বিদ্রোহী রোদ্দুরে অথবা মেঘলা কোন দিনে,
চলন্ত বাসের ঘোলাটে জানালায় চেয়ে দেখি,
মৃত্যুর দিকে তরপাতে থাকা মানুষটার বিধ্বস্ত
চেহারায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন!
নষ্ট সময়ের পারদে লৌকিক বিনয়
ইস! আহারে!
নিজের মঞ্চায়নে একাকি নিজের অভিনয়।
ভেতরের ক্রূদ্ধ চিৎকার ভেতরের দরজায়
আঘাত পেয়ে ফিরে আসে বারবার।
শব্দ কোলাহল নেই,
নেই পিছু আর ফিরে ফিরে চাওয়া।
হিমাদ্রি! হ্যা হিমাদ্রি একটি গোলাপ আনতে গিয়েছিল।
হিমাদ্রির খুব ইচ্ছে ছিল বিয়ের পর প্রথমবার
নিপুর হাতে একটি গোলাপ তুলে দিয়ে বলবে,
”প্রিয়তমা ,তোমাকে ভালবাসি”।
অপেক্ষায় থাকা নিপু ডাইরীর পাতায়
গোলাপী কালিতে লেখা থেকে সেটাই জেনেছিল পড়ে
কাঞ্চনের ”নিরাপদ সড়ক চাই”
আমাদের আবেগে ভাসাতে পারেনি।
আমরা ইচ্ছেঘুড়ির মতো উড়ি,
আমরা নিজ নিজ খেয়াল খুশির অথৈ আবেগে ভাসি।
চেয়ে দেখি লাল পদ্মের মতো বুক,
নি:শ্বাসে অসংখ্য ভেজা গোলাপ।
ওর বুকের ভেতর থেকে এক একটি
লাল লাল ভেজা ভেজা গোলাপ
ছিড়ে এনে জনতার হাতে তুলে দিয়ে,
অশ্রু সিক্ত প্রার্থনায় বলি,”প্রভু বেশি কিছু নয়,
শুধু স্বাভাবিক শহীদী মৃত্যু চাই”।
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Porontobela/Porontobela-1507312509-2e516e1_xlarge.jpg
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৮