পানকৌড়ি (আদ্রিতা)
ঘৃণা করো আর যাই করো,একটাই অনুরোধ, ভুল বুঝনা। ভুল বুঝলে একটু বেশী দুঃখ পাব। সেদিন একটা কবিতা শুনিয়েছিলাম,মনে আছে? সেই কবিতাটাই এই মুহূর্তের বাস্তবতা,এর পরে আর কী বাকি থাকে বলো?
ভাল করে পরীক্ষা দিয়ে অনার্সে ভর্তি হও ,তারপর ভাগ্যের দিকে চেয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনে যাও এটাই আমি চাই।
কথাগুলো সেদিন আমি তোমাকে সরাসরি বলতে পারতাম কিন্তু কেন যে তা না বলে অহেতুক যাচ্ছেতাইভাবে তোমাকে বকেছি বলতে পারবনা। আমি সত্যি খুব লজ্জিত।
আর কষ্ট পেতে চাইনা। আমরা হয়তো বাস্তবতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। জীবনের তাৎপর্য এখানেই। নিষ্প্রয়োজনকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোন মানে আছে,বলো? আজ এ সত্যকে তুমি আস্বীকার করোনা,তাহলে বড্ড অন্যায় হয়ে যাবে সময়ের প্রয়োজনের প্রতি।
আমার যে ভুল তোমার কাছে যুক্তিযুক্ত অন্যায়, সে ভুলটা তো তুমিও করে থাকতে পারতে? হয়তো সেটি ধরা ছোঁয়ার অনেক বাইরে। ক্ষমা করার মহত্ব সবাই দেখাতে পারেনা।যে পারে তাই সে মহান।
বাস্তবতা ইতিহাসের ইতিবৃও খুঁজে বেড়ায়,তাই কখনো কখনো সে মানুষকে কাঁদায় । বাস্তবতার ধারককে এ কান্না যে কাঁদতেই হয়। অথচ আমরা তা স্বীকার করতে চাইনা পাছে যদি আত্ন সম্মানে লাগে। মানুষ সত্যি বড় বেশী হেঁয়ালি । এমনি হেঁয়ালিপনা করে মানুষ যে কঠিন সংকটের জন্ম দেয় তার নামই দুঃখ।
দুঃখ অপরাজেয় থাকুক আমার জীবনে,তাহলে কবিতা স্বাদ পাবে জীবনের, জীবন বোধ করবে মানবতা,বিস্তৃতি ঘটবে মানুষের মনের।
চেয়ে দেখি মাঝরাতে তারা খসে পড়ে
আমার অস্ফুট আকাশ থেকে।
কলঙ্ক সপ্নীলের মতোই,
প্রেম ও পার্থিবতার বিশুদ্ধ আকাশ,
পরিহাসের গন্ধ ও বাস্তবতা
লুটিয়ে পড়বে আমাদের কোলে,
হাত পেতে নেব ধুসর আনন্দ
নয়তো ক্রন্দসী বিয়োগ।
আমি আদৌ জানিনা কোনদিন, কোন কালে আমার এ চিঠি তোমার হাতে পৌঁছুবে কিনা।তবু কালের স্বাক্ষী রেখে এ চিঠি তোমায় দিলাম।
ইতি, শিরোনামহীন
ছবিঃ নেট
যোগ বিয়োগের চিঠি
১৫/০৩/২০০৪ (উত্তরা)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬