আমার ভিতরকার মানুষটা
আজকাল বড্ড ছেলেমানুষ হয়ে উঠেছে।
আমি বুঝেও যেন কিছু বুঝতে চাইছি না
প্রহর গুনে চলেছি তোমায় ভেবে
আমার মনে তখন রাতের জােছনা খােলা প্রান্তর
আর . . . . আর রাতের আকাশে তখন ভােরের আলো।
গোটা রাত ধরেই তোমায় ভাবা
ভেবেভেবে নির্ঘুম রাত কাটানো. . . .
ভোরের শিউলি ফােটা সকালে তোমার প্রতীক্ষার প্রহর গোনা
তুমি এলেনা. . . কত প্রেম পত্র. . .কত উপহার. . . .সব বিফলে গেল।
কি যে হলো তোমার মুখটা দিনে দিনে হয়ে উঠলো যেন
চিত্রশিল্পীর বিমূর্ত কোন ক্যানভাস. . আমি কিছুই বুঝিনা. . .
তুমি এলেনা. . .পাত্তাই দিলেনা
এত বেশি মাত্রায় ব্যকুল হয়ে পড়লাম যে. .
এত সর্তক ,সাবধানী, গম্ভীর আমি অনেক পাগলামি করে ফেললাম।
অতুগ্র আকাঙ্খায় আমি ক্রমশ হয়ে উঠলাম হাস্পোস্পদ
তবু তুমি এলে না. . .
হঠাৎ সেদিন রাতে, বাবার যেদিন বুকে খুব ব্যাথা উঠল
সেদিন রাতে তুমি খবর পাঠালে কাল তোমার বিয়ে . . !!!
আমি কিছু করতে পারবো কিনা. . . .সেই রাতেই বাবা মারা গেল. . .
পরের দিন. . .শেষকৃত্য শেষে. . .
আমি বিষন্ন মন নিয়ে ঠা ঠা দুপুর রোদে হাটতে হাটতে দেখলাম
তোমার বিয়ের গাড়িটা ছুটে চলেছে বড় রাস্তা ধরে . . . . . .
ধ্যাত তারি কি!!!!
আমি একটা বড় ঢিল ছুড়ে মারলাম সেদিকে . . .বুকের ভিতরটা কেমন হু হু হু করে উঠলো
দ্বিমুখী যন্তনায় পৃথিবীটাকে মনে হলো---রক্তচক্ষুওয়ালা কােন দুষ্টু দৈত্য
শালা ভাগ্যটাই এত খারাপ।।।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:২৫