বাংলাদেশ ফান্ড নিয়ে বহু হৈচৈ হচ্ছে। সরকার মনে করছে এবার শেয়ার বাজারকে উদ্ধার করে ফেলবেন। মূল লক্ষ্য আবারো দলীয় নেতাদের পকেট ভারি করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয় তার বুঝা যায়। এই ফান্ড কাদের উপকারে লাগবে না বুঝতে পারলেও কাদের ক্ষতি করবে তা বুঝি।
০১। কৃষক: এরি মধ্যে আমরা দেখেছি ২৪ ভাগ কৃষি ঋণ গত বছরের তুলনায় কম বিতরণ করা হয়েছে। এই ফান্ড গঠিত হলে এই ঋণ আরো কমে যাবে। ব্যাংকগুলোর এখন টানাটানি অবস্থা একটি ব্যাংক দেখলাম ৮.৫% হারে সঞ্চয়ী সুদ দিচ্ছে!! সরকারী ব্যাংক থেকে এরই মধ্যে সরকার বহু টাকা ঋণ নিয়েছে। তারা কৃষকদের ঋণ দিবে কোথা থেকে। সরকার বাধ্য হবে কৃষকদের ভর্তুকী কমাতে।
০২। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী: যারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক সময় সুদ দিতে দিতে ফতুর হন তারা বাদে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তাদের ঋণ নেয়ার সময় শেষ। প্রতিটি ব্যাংক এই ফান্ডে বিনিয়োগ করলে তারা আরো তারল্য ঘাটতিতে পড়বে।
০৩। অতি দরিদ্র মানুষ: দরিদ্র মানুষই চাপে পড়বে। সরকার কদিন পড়েই ব্যয় সংকোচনের কথা বলে, অতি দরিদ্র মানুষদের সুবিধা কমিয়ে দিবে, বয়ষ্ক ভাতার পরিমান বাড়ানো হচ্ছে না, সংখ্যাও বাড়ছে না। ১০০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পও মুখ থুবড়ে পড়েবে। অতি দরিদ্র মানুষদের সরকারী সহায়তার অন্যান্য উৎসও কমে যাবে।
এই ফান্ডের গন্ধ পেয়ে আবারো পুজিবাজারের লুটেরারা দাঁত সানাচ্ছে। আবারো লুট হবে সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা। এই ফাকে কিছু মধ্যবৃত্ত ধনী হওয়ার আশায় পুজি বাজারে পুজি ঢালবে, আবারো পুজি হারানোর সেই গল্প, আবারো তৈরি হবে ফান্ড, আবারো দাঁতাল শুয়োরেরা দাত সানাবে...