ভার্সিটি লাইফের শুরুতে মেয়েরা যখন ফ্রেশার তখন তার দাম অনেক বেশি। বড় ভাইদের সার্বক্ষণিক নজরে তারা। যে মেয়েকে কেউ কোনদিন ভালবাসার কথা জানায় নি সেও দু একজনের নজরে পরে যায়। মেয়ে পরে যায় গভির সাগরে। এত এত ভালবাসা সে রাখবে কোথায়? কে বলেছে পৃথিবী থেকে ভালবাসা উঠে গেছে? পৃথিবীর সব ভালবাসা ভার্সিটির বড় ভাইদের অন্তরে।
ধিরে ধিরে মেয়ে পার্ট নেয়া শিখে যায়। সে বুঝে যায় তার ভালবাসার একটা মূল্য আছে। এই মূল্য পরিশোধ যে করতে পারবে তাকেই সে দিবে তার যক্ষের ধন। ক্লাশমেট ছেলেদের "ছোট ভাই" এর নজরে দেখা মেয়েটা কি সব অদ্ভুত সমীকরণ মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রেম করে ফাইনাল ইয়ারের কোন বড় ভাই এর সাথে।
এইদিকে ভার্সিটি লাইফে ছেলেরা যখন ফ্রেশার তখন তারা গাধা,গরু ছাগল। তাদের কোন মূল্য নাই। বড় আপুরা তো ছোট ভাই এর নজরে দেখেই সাথে সাথ ক্লাশমেট সুন্দরীরাও "ছোট ভাই" এর নজরে দেখে। বিরাট আফসোসের ব্যাপার।
ধিরে ধিরে সময় গরিয়ে যায়। বৃদ্ধ হতে থাকে সময়। বড় ভাইয়েরা ভার্সিটি ছেড়ে যায়। তাদের গার্লফ্রেন্ডরা শুধু পরে থাকে।সময় পেলে তারা আবুবকর সিদ্দিকের উপন্যাস "ভুল করেছি ছাত্রজীবনে প্রেম করে" পড়ে এবং "ভুল করেছি বড় ভাই এর প্রেমে পরে" নামক বই লেখার কথা চিন্তা করতে থাকে।
মেয়েরা হুট করে বুঝতে পারে তার অগোছালো, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির ওই ক্লাসমেটটা কে তার ভাল লাগে। সে ভাল করে খেয়াল করে দেখেছে ছেলেটা যখন হাসে তখন হালকা টোল পরে গালে। এত্তগুলা কিউট লাগে। আচ্ছা ওর কোন গার্লফ্রেন্ড নাই তো? আল্লাহ ওর কোন গার্লফ্রেন্ড যেন না থাকে।
কিন্তু এইদিকে ছেলেদের সুন্দরী ক্লাশমেটের চোখে কাজলের কালি এখন আর ভাল লাগে না। ভার্সিটিতে এখন নতুন জুনিয়রদের ছোঁয়ায় নবীন। সবার নজর এখন জুনিয়রদের প্রতি। ওই দিকে জুনিয়রদের নজর ও বড় ভাইদের প্রতি। দুই নজর এক সাথে বিক্রিয়া করে জগত সংসারে বহুৎ কিছু ঘটাইয়া দেয় কিন্তু ভীত হরিণের মত লুকিয়ে লুকিয়ে চেয়ে থাকা ক্লাসমেটদের কথা কেউ বলে না।