৩.
এক সুন্দর প্রভাতে আমার কাছে ইতালি থেকে একটা মেইল এলো। তোমার টিকেট হয়ে গেছে- তুমি অতি সত্ত্বর ঢাকাস্থ কুয়েত এয়ারওয়েজের অফিসে যোগাযোগ করো। আমি দৌড়ে গিয়ে হাজির হলাম বিমান অফিসে। এয়ারওয়েজের ডেস্কে অসম্ভব রূপবতী এক তরুণী বসা। তিনি আমাকে জানালেন, হ্যাঁ, আশীফ এন্তাজ রবি'র নামে রোম থেকে একটা টিকেট এসেছে, তবে টিকেট টা আমরা সরাসরি প্যাসেঞ্জারের হাতেই দেবো।
আমি বিনয়ের সাথে জানালাম, আমি নিজেই সেই প্যাসেঞ্জার।
- আপনি? তরুণীর কন্ঠে আকাশ ছোয়া বিস্ময়। অবশ্য খানিক বাদেই বিস্ময়টা দ্রুত চাপা দিয়ে তিনি আমার পাসপোর্ট চাইলেন। পাসপোর্ট নিয়ে তিনি অনেকক্ষণ খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করলেন। খানিকটা বিব্রত এবং বিরক্ত বোধ করছি- এমন সময় সেই রূপবতী আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বলল, আই নো, ইউ আর জেনুইন। বাট আই এম ডুয়িং মাই জব, আই হাভ টু। বলে আবার পাসপোর্ট খুটিয়ে দেখতে লাগলেন।
সুন্দরীদের হাসিতে স্বয়ং মুনি ঋষি গলে ''জুস'' হয়ে যান, আর আমি তো আমি। তার হাসিতে পুরোপুরি তলিয়ে গেলাম। বললাম, ভালো করে চেক করে দেখুন, যতই সময় লাগে লাগুক, আমার কোনো তাড়া নেই।
বলাবাহুল্য, ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে আমার মন্দ লাগছিল না। অবশ্য এই ভালোলাগাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না, তার আগেই সেই আগুনবতী নারী আমার হাতে টিকেট ধরিয়ে দিলেন। বললেন, হ্যাভ এ নাইস ট্রিপ।
টিকেট হাতে পেয়ে মনটা বড় বেশি উচাটন হয়ে গেল।
( চলবে )