#হলুদ_খামের_চিঠি_৩
আমি হাটছি। রাত গভীর হচ্ছে। কতো গভীর বুঝতে পারছি না।ঢাকা শহরে সন্ধ্যার পর সোডিয়ামের হলুদ আলো জ্বলে।সে আলোয় রাতের গভীরতা বোঝার কোন উপায় থাকেনা।রাতের গভীরতা বুঝতে হয় কোলাহল দেখে।কোলাহল কমছে।তারপরও সময় জানার জন্য মনটা কেমন যেন ছটফট করছে।অথচ জানার উপায় নেই।এই না জানার মধ্যে এক ধরনের আকুলতা কাজ করে।অস্হিরতা কাজ করে।অনেকটা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রণয়ের মতো।আমার কোন তাড়া নেই। নিরুদ্দশী মানুষদের তাড়া থাকেনা। তারা থাকে ঘোরের মধ্যে। সীমাহীন ঘোর। সেই ঘোর থেকে বের হওয়া সহজ কথা না। আমিও বোধ হয় বের হতে পারছিনা। আটকে গেছি সীমাহীন বেড়াজালে।
খুব পান খেতে ইচ্ছে করছে। মিষ্টি জর্দা দিয়ে দুই খিলি পান। ভার্সিটিতে পড়ার সময় আমি আর আমার বন্ধু সালমান সারারাত সিলেট শহর হেঁটে বেড়াতাম।সেই বেড়ানোর সঙ্গী হতো খিলি খিলি পান।নির্ঘুম শহরের অহেতুক ব্যপারেও আমরা হেসে গড়াগড়ি খেতাম।পানের পিক ছড়িয়ে একাকার হতো। ব্নধুর সাথে দীর্ঘদিন সাক্ষাৎ নেই। আচছা! সময়ের সাথে সাথে আমরা কি সবকিছু থেকে দূরে সরে যাই? সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিকেও হারিয়ে ফেলি?
হয়তো হ্যাঁ। হয়তোবা না।
পানের দোকানের সামনে দাড়িয়ে আছি।পান কিনবো।কিন্তু পকেটে একটা পয়সাও নেই। শুধু একটা দুমড়ানো কাগজ পড়ে আছে।তাতে দুটো লাইন লেখা।
"একটা শঙ্খচিল নীড়, দিতে পারো এনে?
নীলাকাশ বেঁধে রাখা বিষণ্ন নীড়...!"
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩