[৩]
বৃষ্টি থেমে গেছে কিন্তু আকাশ বেশ ভারী। এখন রাস্তা ধরে হাটছি। খিদে ভাবটা নেই।আমি আবার খাবারের কষ্ট সহ্য করতে পারি না।বিকাল গড়িয়ে গেছে ।গাছের নিচে সিটি করর্পোরেশনের বেঞ্চ দেখে বসে পড়লাম।চটি খুলে দিব্যি বাচ্চা মতো পা দুলাতে লাগলাম।মজা লাগছে।গাড়ির প্যাঁ প্যোঁ আওয়াজ। অচেনা সব লোকজন।অদ্ভুদ সব আওয়াজ।
-কিরে কী খবর ?
আমি ঘাড় বেকিয়ে তাকালাম।খুব একটা চেনা মনে হলোনা।আবার মনে হলো চিনি।
-ভালো।শুকনো মুখে বললাম।
-চিনতে পারছিস।মনে তো হচ্ছেনা।মুখ দেখে মনে হচ্ছে পেট কামড়াচ্ছে।মেয়ে মানুষে তোর এলার্জি আছে নাকি?
আমি মাথা নাড়লাম।
-নাহ।
-চিনবি কী করে? এখন তো আমি অনেক সুন্দর হয়ে গেছি।পার্লার আছেনা।জীমে যাই।ফেসিয়াল....। সে যাই হোক।তোর খবর বল?
_আমি আসলে এখনো আপনাকে..।
-চিনতে পারিনি তাই তো।
-ঠিক।
-আরে ব্যাটা ফাজিল আমি সেই আটার বস্তাজলি।
ভিমরি খাবার মতো অবস্থা আবার জলি? এক জলিকে নিয়ে আমি জ্বলে পুড়ে মরছি ।এ যে দেখি আরেক জলি।চারিদিকে এতো জলি আসছে কোথা থেকে।
আমি দাঁত বের করে নকল হাসি হাসলাম।হ্যাঁ হ্যাঁ চিনেছি চিনেছি কেমন আছো?
-দোস্ত এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছেনা।
-কি ঠিক হচ্ছেনা?
-এই যে তুই তুমি তুমি করে বলছিস।তোর আমার সম্পর্ক তুই তাকারির।তুই করে বল।
-না মানে তুই.
-কেমন ম্যাদা মার্কা হয়ে গেছিস রে তুই।বিয়ে করেছিস?
-হু।
-হু কিরে? আর রাস্তার বেঞ্চে বসে কী করছিস ? চাকরি গেছে? না বউ বকেছে?
আমি দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লাম।-না না সেরকম কিছু না।
-বউ দেখাবি না? চল তোর বাড়িতে যাই ।রাস্তায় এভাবে দাড়িয়ে কথা বলা যায় নাকি?আমার সাথে গাড়ি আছে। চল চল।
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না ।ভয় লাগছে ।অদ্ভুদ একটা সিরসিরানি অনুভূতি।এর পর কি হবে ?আজ এসব কী হচ্ছে?
জলি আমার হাত ধরলো ।আমি যন্ত্রের মতো হাটতে লাগলাম।
....চলবে....।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮