নায়লা নাইমের হিজাব পরিহিত ছবি বলে দিচ্ছে সামনে রমজান মাস।কিছুদিন পর টিভি উপস্থাপিকারাও খালেদা জিয়া স্টাইলে অর্ধেক মাথা ঢেকে খবর পড়বেন,খবরের শুরুতে শুদ্ধ করে সালাম দিবেন।চ্যানেলের লোগোর পাশে রমজানুল মোবারক লেখা হরেক রকম ঢঙ্গে লেখা থাকবে।উদ্ভট সব অনুষ্ঠান প্রচার হবে টেলিভিশন জুড়ে-বসুন্ধরা টয়লেট টিশ্যু সেহরীর সময়,সেনোরা স্যানিটারী ন্যাপকিন ইফতারের খাবার ইত্যাদি ইত্যাদি। কেকা ফেরদৌসি তার চর্বিযুক্ত ভুড়ি দেখিয়ে শেখাবেন কিভাবে পুঁইশাখ দিয়ে জুস বানাতে হয়।টিভি দেখা হারাম ফতোয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দলে দলে হুজুর,আলেম ওলামারা টক শোতে যাবেন।কী কী কারনে মুমিন মুসলমানদের রোজা নষ্ট হতে পারে এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিবেন।হিজাব এবং ক্যাটক্যাটে লাল রঙের লিপস্টিক পরিহিতা উপস্থাপিকা "আমাদের সঙ্গেই থাকুন" বলে কমার্শিয়াল বিরতিতে যাবেন।। আমরা লাক্সের বিজ্ঞাপনে দিপীকা পাডুকনের সুবাশিত কোমল ত্বকের গোসল দেখবো।
এছাড়া ঈদ উপলক্ষে পাল্লা দিয়ে টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান আয়োজনে কি কি থাকবে তা প্রচার করা হবে। সামাজিক চলচ্চিত্র "নষ্টা নারী" দেখুন ঈদের চতুর্থ দিন।শ্রেষ্ঠাংশে গ্ল্যামার গার্ল অমুক,একশন হিরো তমুক।
সহি ইসলামি কায়দায় রোজা রাখার নিয়ত নিয়ে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু মানুষ না খেয়ে পিসির সামনে বসে থেকে নেট চালায় ।অতি সচেতনরা জিরো ডট ফেসবুক চালায়। এতে বেগানা নারীদের ছবি দেখে রোজা হালকা হয় না। তবে রমজান উপলক্ষে হুট করে ইসলামিক হয়ে যাওয়া মধ্য রাতে যখন বাসায় মধু থাকে না তখন গা গরম করতে সাহায্য করা সেই সব ১৮+ পেজের দেয়া ইসলামিক পোস্টে লাইক করে একটিভ থাকে হাজারে হাজারে মুমিন বান্দা। রমজানে সব কিছুতে ৭০ গুন সোয়াব হয়। একটা লাইক দিলে ৭০ টা লাইকের সোয়াব পাওয়া যাবে। আলহামদুল্লিলাহ।
সব থেকে কিউট হচ্ছে জান যাবে তবু কেউ কেউ সুবেহ সাদিক হতে মাগরিব পর্যন্ত তারা কোন বেগানা নারী পুরুষের ঢলাঢলি,ডলাডলি দেখবে না। যা দেখার সব ইফতারের পর দেখবে। ইফতারের পর সব কিভাবে কিভাবে যেন সব হালাল হয়ে যায়! আমার পরিচিত এক দোকানদার ছিল যিনি ইফতারী করতেন ধুম্রশলাকা দিয়ে।
এমনটা চলতে থাকবে ঠিক চাঁদরাত পর্যন্ত। ধর্মবিমুখ এক বিরাট জনগোষ্ঠির এই জোর করে ধর্ম দেখানো শেষ হবে ঈদের চাঁদ দেখার সাথে সাথে।ধার্মিকতার খোলস খোলার পর আবার আমরা ইসলামিক দাঁড়ি নরসুন্দরের কাছে ছেটে ফরাসি কাট দিব, নায়লা নাঈমের উরুতে তিলের সংখ্যা ঠিক কতটা এটা নিয়ে ভদ্র অভদ্র উভয় সমাজে হবে চুলচেরা বিশ্লেষন।