ষন কাঁদবে।
(৩)
তিতলীর সাথে আমার দেড় বছর ধরে কথা হয় না। সুন্দরীরা খুব অভিমানি আর জেদি হয়। কথা বলবে না বলছে তো বলবে না ই। মোবাইলে মেসেজ আসলেই চমকে যাই। তিতলী না তো? প্রতিবার ই সিম কম্পানির বেরসিক মেসেজ আমাকে ভুল প্রমাণ করে।
রাত বারটা বাজে। মধ্যরাত। মোবাইল বেঁজে উঠলো। তিতলী ফোন দিয়েছে। তিতলীর নাম দেখে আমার হাত কাঁপাকাঁপি শুরু করলো। কথা বলতে গেলে হয়তো কন্ঠ ও কাঁপাকাঁপি করবে।আমার দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। আমি চাই না তার কাছে আমার দুর্বলতা প্রকাশ পাক।এ জন্য আমি কখনো তাকে ফোন দেই না।মেসেজ দেই না।আচ্ছা,ফোন ধরা কি ঠিক হবে? ফোন ধরবো কি ধরবো না এই দ্বিধায় ফোনটা শেষ পর্যন্ত আর ধরা হল না। ফোন কেটে যাওয়ার পর খুব আফসোস হওয়া শুরু হল। যদি সে আর ফোন না দেয়?
তিতলী আমাকে আর ফোন দিল না। আমি সারারাত অপেক্ষা করলাম।পরের দিন রাতে সে আমাকে আবার ফোন দিল। একদম আগের সময়ে।
-রাশদে ভাই ভাল আছেন?
-হুম।
-আপনি আমাদের বাসায় আর আসেন না কেন?
-তুমি কথা বলতে নিষেধ করেছিলে না?
-কথা বলতে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু বাসায় আসতে তো নিষেধ করি নি রাসেদ ভাই। বাসায় আসতেন। আমি চা করে খাওয়াইতাম।আপনি চুপ করে খেয়ে চলে যেতেন। আপনি কি জানেন আমি আপনার জন্য প্রতিদিন চা বানিয়ে রাখি?আমার মনে হত আপনি আসবেন।এসে চা চাইবেন।
-ও আচ্ছা।
-রাশদ ভাই। আমার কেন জানি খুব ভয় লাগছে?
-কেন?ভয় লাগছে কেন?
-আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমি ভূতের সাথে কথা বলতেছি।
-হুম। আমি তো ভূত ই।
-চুপ করেন। আমার সত্যি খুব ভয় লাগছে। মোবাইল ফোন আসলে ভূতুড়ে এক যন্ত্র। অন্ধকার রুমে কেউ নেই শুধু কানে একজনের কন্ঠ। তাও দেড় বছর পুরনো কন্ঠ।
-কল্পনা করে দেখো ব্যাপারটা কিন্তু ভালই হবে। ধরো আমি সত্যি ই মারা গেছি এক ঘন্টা আগে। তুমি কথা বলতেছো আমার ভূতের আস্থে। আমার মৃতদেহ পরে আছে খাটের উপর।তোমার ফোন কালকে কেন ধরি নি এই অপরাধবোধ থেকে আমি আত্মহত্যা করেছি। অদ্ভুত ব্যাপার হবে না?মৃত মানুষদের সাথে কথা বলার সৌভাগ্য সবার হয় না।
-রাশেদ ভাই। একটা মেয়েকে এই রকম আজগুবি ভূতের গল্প শুনিয়ে রাতের বেলা ভয় দেখানোর জন্য আপনি ভবিষ্যতে খুব ই কষ্ট পাবেন। হুম।
-অভিশাপ দিলে?
-হুম।অভিশাপ দিলাম।আপনি খুব ই খারাপ মানুষ।
তিতলীর সাথে আমার ভোর রাত পর্যন্ত কথা হল। অনেক দিন পর নিজেকে মানুষ মনে হল।
পরের দিন সকাল এগারটার দিকে আমার কাছে খবর আসে অরণ্যর ছোটবোন তিতলী রাতে বারটার দিকে গলায় দড়ি দিয়ে সুইসাইড করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোট লিখে যায় নি।
আমার মাথা খারাপ হয়ে আছে। তিতলী মারা গেছে বারটার সময়। ওই সময় থেকে ভোর রাত পর্যন্ত তিতলীর সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে। কিভাবে সম্ভব? অজানা আতঙ্কে আমার মাথা খারাপ।মোবাইলে মেসেজ আসলও।তিতলীর নাম্বার থেকে এসেছে।
“রাসেদ ভাই,আপনার জন্য অনেক গুলা চা রান্না করে রেখেছি। প্লিজ আপনি এসে খেয়ে যাবেন।ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আর ভয় পাবেন না। পৃথিবীতে কিছু ভূত প্রেমিকাও তো থাকে। আপনি আমাকে খুব পছন্দ করেন এটা আমি এখন জানি। মানুষ হয়ে জানতে পারি নি।এখন অনেক কিছু বুঝতে পারি। এই যেমন পাশের বাসার বশির আঙ্কেল আমাকে নিয়ে কত কুৎসিত চিন্তা করতো এটা এখন বুঝতে পারি। অথচ মানুষটাকে আমি আমার বাবার মত শ্রদ্ধা করতাম”
আমি মাথা ঘুরে পরে যাব এমন অবস্থা হল। এমন ও হতে পারে তিতিলী বেঁচে আছে। আমার সাথে ফাজলামি করছে। আমি প্রায় দৌড়ে অরন্যদের বাসা গেলাম। তিতলী আসলেই মারা গেছে। করর খোঁড়া হচ্ছে।
পুলিশ এসেছে। সুইসাইড নোট নেই। মোবাইল থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। আশ্চর্যের ব্যাপার মোবাইল ফোনটাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ কাজের লোকদের ঝাড়ি মারছে। বিয়ে বাড়িতে চুরি হলে মানা যায়,মরা বাড়িতে চুরি হলে সেটা মানা যায় না।
হঠাৎ করে নিজেকে খুব একা মনে হওয়া শুরু হল। এই শহরে বৃষ্টি হবে,রোদ প্রেমিকাদের কপাল ছুয়ে যাবে,ভ্যাপসা গরমে বিরক্ত হবে রিকশাচালক,চায়ে চিনি বেশি দিয়ে খাবে কোন এক কবি,শহুরে বনলতা সেনেরা অভিমান করে রাতে ভাত না খেয়ে ঘুমাবে। সব হবে সব। শুধু আমার সাথে তিতলীর আর কোনদিন কথা হবে না!
আমার মোবাইলে মেসেজ আসলো-“রাশেদ ভাই,আপনি সেদিন আমার ফোন রিসিভ করলেন না কেন?”
আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। আমি কালকে সারারাত একটা ভূতের সাথে কথা বলেছি। শুধু তাই না সে এই মাত্র আমাকে মেসেজ করলো।
(৪)
তিতলী আর আমার বিয়ে হয়েছে। পৃথিবীর প্রথম মানুষ এবং ভুতের মধ্যে বিয়ে। ভূত বউ থাকা খুব আরামের। এই যেমন আমার পানি খেতে মন চাইলো আমি শুধু চাইলাম। ব্যাস পানির গ্লাস হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে চলে আসলো। দেখতেও ভাল লাগে। অসুবিধার মধ্যে হচ্ছে সে সর্বদা আমার সাথে থাকে। আমার পিছু ছাড়ে না। সেদিন সিটি বাসে করে বনানী যাচ্ছি। বাস হুট করে ব্রেক করায় এক মেয়ের সাথে আমার ধাক্কা লাগে। তার ধারনা আমি ইচ্ছা করে এই কাজটা করেছি। এটা নিয়ে সে খুব ই অভিমান করে আছে। ভূত হওয়ার পর তার অভিমান আরো বেড়ে গেছে। সে আমার সাথে কথা বলে না। এখন কথা হচ্ছে মেসেজে।
ভূত বউ থাকায় আমাদের বাসায় কেউ আসে না। কেউ কেউ বিশ্বাস করে আমার আসলেই ভূত বউ আছে। আর কেউ কেউ বিশ্বাস করে না। তারা ভাবে আমি মানসিক প্রতিবন্ধি। আসলে আমাদের জগতে অনেক অজানা কিছু থাকে যা বিজ্ঞান আবিস্কার করতে পারে না,ব্যাখ্যা দিতে পারে না। তার মানে এই না যে সেটা ভুল,সেটা নাই। আবার কিছু মানুষ ভিন্ন কিছু বিশ্বাস করে তার মানে এই না যে সে পাগল। বিশ্বাস করাটাই আসল। বিশ্বাস করলে সব আছে, বিশ্বাস না করলে কিছুই নাই। সব শুন্য মরুভুমি।
-তিতলী,সিলিং ফ্যানটা ছেড়ে দাও।
মেসেজ আসলও-“পারবো না। নিজে নিজে ছেড়ে দাও। এত আরাম নাই।”
(৫)
পাবনা বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসেছি। এই সুবাদে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ঘুরতে আসলাম। মানসিক সুস্থ দের দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছি। এখন একটূ মানসিক অসুস্থদের দেখা যাক। এক পাগলকে দেখলাম দুই এর ঘরের নামতা জোরে জোরে পরছে। প্রতিবার নামতা শেষ করার পর হাততালি দিচ্ছে। আমি তার সেলের সামনে দাঁড়ালাম কিছুক্ষন। দুই এর ঘরের নামতা আরও একবার শেষ করে আমাকে বলল-“নামতা ঠিক হয়েছে?দশে দশ পেয়েছি?”
পাগলদের সাথে বিতর্কে যেতে নেই।আমি বললাম- হ্যাঁ পেয়েছেন।
প্রায় ঘন্টা খানেক পাগলাগারদ ঘুড়ে মন খারাপ করে বাসা ফিরলাম। মন খারাপ হল ২০৪ নম্বর কেবিনের এক পেশেন্ট কে নিয়ে। বেচারার প্রেমিকা মারা গেছে এবং সে ভাবে সে তার ভূত প্রেমিকাকে বিয়ে করছে। এখন সংসার করছে। তার হাতে দুইটা মোবাইল। নিজেই নিজেকে মেসেজ দেয় আর ভাবে মেসেজটা দিচ্ছে তার প্রেমিকা। তার প্রেমিকার নামটা শোনা হয় নি। শোনা উচিত ছিল। কি যেন নাম পাগলটার। ও হ্যাঁ মনে পরেছে-রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
-"হ্যালো"
রশীদ আবরার রিয়াদ।
(গল্পের হাট-৩ এ প্রকাশিত)