আম্মা আঁচার বানাচ্ছেন। সারাঘর আঁচারের ঘ্রাণে ম ম করছে।
বছরের এই একটা সময়ে আঁচার বানানো মোটামুটি তাঁর অভ্যাসে পরিনত হয়েছে(ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি)। দেশে থাকুক আর বিদেশেই থাকুক, কিংবা যতই অসুস্থতা থাকুক না কেন আঁচার তিনি বানাবেনই। মাঝে মাঝে মনে হয় আম্মাকে যদি মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়া হত, তিনি সেখানেও আঁচার বানানোর জিনিসপত্র খুঁজতেন।
আম্মা বিভিন্ন ধরনের আঁচার বানান। আম,রসুন, মরিচ থেকে শুরু করে খেজুরের পর্যন্ত। খেজুরের আঁচার কিভাবে বানান সেটা একটা রহস্য।
তেঁতুল, বড়ই আর খেজুর মিশিয়ে রহস্যটা।
বাসায় এতো আঁচার বানানো হয় অথচ কখনোই আমাকে আঁচার খেতে দেন না ।অনেক হাত পা ধরার পরও আম্মার এক কথা, ছেলে মানুষের এতো আঁচার খেয়ে কাজ কি! শুধু খেতে দেন আমার ছোট বোনকে। ছোট বোন আঁচারপাগল। ১৯/২০ বছর বয়সী মেয়েদের যদি আঁচার খাওয়ার প্রতিযোগীতা থাকতো সেখানে সে সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন হতো।
আব্বা বিদেশ থাকা সুত্রে দুই বয়াম করে পাঠানো হয় তাকে। হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই তিনি খুব আনন্দিত গলায় প্রতিবার আম্মাকে ফোন করেন।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের বাসার সবার আঁচার ভাগ্য আছে। শুধু আমার নেই। সব ছেলেদের আঁচার ভাগ্য থাকে না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৩