সুলতান ডাইন্স এ খেতে খেতেই প্লান হয়ে গেলো যাবো ভোলাগঞ্জ। নাম অনেক শুনলেও যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠছিল না, মজার কথা হলো এর আগে ২ বার প্লান করেও যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবারে যেতেই হবে। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের উদ্দেশে রউনা হই আমরা ১২ জন। আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জ এর যেই রাস্তা আছে তা বর্ণনাতীত খারাপ, যে কারনে আমরা প্লান করি আমরা ছাতক হয়ে যাবো। সকাল ৬ টায় নেমেছি সিলেট এ। পাঁচ ভাই এ সকালের নাস্তা করে আমরা সোজা সিএনজি নিয়ে রউনা হই ছাতকের পথে।
ছাতক পৌঁছে আমরা ইসা কলস ঘাট থেকে একটা নৌকা ভাড়া করে নেই,যা আমাদের ভোলাগঞ্জ ঘুরিয়ে এনে আবার ছাতক নিয়ে আসবে।
সুরমা নদি ধরে আমাদের যাত্রা শুরু, কিছুদূর যেতেই ভালো লাগতে শুরু করলো নৌ ভ্রমন টা। মাথার ঠিক উপরেই ছিলো কড়করা রোদ,তার মধ্যেও অই দূরে আবছা পাহাড় গুলো দেখতে মন্দ লাগছিলো না।
১১ টা নাগাদ আমরা পৌছাই গন্তব্য ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টে। এ এক অপরূপ সৌন্দর্য, দেশের খুব বেশি একটা যায়গা ঘুরিনি আমি। তবে আমার কাছে এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ গন্তব্য ভোলাগঞ্জ, তারপরেই আমি রাখবো সেইন্ট মারটিন ও টাঙ্গুয়ার হাওড় কে।
পানির নিচের সৌন্দর্য আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করেছে, প্রতি বছর অন্তত একবার করে হলেও আমি এখানে যেতে চাই। পানির রং,নিচের পাথর গুলো সব এক কথায় অসাধারণ।
আমাদের সবার এতই ভালো লেগেছে যে পানিতে কোন দিক দিয়ে যে ৩ ঘন্টা সময় কেটে গেছে তার দিকে খেয়াল ই ছিলোনা। ৩ টার সময় ফিরতি পথ ধরি আমরা আবার ছাতক এর। বিকেলের গোধুলি আলো তে আরেক আলো ছায়ার খেলা দেখিয়েছে আমাদের পথের নাম না জানা কোনো এক বিল।
হয়ত স্মরণীয় একটা দিন কাটিয়েছি অপরূপ ভোলাগঞ্জ এ। :-)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২২