নগরের নাগরিক অট্টলিকাগুলোর ভারী থাই গ্লাস গুলো টেনে দেয়া।
প্রচণ্ড শীতে হাড় কাঁপাতে চায় না কেউ ।
ভারী কম্বলের নিচে রক্তমাংসের শরীরগুলো জোড়ায় জোড়ায় আরেকটু তাপ বাচাতে চায় ।নিরুদ্দেশ হতে চায় ।
একটু উষ্ণ চুম্বনের জন্যে বৈধ-ঠোট খুঁজতে সময় ক্ষেপণে অপারগ কারো কারো ঠোট ।
নগরের যুবকরা দু-পয়সার শীত তাড়াতে তিন পয়সার বিড়ি চিবুতে নাছোড়বান্দা হয়ে নেমে এসেছে রাস্তায়ে ।
ওদিকে ,টং মালিকেরা দোকানের ঝাপি ফেলে উষ্ণতার খোঁজে বাড়ির পথে...।
প্রেমের সংজ্ঞা খুঁজতে কেউ কেউ নাকি পতিতার খোঁজ করে এ রাতে।
নেশার ধোয়া বুক অব্দি নিলেই বমি পায় কারো। কারো নাকি ধোয়া না গিললে নেশাই হয় না ।
কেউ কেউ এখনো দিনের শেষগল্প শুনতে সেলফোনে কানপেতে আছে ।
কারো কারো জীবন থেমে আছে হেডফোনে... সাইকোডেলিক আশেজ এ ।
শহরের অসুখী প্রেমিকারা গ্রিল চেপে জানলায় । এইরাতে তারা প্রেমিকদের নিয়ে লং ড্রাইভে যেতে চায় ।
গতকাল দুটি বিরহের কবিতা লিখে চমকে দিয়েছে সদ্য প্রেমিকা হারানো এক কবি ।
শহর ক্রমশ অসুখী হয়ে যাচ্ছে........
অথচ একদল দুঃখ বিক্রেতা তখনও উধাও ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৮