সরকারী এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়েছি কোন একটা কাজে।
সবসময়ের মত জামাকাপড় পরিধান করে। শীতের দিন তাই মাফলারটাও নিয়ে গিয়েছি গলায় ঝুলিয়ে।
দপ্তরের সামনে যাওয়ার পর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার অফিসের এক কর্মকর্তা/কর্মচারী বলে উঠলেন- আপনার মাফলারটা ঠিক করেন, আমি বললাম কেন কোন সমস্যা?
সে বললেন স্যার মাইন্ড করতে পারে। আমি আর কথা বাড়ালাম না। মনে মনে ভাবলাম, আমিতো এখানে ঐ কর্মকর্তার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে আসিনি। আর সে এই দপ্তরে বসে আছে আমার মত নাগরিকদের সেবা দিতেই। অতএব আমার বেশ-বুশা দেখা তার কাজ নয়, আমাকে সেবা দেয়া তার মূখ্য কাজ। মাইন্ড করা তো দুরের কথা।
যে অবস্থায় ছিলাম সেভাবেই ঢুকে গেলাম এবং কাজটাও সম্পন্ন করলাম।
বের হয়ে সেই লোকটার দিকে একবার তাকিয়ে দেখলাম আমার দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে আছে।
আমি মনে মনে বলতে লাগলাম বেটা তোর উচ্চ পদস্থের সামনে তুই বুঝে-শুনে যাওয়ার চর্চা করবি, আমাকে (জনগণকে) নিজের জায়গায় দাঁড় করাতে আসিস কেন!
"#আমি_সচেতন_নাগরিক। আমি আমার অধিকার জানি।"
আমরা ভুলে যাই, যেকোন কর্মকর্তা/কর্মচারী সম্মান পাওয়ানা, কারন সে কষ্ট করে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জন করে মানুষের সেবা করতে এসেছে। আর তাদের যত্ন এবং সম্মান করার জন্য তাদের অধীনস্থ একাধিক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। তাদের সেবা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য দেয়া হয় উন্নত গাড়ী, বাড়ীসহ বিভিন্ন সুবিধা।
আর এর সবই দেয়া হয় তারা সারাজীবন কষ্ট করে ডিগ্রি অর্জন করে নিজেকে দেশের সেবায়, দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত করার কারনে।
এরপরও দেশের মানুষকে যদি সেই সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীরা আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে ব্যর্থ হয়, নাগরিকদের কাছে হুজুর-স্যার ডাকা আশা করে তাহলে সেসব সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীরা দেশের সংবিধান জানেনা। আর একজন সরকারী চাকুরে হয়ে সংবিধান ভঙ্গ করলে তাকে জনগণ যেকোন সময়ে বিতারিত করার ক্ষমতা রাখে।।
#এমপিকে
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৭