তুমি শিশিরের মতো আলতো ছোঁয়ায়
লেপ্টে থাকো আঙুলের ডগায়।
নরম ঘাসে ঘাস ফড়িং হয়ে ,
জড়িয়ে থাকো ঘাসফুলে ।
রাত কাটে তোমার উষ্ণ বুকের ওমে,
ঘন নিশ্বাসের শব্দ বুনে।
ঘুম ভাঙাও প্রজাপতি ভোরে,
দূর মিনারে মুয়াজ্জিনের আযানের সুরে।
তুমি ঘরণী,
দিশাহীন পথে আঁক প্রেম আলপনা,
তাঁর ছেঁড়া জীবনে আনো আবীর ছড়ানো সুখ।
আঁধার দিনে রাঙাও ভুবন,দেখি হাসি মুখ।
মনে আছে তোমার ,প্রেমের খামে রঙিন
সেই দিনগুলির কথা?
হিম হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা ছিল হিমাংকের কাছাকাছি,
শীতার্ত জনপদে সেদিন শীতের প্রকোপে নতজানু বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে
শীত চাদরে আবৃত করে ফিস ফিস করে আমায় বলেছিলে,
“তুমি আমার আকাশ।
তুমি পেজা তুলোর মতো মেঘ ভাসা নীল নীলাকাশ।
অথবা তির তির করে কাঁপা শান্ত ঝিলের বুক চিরে জেগে উঠা ঘাস।“
সত্যি সত্যি আমি তোমার আকাশ হয়ে উঠতে পেরেছি কিনা জানিনা
কিন্তু তুমি, তুমি আমার ঘেমে ঘেমে নেয়ে যাওয়া বুকে ,
মাথা গুজে সুখ পাওয়া সুখী একজন।
তুমি আদরে আদরে পল্লবিত সবুজের স্পর্শের শব্দ সুভাষ।
শূন্য শূন্য জীবনের তুমিহীনা শূন্যতার ভবিতব্য পরিহাস।
তুমি শাসনের শেকড়ে মূলোৎপাটিত অনিয়মের ব্যকরণ।
তুমি রাগের রুক্ষতায় রাগিণী হয়ে বাজো ,
চৌচির কাঁচটায় আহ্লাদে আহত সময়।
তুমি অভিমানী ঝিনুকের মতো ঘর ছাড়া ঘরণী হয়ে আমাকে
পর করে দেবার ভয় দেখাও, অতল সমুদ্রের বিন্দু বিন্দু ভালবাসা
রেখে দিয়ে হৃদয় সিন্ধুতে।
মনে আছে তোমার? স্মৃতি সৌধে বেড়াতে গিয়ে সেবার তুমি বলেছিলে
“এ দেশটাই আমার রক্তজবা ঘর, আর আমি ঘরণী, রমণী,
পিয়াসে প্রলুব্দ নারী এক ,শুধুই তোমার।“
শুনে তুমি মুচকি হেসে আমার চুলে বিলি কাটো,
পাথুরে দুঃখটাকে পাশ কাঁটিয়ে হাত ধরে আমার,
টেনে নিয়ে যাও মীমাংসিত সুখের কাছে।
(উৎসর্গঃআমার প্রিয়তমা স্ত্রী সুমাইয়াকে)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫০