তৃণা হতভম্ব হয়ে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের সামনে যা দেখছে তা তার বিশ্বাস করতে মন চাইছে না। কেন দেখতে গেলো সে? অধিক কৌতূহলের ফল কখনই ভালো হয় না, তা সে অনুভব করতে পারছে হাড়ে হাড়ে, রোমে রোমে, শিরায় শিরায়। কেন সে রেজার ব্রাউজিং হিস্টোরি দেখতে গেলো? কী দরকার ছিলো তার? অবশ্য সত্যের মুখোমুখি তো একদিন হতেই হতো, এড়ানো যেতো না কোনোভাবেই।
ভালোবাসার মানুষেরা মাঝেমধ্যে খুব বোকার মত কাজ করে। অজান্তেই বিশাল কষ্ট দিয়ে ফেলে। রেজা কি পারতো না ব্রাউজিং হিস্টোরিতা ক্লিয়ার করতে? সত্যটা না হয় কদিন পরেই জানতো তৃণা! গুগল ক্রোমের উইন্ডোটা যেন তৃণার দিকে তাকিয়ে উপহাস করছে।
সামনে একটা অদ্ভুত সুন্দর দিনের জন্যে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে ছিলো সে। এখন সব ফ্যাকাশে লাগছে। ধুসর গোধূলির অস্তাভায় মলিন হতে লাগলো তার মনের ঘরদোর। এই কি প্রাপ্য ছিলো তার?
চোখ ভর্তি জল নিয়ে সে মোবাইলটা হাতে নিলো। কাঁপাকাঁপা হাতে টাইপ করতে লাগলো,
“রেজা, আমি ভাবতেও পারি নি তুমি এমন একটা ভুল করবে। মাত্র ৭ দিন পরে আমার জন্মদিন। অনলাইনে কী গিফট কেনাকাটা করতেছো সেটা আমার চোপার উপর খুইলা রাখার তো কোনো দরকার ছিলো না! দিলা তো সারপ্রাইজ নষ্ট কইরা! (অশ্রাব্য) !"
তৃণা রাগত দৃষ্টিতে কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে হেয়ার ড্রায়ারটাকে চোখের দৃষ্টিতে ভস্ম করে দেয়ার চেষ্টা চালাতে লাগলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৫