কিছু কিছু মুখ দেখলেই মনে পড়ে
বন্ধুর পরিচিত মুখস্মৃতি, মনে হয়
এখন কৈশোর। মাঠে শেওড়ার বিলে
বিশাল হাওড়-বাওড় খোলা আকাশে
নিশ্চিন্তে। কিছু কিছু মুখ দেখলই মনে পড়ে।
মনে পড়ে-
বৈশাদৃশ্য খুজে পাওয়া যাবে না
একরম হুবহু মিল। তথাপি
মানব চরিত্র অমিল জগত।
তাই কিছু কিছু চোখ দেখলেই মনে পড়ে
যদিও তোমার নয়-
হাজার আকুতিতে ভরা
পানি সমেত খেয়ে ফেলছে
সমুদ্রের সবক’টি প্রাণী।
কিছু কিছু পাখির নীড়ের মতো
বেনী করা চুল দেখলেই
মনে পড়ে-
আমাকে দেখলেই আকীর্ণ বিলিয়ে দিতে
তোমার ঘন কালো কেশ গুলো, আর
ফাগুনের উত্তর বায়ু বেদম পিটিয়ে পিটিয়ে
নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দুলতো;
সেই রকম মনে পড়ে।
কিন্তু আমার চাঁদ দেখা হলেই সব থেকে
বেশী আপন করে মনে পড়ে তোমাকে।
হয়তো চলছি পথে-
কারো গ্রীবার মতো
কারো ওষ্ঠের মতো
কারো প্রস্থ লতিকার মতো
কারো উরুর মতো
কারো নিতম্বের মতো
কারো জোড়া ভরুর মতো
কারো অপ্রস্থ কুঞ্চিত ললাটের মতো
কারো সুউচ্চ সটান নাকের মতো, হয়তো
কারো চলার ভঙ্গিমায় দেখতে পাই।
তাই কিছু কিছু দেখলেই
তোমারই কথা মনে পড়ে।
স্বরেরও দ্যোতনা আছে
শব্দেরও উত্তেজনা আছে,
তাই শব্দ ও স্বরের মধ্যে খেই হরিয়ে ফেলি।
তোমার অতি নিকটের
সেই শব্ধ, সেই স্বর
ভালবাসি!
দুরু দুরু বুকের গরম নিঃশ্বাসে
ভরা আমার ধানক্ষেত।
এখন কিছু কিছু দেখলেই, শুধু নয়
সব কিছুতেই তমি
কারন-
তুমি অন্য ঘরে। তবে-
তোমার পায়ের একটা পোড়া নখের মতো
কাউকে পাই না।
১৫ফেব্রুয়ারী’১৯৯৫খ্রীঃ
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭