একবিংশ শতাব্দীর দ্বাদশ বর্ষে আজ
প্রথম লিখছি তোমায় বিক্ষত বদ্বীপ।
তিনদিকে ভারতীয় শ্মশানের প্রজ্বলিত দাবানল
দক্ষিণে নোনা সমুদ্র।
তল্লাটে তোমার একাংশে কাঁটাতার
তবুও সম্পর্কের ঘুড়ি ওড়া সুতোয়,ওপারে নাটাই
তুমি শুধু তামাশার মিছিল।
বিএসএফের অদৃশ্য বাংকারে
বিধ্বংসী জওয়ানের পৈশাচিক হিংস্রতায়,
তোমার চির সবুজে আবারো
রক্তের বলয় ধারা।
বিক্ষত বদ্বীপ, তোমার ষোল কোটি চেতনার শিকড়
লুটোপুটি খায় গনতন্ত্রের বীজমন্ত্রে। ‘সীমান্তে হত্যা নতুন কিছু নয়,
এ নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়’
রাষ্টযন্ত্রের এই নির্লজ্জ উক্তি,
তোমাকে পোড়ায় কিনা জানিনা।
আমি অঙ্গার হই যখন দেখি,
সীমান্তে তোমার কাঁটাতারে ঝুলে আছে
অভাগিনী ফেলানির লাশ।
দুচোখ বেয়ে ক্রমাগত অশ্রু ঝরে যখন দেখি,
কাঁটাতারের পাশে নিঃসাড় পড়ে আছে
তেজোদীপ্ত যুবক লতিফ লেবুর লাশ।
হৃদয় জমিনে পাই নীল বেদনা আঁকা,
যখন দেখি সেই প্রাণোচ্ছল হাবিবুর রহমান শেখ,
যাকে বিবস্ত্র করে যথেচ্ছা পেটায় রক্ত পিপাসু বিএসএফ।
বিক্ষত বদ্বীপ, এমনি করে আর কত ফেলানিকে
লাশ হতে দেবে নির্বিচারে?
লাশের পর লাশ,নির্লিপ্ত গনতন্ত্র
এমনি করে কত আর খুবলে খুবলে খেতে দেবে?
ক্ষত বিক্ষত বদ্বীপ, তুমি যদি কারো অদৃশ্য দখলে থাকো
কিংবা অসহায় তুমি নিষ্পেষনের নির্বিষ ইতিহাস গড়ো,
তবে বলি, দগদগে ক্ষত নিয়ে টিকে থেকে লাভ কি আর ?
হয় বিকৃত পাজরে যুদ্ধংদেহী হও অথবা
তুমি বঙ্গপোসাগরে ডুবে মরো।
বিঃদ্রঃ কবিতাটি প্রথম আলো ব্লগে ও আমার ব্লগে প্রকাশিত
ছবিঃ নেট
৩১/০১/২০১২ (আগ্রাবাদ,চট্টগ্রাম)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১০