সময়ের মানসে তোমাকে গড়েছি,
তিল তিল করে তিলোত্তমা তোমায় এঁকেছি চৌকাঠে।
বৃষ্টিতে ভিজে সারাদিন কাকভেজা রোদ্দুর হবো, তাই সময়ের গুন টেনে
দাড়িয়েছিলাম প্রতীক্ষার শায়রে, তুমি আসোনি।
অথচ আবেগের আকাশে ফোটা বৃষ্টির মেঘদল বাসা বেঁধেছিল।
হয়তো ভালই বাসোনি।
তোমাকে দেব বলে পকেটে জোনাক নিয়ে
অপেক্ষায় থেকেছি অনেক পূর্ণিমা,
রাত ভোর হয়ে গেছে তবু দিতে পারিনি
অথচ ভাঁজ করা রুমাল, বুক পকেটের সেই চিরকুট,
কিংবা ডাইরীর ফাল্গুনের পাতা জুড়ে লেখা কবিতায় নিশ্চুপ ভ্যালেন্টাইন
আমাকে স্বপ্নের চৌহদ্দি পেরুতে বলত।
আমি পেরিয়েছি,হেঁটেছি অনেকটা পথ,
তারপর আচমকা তোমার হৃদয় জানালায়
আর কারো কড়া নাড়ার শব্দে থমকে দাঁড়াই।
দেখি অন্য কারো হাতে রাখা তোমার হাত।
এ লজ্জা হয়তো তোমার কাছে মরিচীকা বিভ্রম না হয় শিশির কান্না!
মনটাকে তোমার সরিষার মতো ছড়িয়ে দিতে
হয়তো লাজে লাগে না!
অথচ ক্যাকটাস কল্পনায়, অনুরাগ অনুযোগে,
ভাবতেই আমার শিহরণ জাগে।
লজ্জায় ঘৃণায় মাথা নিচু হয়ে যায়।
তোমার লজ্জা শুধু আমাকে পোড়ায়,
অথচ তোমার মতো অসংখ্য তুমি যখন
চুলখোলা বেসামাল হারিয়ে যাও নীলপদ্ম,নীল আকাশ, নীল নীল নীলাচলে,
তখন আমরা পুড়ি,শাসনের দৈন্যতায়,
ব্যর্থতার গ্লানিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অস্থিরতায়।
তুমিতো এক তুমি শুধু,
তোমার এ লজ্জা শুধু তোমার নয়,
এ লজ্জাও আমার , আমাদের।
লজ্জাবতী লতার মতো ছুঁয়ে দিয়ে যাও,
দ্যাখো, নিজেকে গুটিয়ে নেবো,
তবু যদি তোমাদের লাজে লাগে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০