যদি ভয় পেতে ভালোবেসে থাকেন তাহলে গভীর রাতে একা একা গল্পটি পড়ুন।
...........*******........
#লাশের_সাথে_একটি_রাত
***********★★★★★★*******
সুফিয়ানের শরীরটা কেমন শীতল হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। মানুষ ঘুমের মধ্যে অনেক দুঃস্বপ্ন দেখে থাকে। অনেক এ্যাবনরমাল কিছু দেখে থাকে। সুফিয়ান সেটা না ঘুমিয়েই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে। সে একজন পুলিশ বাহিনীর সিপাহী। আজ রাতে সে একটি আত্মহত্যা করা লাসের পাহারায় আছে। প্রচন্ড ভয়ের মধ্যেও একটু তন্দ্রায় গেল সে। আর তখনি শুনতে পেল কোন এক মহিলা কন্ঠের কথা। তাকে কেউ বলছে, তুমি ডিউটি রেখে কেন ঘুমাচ্ছ? আমাকে তো কেউ চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। তখন কি জবাব দিবে তুমি?
সুফিয়ান চোখ খুলল। দেখল লাশটি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। ভয়ে তার চোখ কপালে উঠে গেল। খুব শীতের ভিতর তার শরীর ও কপাল ঘেমে গেল। সুফিয়ানকে চোখ খুলতে দেখে বেডে গিয়ে শুয়ে পরল লাশটি। সে একজন সাহসী সৈনিক। ভুত প্রেত এগুল বিশ্বাস করে না। তারপরও আজ শুরু থেকেই তার কেমন ভয় ভয় লাগছিল। সে ভাবল তার ভয় থেকেই এটা সে ধান্দা দেখেছে। এই কথা ভেবে আপাতত খানিক সাহস জোগালো।
কিছুক্ষণ পর পর লাশের গায়ে হাত দিয়ে দেখার নির্দেশ আছে তার। নির্দেশ পালন করার জন্য লাশটির কাছে গেল সুফিয়ান। যখনি লাশের গায়ে হাত দিবে তখনি শুনতে পেল সেই আগের কন্ঠস্বর। সুফিয়ানকে বলছে সে, "আমার গায়ে হাত দিওনা। অপবিত্র হবে তুমি"। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। বিপাকে পড়ে গেল সে সাথে সাথে তিব্র ভয়। ভেবে পাচ্ছে না সুফিয়ান তার কি করা উচিৎ। যতই রাত গভীর হচ্ছে সাথে ভয় বেড়ে যাচ্ছে আর নতুন নতুন ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল সুফিয়ান। আবার লাশটি ছোয়ার জন্য হতটি এগিয়ে দিল। আবারও থেমে সে। এবার শুনল, " কি বিশ্বাস হল না আমার কথা? আমাকে ছুঁলেই তুমি অপবিত্র হবে আর তখনি আমার অশুভ আত্মাটি তোমার উপর ভর করবে"। সময় বাড়ার সাথে সাথে আর লাশের সাথে কথোপকথনে সুফিয়ানের সাহস একটু বেড়ে গেল। সে লাশের কথা কানে না নিয়ে লাশটিকে স্পর্শ করল। দেখল ঠিক আছে। তার নিজের জায়গায় এসে বসল সুফিয়ান।
সময়টা নির্নয় করার জন্য তার প্রেমিকার দেয়া ঘড়িটার দিকে চোখ বুলাল। তখন সময় রাত একটা বেজে কুড়ি মিনিট। খুব ঘুম পাচ্ছে সুফিয়ানের। মিনিট খানেক চোখ বুজে রইল সে। চোখ খুলতেই যা দেখল তাতে তার মস্তিষ্ক কার্যক্রম বন্ধ করে দিল। সে দেখল লাশটি উঠে তার সামনে নিত্য পরিবেশন করছে। তার দেহের সমস্ত রক্ত চলাচল থেমে গেল। লাশটি মাঝে মাঝে নিত্য পরিবেশনের জন্য তাকে হাত ইশারা দিয়ে ডাকছে। আবার নেচে যাচ্ছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে নাচের গতি বেড়ে যাচ্ছে। পলকহীন চোখে হৃদয় ভরা ভয় নিয়ে সবই উপভোগ করে যাচ্ছে সুফিয়ান। এছাড়া তার কোন উপায় ছিল না। কারন এখান থেকে পালিয়ে গেলেও তার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। নাচের গতি বাড়ার সাথে সাথে তার রুপের পরিবর্তন হতে থাকল। এক বিবর্ষ চেহারায় পরিনত হল। নাচা বন্ধ করে সুফিয়ানের সামনে এসে দাড়ালো আর ভয়ানক হাসি হাসতে থাকল। এই হাসির শব্দ আর বিবর্ষ চেহার দেখে জ্ঞানশূন্য হয়ে মাটিতে পরে গেল সুফিয়ান।
লাশটি ছিল আত্মহত্যা করা একটি যুবতি মেয়ের লাশ। মেয়েটি তার ভালোবাসার প্রান প্রিয় মানুষটির সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। তখন তার প্রেমিকের সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় সে। ভালোবাসার মানুষ যদি ভালো না হয় তাহলে যেটা হয়। সে পরিকল্পনা করে তার তিন বন্ধুকে এনে রাখছিল কাছাকাছি। তার চাহিদা পূরণ হওয়ার পর তাদের ডেকে অনল। ধর্ষিতা হল মেয়েটি ঐ তিনজনের হাতে তার ভালোবাসার মানুষটির সামনে এবং এই ধর্ষণ ভিডিও করা হল। এই ভিডিওটি তার প্রেমিক নিজেই করেছিল। তারা রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁসি দিল মেয়েটি।
এদিকে অজ্ঞান অবস্থায় সুফিয়ানকে উদ্ধার করা হল খুব সকালে। তার জ্ঞান ফেরার পর সে সবার সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকল.....
******★★★******
#রাজিবুল_হাসান_দুরন্ত
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩