দাওয়াত না পেয়ে শরীয়তপুরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি দ্বারা ঐ প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষককে মারধর কিংবা লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে।
আমরা কি এই ঘটনার কারন নিয়ে ভাবছি?
কে দায়ী এই ঘটনায়?
ছাত্র থেকে ছাত্রলীগ। অথচ এই ছাত্রলীগ নেতা নাকি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রই ছিলনা।
তাহলে এই ছাত্রলীগ নেতা দ্বারা শিক্ষকের লাঞ্ছিত হওয়া অস্বাভাবিক কি আছে?
শিক্ষক মানে একজন ছাত্রের কাছে পরম সম্মান আর ভক্তির পাত্র। যদি একজন ছাত্র অন্তত নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তবে তার দ্বারা কখনোই শিক্ষকের লাঞ্ছিতের ঘটনা সম্ভব নয়।
তাহলে, এই ঘটনা জন্মের জন্য দায়ী কে?
আমি প্রথমে অবশ্যই ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে দায়ী করবো এবং দ্বিতীয়ত ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও।
কেননা, এই ছাত্রলীগ নেতা ছাত্র পদবী ব্যবহার করে নেতাগিরি চালিয়ে যাচ্ছিল অথচ প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ছাত্র সংগঠনকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনার পরামর্শ বা নির্দেশনা তো দেয়ইনি উল্টো প্রতিষ্ঠানের যেকোন কর্মসূচীতে অধ্যক্ষের পাশের আসনটি এগিয়ে দিয়েছে সবসময়।
এদিকে শিক্ষকগণ, ছাত্রলীগ নেতা ছাত্র না। জানা সত্বেও প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেননি। কিংবা ছাত্র সংগঠনকে নিজেদের অভিভাবকত্বের জায়গা থেকে নির্দেশনা বা পরামর্শ প্রদানে আলস্যতা করেছেন এটাকে অভিভাবক হিসেবে গাফিলতি বলা যায়!
তাই এরই ফল আজ প্রকাশিত হলো। একজন শিক্ষকের লাঞ্ছিত হওয়ার দৃশ্যের মাধ্যমে।
আর এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। কেন?
যে প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের আওতায় ছাত্র সংগঠন, সে প্রশাসন যখন অভিযোগ জমা দিচ্ছে তাহলে থানা-পুলিশের অভিযোগ জমা নিতে সমস্যাটি কোথায়?
এতেই বোঝা যাচ্ছে সমাজের নৈতিকতার অবক্ষয় ও দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার জন্য দায়ী তারাই যারা নিজের দায়িত্ব পালনে মনোযোগী নয়। বেশী সুবিধা পাওয়ার আশায় কিংবা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একটু কষ্ট মেনে নিতে প্রস্তুত থাকেনা।
আর সর্বশেষ কারন হচ্ছে আমরা সর্বস্তর হতে অন্যায়কে অন্যায় এবং ন্যায়কে ন্যায় বলায় অভ্যস্ত হতে পারছি না।।
শিক্ষাগুরুর সাথে এমন গর্হিত আচরণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি ঐ তথাকথিত ছাত্র/ ছাত্রলীগ নেতার।।
মো: পলাশ খান
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক
তারিখ: ০১/০৪/২০২২ইং
ই-মেইল:[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৪