মাদিবা শান্ত, সোনালি পৃথিবী হাতে
# তিনি ইরাক যুদ্ধের প্রবল বিরোধী ছিলেন। খুব সাহসের সাথে বুশের সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন " যদি পৃথিবীতে কোনো দেশ থেকে থাকে যেটা অকথ্য নৃশংসতা চালিয়েছে সেটা যুক্তরাষ্ট্র।............ একজন শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট যার কোনো দুরদর্শিতা নেই, কান্ডজ্ঞান নেই, সে এখন চাইছে পৃথিবীকে ব্যাপক হত্যাকান্ডের স্তুপে নিমজ্জিত করতে। "

তিনি বুশ'কে এটাও বলেছিলেন "All that (Mr. Bush) wants is Iraqi oil "

এমনকি তিনি স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, কফি আনানের সাথে পরিকল্পনা করেছিলেন ইরাকে গোপনে গিয়ে সাদ্দাম'কে সিদ্দান্ত পাল্টাতে প্ররোচিত করতে। যদিও তারা যাবার আগেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।





# ১৯৯৯ সালে তিনি কসোভো'র যুদ্ধে ন্যাটো'র হস্তক্ষেপ বিরোধীতা করেছিলেন।
বলেছিলেন " এটা পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলোর সারাপৃথিবীতে পুলিশগিরি শুরু করার একটা প্রয়াস " ।

# ১৯৯৮ সালে নন অ্যালাইনড মুভমেন্টের মহাসচিব থাকাকালে ডারবানে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন।
তিনি ইসরায়েলি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন " সংকীর্ণ, উগ্র জাতীয়তাবাদী স্বার্থ " ত্যাগ করতে আর শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে।

একই সম্মেলনে তিনি ভারত-পাকিস্তান এর বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীর নিয়েও কথা বলেন। তিনি ভারতের বেশ সমালোচনাও করেন।
# তিনি একটা পশ্চিমা শাসকদের বিরাগভাজন ছিলেন কারণ তার সাথে গাদ্দাফি আর ফিদেল ক্যাস্ত্রো'র ঘনিষ্ঠতা ছিল। যদিও তিনি পশ্চিমাদের খুব একটা গুরুত্ব দেন নি এ ব্যাপারে। ফিদেলকে order of good hope পুরষ্কার দেয়ার সময় তারা ৩ জনই উপস্থিত ছিলেন।
# ১৯৯৬ এ তিনি প্রথম কঙ্গো যুদ্ধ থামাতে জায়ারে একটা মধ্যস্থতার ব্যবস্থা করেছিলেন তবে তা ব্যর্থ হয়েছিল।
# ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুহার্তো'র সাথে তার বেশ হৃদ্যতা ছিল যার কারণে তাঁকে সমালোচনার স্বীকার হতে হয়। কারণ সুহার্তো শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ায় মানবাধিকারের ব্যাপক অবনতি ঘটে। যদিও ম্যান্ডেলা সুহার্তোকে পূর্ব তিমুরকে দখনমুক্ত করতে আহ্বান জানিইয়েছিলেন।
--------- এমন আরও অসংখ্য সাহসী, দুরদর্শী, বুদ্ধিদীপ্ত কাজ পাওয়া যা ম্যান্ডেলা তার বর্নাঢ্য জীবনে করে গেছেন। দিলে পোস্ট লম্বা হবে ...
.................. জন্মদিনে ভয়বিহীন শ্রদ্ধা, স্বতঃস্ফুর্ত সম্মান, আর আবেগহীন ভালবাসা .........