জানোত নীলিমা আমাদের শহরে
বৃষ্টি বলতেই পথ ঘাটে গভীর জলাবদ্ধতা,
মনে মনে নদীর পিপাসা এ শহরও বোঝে।
তুমি সারাদিন কি করো তবে?
কি আর করি বলো নীলিমা
এই বদ্ধ ঘর,চারপাশের দেয়ালবন্দী জীবন
আর ভাবনা সে তো তুমি।
থাক খাক হয়েছে।খুব রোমান্টিক হয়েছ আজকাল।
তোমাকে দেখে কি আর রোমান্টিকতা বদ্ধ থাকে বলো?
তোমার সব কিছুতেই শুধু রম্যতা।
দেখো নীলিমা মানুষের জীবনই বিশাল রম্যতা,
হয়তবা আমার প্রকাশ তুমি মানতে চাওনা,
এবার থামোত,ভাবুক তুমি চিরকাল ভাবুকই রইলে
একটুও বদলাওনি।
মন বিচরণের স্বভাব তোমার অমলিন।
আচ্ছা নীলিমা তোমার জানালায়
সেই চড়ুই টি কি এখনো আসে?
সে আর বলতে?আজকাল সেই চড়ুই যেন আমার নজরদারিতেই ব্যস্ত।
দেখেছ নীলিমা,আমিতো বলেইছি চড়ুইটি তোমার প্রেমে পড়েছে,
সে যে আমার শত্রু হয়ে গেছে,
সত্যিই তোমার কথায় আমি আর পারিনা,
চড়ুইয়ের কাজ নেই যে সে মানবীর প্রেমে পড়বে,
আসলে জানোত নীলিমা,
বৈচিত্রতা কেবল মানবীর প্রেমেই আছে
তা স্ত্রী চড়ুই এ নেই।
বুঝেছি তুমি বলেই যাবে এভাবে।
কবির মত পাখি এত ভাবেনা বুঝলে?
ভাবে নীলিমা ভাবে,আর
নীলিমা তোমার কথায়তো সমুদ্রের
জোয়ারও অনায়াসে থেমে যায়
আর আমি থামবোনা তা কি হয়?
তবে ভালো থেকো নীলিমা আর হ্যাঁ শেষমেষ বলছি,চড়ুইটিকে একদম যত্ন করবেনা কিন্তু।
সবই কি তোমার মর্জি নাকি?
আমি ঠিকই ওর খেয়াল রাখব,চুপিচুপি তোমার সব কথা বলে দেব।
আজ ফোন রাখলাম,বিদায় কবি।
নিজের যত্ন রেখো।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৮