বাংলাদেশের মতো দেশে যেকোনো দেশ নিমিষেই বড় ধরনের যুদ্ধ লাগাতে পারবে।
কারন, অামাদের এখানে কিছু হলেই সরকার বলে, "সব দোষ বেগম খালেদা জিয়ার। তার নেতাকর্মীরা এবং জামায়াত মিলে এই ষড়যন্ত্র করছে।"
অপরদিকে দেশের অন্যতম অারেক রাজনৈতিক দলও সরকারকে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ। তারাও বছরের পর বছর একই সুরে একই তালে বলে যাচ্ছে, "দেশে গনতন্ত্র নেই। সরকার এসব অপকর্মের দায় এড়াতে পারে না। তারা এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।"
সব সুরই পুরাতন। -_-
এখন তাহলে সব দোষ তো অামাদেরই! অামি এমন একটা দেশে জন্ম নিয়ে অাগে গর্ব করতাম। কিন্তু, রাজনৈতিক দলের লোকদের একঘেয়েমি মনোভাব, অামার মনোভাবকে মনোক্ষুন্ন করে। যখনই ভাবি, দেশের সকল দল-মত-পেশা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কিছু একটা করা দরকার। তখনই ভাবি, অামার দেশকে দিয়ে এটা সম্ভব নয়। এটা ছোটবেলায় পড়েছিলাম, "একতাই বল"। কিন্তু, পড়েছিলাম তো সবাই, এখন ভুলে গেছি।
অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে বড় অাফসোস করি, 'অামার দেশটা কেন এমন হলো না!' বিশ্বের যেসব দেশ অাজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে অাছে, তাদের দিকে দেখে অবাক হই। সেসব দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হওয়াকে অনেক কঠিন একটা চ্যালেন্জ মনে করে। তারা অনেকেই নিজেদের কাজে অল্প ত্রুটি খুঁজে পেলেই নিজে পদত্যাগ করে।
অথচ অামার দেশ!
এখানে যারা ক্ষমতায় নেই, তারা ক্ষমতায় উঠার জন্য বারো মাস না খেয়ে চিৎকার করে। অার, যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা চেয়ারটাকে যেন কেউ পেছন থেকে টান দিয়ে সরিয়ে না নিতে পারে, সেইজন্য দিনের পর দিন চেয়ারে তেল মালিশ করে যায়।।
কীসের জনগণ! কীসের কী! সবাই নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত। সবাই শুধু 'খাই', 'খাই'। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না।
দিন যাচ্ছে, ঝগড়া পুরাতন হচ্ছে। একসময় কেউ অন্য কোনো দেশে গেলে বলতেও লজ্জ্বা পাবে,- "অামি বাংলাদেশি"