অটোপসি রুম
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
অমিত একটু বিরক্ত। সারাদিনের কাজ শেষে যখন বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় হল, তখনি খবর এল, আরো একটা পোস্ট মর্টেম এর কেইস এসেছে। এটার কাজ তাকে শেষ করে যেতে হবে। মনে মনে গজ গজ করতে করতে অমিত সম্মতি জানিয়ে বলেছে, সে কাজটা করে দিয়ে যাবে। আনমনে একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নিল; বাসায় মিশা একা, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও, এখন তাই কাজের বাইরে বাকি সময় টা বাসাতেই থাকার চেষ্টা করে অমিত। মিশার এই সময়টা অনেক বিশ্রাম এর দরকার। আজ ও রাত হবে বাসায় ফিরতে ফিরতে ভেবে অমিত নিজের উপরেই আরো একটু ক্ষেপে উঠল।
অফিসরুম থেকে বেরিয়ে পড়ল অমিত। বাইরে প্রচন্ড মেঘ করেছে। কয়টাই বা বাজে এখন বড় জোর বিকাল ৪ টা। অথচ দেখে মনে হচ্ছে বাইরে যেন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আজ রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে। আনমনে একটা সুর ভাঁজতে ভাঁজতে হাসপাতালের পেছন দিকে থাকা লাশকাটা ঘরের দিকে দ্রুত গতিতে হাঁটতে লাগল ও। কাজ টা তাড়াতাড়ি শেষ করে যদি সন্ধ্যার আগেই ফিরতে পারে! এমন একটা দিনে হঠাত করে বিদ্যুত চলে গেলে পড়ে গিয়ে মিশা না আবার একটা অঘটন ঘটায়।
অটোপসি রুম এর বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে ও। জাফর মনে হয় আগেই চলে গেছে। এই ছেলেটা সাথে থাকলে সবকাজ বেশ দ্রুতই হয়ে যায়। ছেলেটা বেশ ভাল। অনেক দক্ষও বটে। ও সাথে থাকলে ওকে আলাদাভাবে কোন নির্দেশ দেয়া লাগে না। লাশের শরীরে যেখানে যেখানে কাটা দরকার, অভ্যস্ত হাতে দ্রুত গতিতে সে সব জায়গা কেটে ফেলে। জাফরের এতক্ষণ থাকার কথা না। এই ছেলেটার সাথে কাজ করতে করতে ওরা দুইজন একেবারে বন্ধুর মত হয়ে গেছে। অমিত জানে, স্ত্রী সীমা বলতে জাফর পাগল। প্রায় ই দেখা যায়, দুইজন নানা গল্পে মেতে উঠে। দেখে কেউ বলতে পারবে না, কে ডাক্তার আর কে ডোম।
অটোপসি রুম এর দরজা খুলে ঢুকতেই সেই পরিচিত গন্ধটা নাকে ধাক্কা দিল অমিত এর। এই গন্ধটা আগে সহ্যই করতে পারত না। এতদিন কাজ করার পরেও এখনো অভ্যস্ত হতে পারে নাই পুরোপুরি। রুম এর দোতলায় উঠার সিড়ি দিয়ে উঠতেই অবাক হয়ে দেখল আরেক ডোম শাহাদাত বসে আছে চুপচাপ। অমিত অবাক হয়ে গেল। ও এখনো যায় নাই! যাক, জাফর না থাকলেও শাহাদাত তো আছে। শাহাদাত কে জিজ্ঞাসা করল লাশ এর ব্যাপারে। শাহাদাত তার মত করে উত্তর দিল, বয়স পঁচিশ, মাইয়া মানুষ,……আরো কি যেন বলছিল, অমিত আর শুনতে পেল না। ও দ্রুত গতিতে উপরে উঠছে। মনে মনে আরো একবার বিরক্ত হলো, আবারো সুইসাইড কেইস! এই মেয়েগুলা জীবনের মূল্য ই বুঝল না! দোতলায় উঠেই দ্রুত গতিতে তৈরি হতে লাগল অমিত। আমেনা খালা এখনো আছে, তাকে বলল, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আর সব কাগজপত্র নিয়ে আসতে।আর কেউ বা জাফর না থাকলে শাহাদাত কে পাঠাতে।
মূলঘরের দরজা খুলেই অবাক হয়ে গেল অমিত। জাফর যায় নাই। ও আছে। ওকে দেখে অমিত মনে মনে খুশি হলো। জাফর চুপচাপ বসে আছে মেয়েটার লাশ সামনে নিয়ে। কত অল্পবয়স মেয়েটার। অমিত ও দুঃখিত ভাবে তাকিয়ে থাকে। আবার দ্রুত গতিতে চেয়ার টেবিল এগিয়ে নিয়ে আসে।
প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে, অমিত স্বভাবসুলভ গলায় নির্দেশ দেয় খুলি কাটার। জাফরকে এতক্ষণে লক্ষ্য করল অমিত। ওর দুই চোখ দিয়ে পানি। মানসিক ভাবে প্রচন্ড শক্ত জাফরকে এমন অবস্থায় দেখে অভ্যস্ত নয় অমিত। মৃত মেয়েটার মুখের সারল্য কি ছুঁয়ে গেছে ডোম এর ইস্পাত কঠিন ঋদয়কেও! ওকে এত ধীর স্থির, শান্ত, নিশ্চুপ ভাবে আর কখনো কাজ করতে দেখে নাই অমিত। খুব আস্তে পরম যত্নে সে মৃতার মাথাটা হাতে নিয়ে রাখল জায়গামত। খুব আস্তে আস্তে যত্নের সাথে তার চুল গুলা কাটতে লাগল জাফর। আনিস ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করছে আর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। সাড়ে ৫ টা বেজে গেল প্রায়। সাড়ে ৬ টা পেরিয়ে গেলেই মিশা অস্থির হয়ে যাবে। কোন ভাবে আট টা বেজে গেলে কথাই নাই। পাগলের মত ফোন করতে থাকবে। আনিস আরো একটু তাগাদা দিতে জাফর খুলিকাটা যন্ত্র টা নিয়ে আসল। কিন্তু ওর হাত আজ এত কাঁপছে কেন! এমন তো হবার কথা না! অমিত ভিকটিম এর খাতাটা খুলল। নাম দেখে চমকে উঠল: NAME: SHEEMA AHMED, HUSBAND: ZAFAR AHMED. ভয়ানক চমকে উঠল অমিত।
একটু ধাতস্থ হয়ে জাফরের পেছনে এসে দাঁড়াল। জাফর এর পিঠে হাত রাখতেই জাফর আর নিজেকে সামলে রাখতে পারল না। অমিত কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। অমিত যে শুধু ডাক্তার নয়, তার বন্ধুও। অমিত সান্ত্বনা দেয়ার কিছু খুঁজে পেল না। পিঠে হাত বুলিয়ে ওকে স্বান্তনা দিতেই ও ফিসফিস করে বলল, স্যার, আমি জানি এটা আত্মহত্যা না, এটা হত্যা। যেই ফ্যাকটরি তে কাজ করত, সেই ফ্যাকটরির ই কেউ ওকে মেরে ফেলছে। কিন্তু এটা কে ওরা আত্মহত্যা বলতেছে স্যার। আমি বিশ্বাস করি না। আমার সীমা আর আমি মিলে যে অনেক কিছু প্ল্যান করেছিলাম। ও আমাকে ছেড়ে হঠাত চলেই যেতে পারে না। অমিত এক ফাঁকে চোখের পানি মুছে ফেলে শাহাদাত কে ডাক দিল। জাফর কে নিচের রুম এ নিয়ে বসাতে বলল। আমেনাকে সাথে নিয়ে অমিত নিজে ই পুরা পোস্ট মর্টেম এর কাজ শুরু করে দিল।
যতই সময় যাচ্ছে, অমিত অবাক হয়ে যাচ্ছে, আর নিঃসন্দেহ হচ্ছে এটা মোটেই আত্মহত্যা না। এটা হত্যাকান্ড। জাফরের প্রচন্ড কষ্ট অমিতকেও দারুণভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। এই হত্যাকারীকে সে ছেড়ে দিবে না। আইনের চোখে এই জঘন্য ঠান্ডা মাথার খুনীকে সে পরিচয় করিয়ে দেবে। ফরেনসিক এক্সপার্ট সে। শুধু আত্মহত্যা না হত্যা তা বের করেই সে থেমে থাকবে না। খুনীকে ধরতে পারার মত সব আলামত সে তুলে দেবে পুলিশ এবং আদালতের হাতে। নিজের কাজে একেবার মগ্ন হয়ে যায় অমিত।
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি পড়ছে। বাতাসের বেগ বেড়েছে অনেক। মাঝে মাঝে বিজলী চমকানো শুরু হয়েছে। অটোপসি বিল্ডিং এর বাইরে এসে থামল একটা মাইক্রোবাস। অটোপসি রুম এর বাইরে এসে দাঁড়ালো ওরা কয়েকজন। অটোপসি রুম এর দরজায় কয়েকবার আঘাত করতেই শাহাদাত দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসল। শমসের মিয়ার সাথে আরো ৪ জন। শমসের বলল, “শাহাদাত, চা খাবা নাকি? চল চা খাইয়া আসি”। শাহাদাত ও ভাবছিল চা খেয়ে আসা দরকার। একটা চা খেয়ে বাকি সবার জন্য চা নিয়ে আসা যাবে। এদের মাঝে কে যেন একজন ডাক্তার অমিত এর খোঁজ করল। ডাক্তার অমিত কে ডেকে দিয়ে শাহাদাত বেরিয়ে পড়ল শমসের মিয়ার সাথে চা খেতে।
অমিত বাইরে বেরিয়ে আসল। বৃষ্টির মাঝে এরা কারা তার সাথে দেখা করতে এসেছে? দেখা করার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই একজন সামনে এগিয়ে আসল। একটা কাগজ সামনে বের করে দিল। সেখানে signature করতে বলল। অমিত অবাক হয়ে গেল এই উটকো ঝামেলা দেখে। তারপরেও কি মনে করে হাতে টেনে নিল কাগজটা। অবাক হয়ে দেখে, লেখা আছে, SHEEMA AHMED, AGE 25, HUSBAND: ZAFAR AHMED. MODE OF DEATH: SUICIDE. নিচে ওর নাম লেখা। এখন দরকার শুধু দস্তখত! পাশেই আরেকজন একটা ব্যাগ খুলে নোটের তাড়া দেখিয়ে দিল। মুখে বলল ১০ লাখ আছে। সব ই নির্ভর করবে তার সাইন দেয়ার উপর। বাকিটা তারা সামলাবে। তারা জানে অমিত এখন অনেক অর্থ কষ্টের মাঝে আছে।
অমিত ওদের মুখের দিকে একবার তাকাল। হাসিমুখে বিনীতভাবে অফার ফিরিইয়ে দিয়ে আবার ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘুরে দাঁড়াল। ওর কাঁধে হাত দিল তৃতীয়জন। মুখে ভয়ংকর হাসি। হাতে চকচক করছে একটা কালো রিভলবার। কোন রাখঢাকের প্রয়োজন সে দেখছে না! অমিত এবার কিছুটা কঠোর হলো। এই প্রফেশনে সে অনেক হুমকিধামকি পেয়েছে। কিন্তু এখানে হাসপাতালের বাউন্ডারীতে এসে আজ পর্যন্ত এত বড় দুঃসাহস আগে কেউ দেখায় নাই। অমিত মেজাজ ধরে রাখতে পারল না। সে কোন কথা না বলে পেছন ফিরে হন হন করে হাঁটতে লাগল।
অটোপসি রুম এর দোতলায় মৃত স্ত্রী। সমস্ত দুনিয়া যেন অর্থহীন হয়ে গেছে জাফর এর কাছে। অন্ধকার নিচতলায় অনেক ক্ষন চুপচাপ বসে আছে ও। অমিত স্যার কে কারা যেন ডাকল। শাহাদাত আর অমিত স্যার এখনো ফিরে নাই। হঠাত বাইরে একটা ভোঁতা শব্দ হলো। একটা চাপা আর্তনাদ মত শোনা গেল আর এরপরেই কোন একটা গাড়ির টায়ার ঘষে চলে যাওয়ার শব্দ। জাফর উঠে দাঁড়াল। দরজা খুলতে গিয়েই দেখে সারা মেঝে জুড়ে লাল পানি। এত রঙ কোথা থেকে এল! জাফর ভেবে পায় না। আরেকটু সামনে এগোতেই স্তম্ভিত হয়ে যায় সে। ডা; অমিত পড়ে আছে সিঁড়ির উপরে। বৃষ্টির পানিতে আর রক্তে ভাসে যাচ্ছে সমস্ত সিড়ি। অভিজ্ঞতার আলোকে সে বুঝতে পেরেছে ডাঃ অমিত আর নাই। চলে গেছে আর ফিরে না আসার দেশে ঠিক তার সীমা’র মত। তার সীমা আত্মহত্যা করল না হত্যা, সেটা ঠিকভাবে বলতে পারার মত শেষ মানুষটাও চলে গেল। গত কিছুদিন ধরে অমিত স্যার হুমকি ধামকি পেয়ে আসছিল। স্যার এর এই এক সমস্যা। এখনকার সময়ে আপোষ না করলে হয়! গত কয়েকটা খুনের মামলার কোন আসামী পক্ষ ই হয়ত আজ এই কান্ডটা করার সাহস পেয়েছে। জাফর তাড়াতাড়ি অমিত এর মৃতদেহ নিয়ে সীমার পাশে রাখল। আমেনা ভয়ার্তভাবে জাফরের দিকে তাকাতেই জাফর তাগাদা দিল হাসপাতাল থেকে ডাক্তার নিয়ে আসতে আর লোকজনকে খবর দিতে। অমিত স্যার হয়ত কোমায় আছে কে জানে! চিকিতসা পেলে হয়ত ফিরে আসবে। পুলিশ ও আসা দরকার। আমেনা ছুটে বেরিয়ে গেল।
আটটা বেজে দশ মিনিট। শাহাদাত ফিরে এসেছে। অটোপসি রুম এর দরজা খোলা।বাইরের ঠান্ডা বাতাস, বৃষ্টির পানি সমানে ঢুকছে ঘরের মাঝে। আমেনা, জাফর ওরা কই? অমিত স্যার নিশ্চয়ই উপরে ব্যস্ত। জাফরকে নিচতলায় না দেখে একটু অবাক হলো শাহাদাত। কালবিলম্ব না করে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসল ও। ভেতরের অবস্থা দেখে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেল ও।
জাফর সীমার শরীরের কাটা অংশগুলা অসম্ভব যত্ন নিয়ে ধীরস্থির ভাবে সেলাই করছে। আর একটু দূরে আরেকটা দেহ শুয়ে আছে। রুমে আর কোথাও অমিত স্যার নাই। নতুন আসা মৃতদেহটার দিকে এগিয়ে যায় ও। চেহারা টা চিন্তে পেরেই পেটের ভিতরটা পাক দিয়ে উঠে শাহাদাত এর। বিস্ফারিত প্রানহীন চোখে ছাদের দিকে তাকিয়ে আছেন অমিত স্যার। স্যার এর পরনের সাদা শার্ট লাল রক্তে ভিজে আছে। বুকের বাম পকেট এ একটা নীলচে আলো জ্বলছে নিভছে। কেউ একজন টানা ফোন করে চলেছে অমিত স্যারকে। নিশ্চয়ই স্যার এর দেরি দেখে অস্থির হয়ে উঠেছে কেউ একজন। স্যার যে চলে গেছেন আর না ফেরার দেশে।
সব দেখে শাহাদাত আর স্থির থাকতে পারে না। পালিয়ে চলে আসে নিচতলায়। বাইরে প্রচন্ড জোরে বাজ পড়ল আরেকবার। অনেক মানুষের কন্ঠ এগিয়ে আসছে এদিকে। পুলিশের গাড়ির সাইরেন ও শোনা যাচ্ছে। বৃষ্টির গতি আরো একটু বেড়েছে।
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বাংলাদেশে সমবায় সমিতির দুর্নীতি: সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমানে অনেক সমবায় সমিতিই নিজস্ব লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের সাইকেল!! :B#
সাইকেল চালানো বাংলাদেশ সহ যেকোনও দেশের অর্থব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকারক।
এটা হাস্যকর মনে হলেও কিন্তু চিরসত্য যে
সাইকেল চালানো ব্যক্তি দেশের জন্য একটি বিপদ।
কারণ -
■ সে গাড়ি কেনে না।
■ সে লোন নেয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবারের (২০ জানুয়ারি) এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসলেন তিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেঘ বালিকা
বৃষ্টি এলে মেঘ বালিকা ভিজতে থাক তুমি
জ্বর না উঠে সেই দিকেতে খানিক খেয়াল রাখ
আকাশ তলে নদীর জলে আনন্দ ঢেউ খেলে
তারাও ভিজে তোমার মত সুখের ভেলায় ভেসে।
প্রসারিত দু’হাত দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গতকাল বিকেল থেকে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমার শুরু করেছে।
গতকাল ট্রাম্পের শপথের অনুষ্ঠানে ২ লাখ মানুষকে আমন্ত্রণ করে টিকিট দেয়া হয়েছিলো; প্রচন্ড শীতের কারণে বাহিরে শপথ নেয়া সম্ভব হয়নি। পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে শপথ হয়েছিলো, সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টগণ, বিচারপতিরা,... ...বাকিটুকু পড়ুন